কলকাতা, 5 অক্টোবর: কলকাতার পুজো মানেই ঠাসা ভিড়। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে এক মণ্ডপ থেকে আরও এক মণ্ডপে যাওয়া ৷ ফলে সময়ের অভাবে ইচ্ছা থাকলেও অনেক ঠাকুর দেখা হয় না ৷ অধিকাংশ রাস্তা বন্ধ থাকার দরুণ গাড়ি বা বাস, অটোর ভরসাও করা য়ায় না ৷ এই অবস্থায় মেট্রো রুট জানা থাকলেই মুশকিল আসান ৷ সহজেই এবং কম সময়ে দেখে নিতে পারেন শহরের নামকরা একাধিক পুজো ৷
উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঠাকুর দেখার প্ল্যান করছেন ? এ ক্ষেত্রে কিন্তু সবচেয়ে ভাল পরিবহণ ব্যবস্থা শহরের মেট্রো রেল। যানজটের সমস্যা যেমন নেই, তেমনই সময়ও অনেকটাই কম লাগে। ফলে দূরত্ব যতই হোক, সহজেই মণ্ডপে পৌঁছে যাওয়া যাবে ৷
মহালয়া থেকেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে একাধিক পুজোর ৷ ফলে চতুর্থী থেকেই কার্যত মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার লম্বা লাইন চোখে পড়েছে ৷ মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তাতেও। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজটও। উত্তর থেকে দক্ষিণ বা হাওড়া থেকে সল্টলেক, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তাতেই কাটছে অধিকাংশ দর্শনার্থীদের।
আর ঠিক এইখানেই মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা মেট্রো। যানজট এড়িয়ে কম সময়ে শহরের দুই প্রান্ত হোক বা সল্টলেক সহজেই মেট্রোয় চড়ে দেখে নিতে পারেন একাধিক ঠাকুর। দমদম থেকে কবি সুভাষ প্রায় প্রতিটি স্টেশনেরই আশপাশে বা কাছাকাছিই রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় পুজো ৷ ফলে মেট্রোয় ভরসা রাখলে সহজেই কলকাতার একাধিক বড় পুজো দেখে নিতে পারেন ৷
কোন স্টেশনের পাশে কোন পুজো ? এক ঝলকে দেখে নিন মেট্রোর রুটম্যাপ-
দমদম: সিঁথি সর্বজনীন, 14-র পল্লি, সিঁথির মোড়ের বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো ৷
বেলগাছিয়া: যুবকবৃন্দ, দমদম পার্ক, শ্রীভূমি, টালা পার্ক, টালা প্রত্যয়, টালা বারোয়ারি, নেতাজি স্পোর্টিং, লেকটাউন অ্যাসোসিয়েশন
শ্যামবাজার: হাতিবাগান সর্বজনীন, জগৎ মুখার্জি পার্ক, বাগবাজার সর্বজনীন
শোভাবাজার সুতানটি: তেলেঙ্গাবাগান, চালতা বাগান, আহিরীটোলা, কুমোরটুলি পার্ক, শোভাবাজার রাজবাড়ি, নলিন সরকার স্ট্রিট, কাশী বোস লেন, হাতিবাগান নবীনপল্লি, সিকদার বাগান, গৌরীবাড়ি, করবাগান এবং তেলেঙ্গাবাগানের মতো পুজো।
গিরীশ পার্ক: বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, পাথুরিয়াঘাটা 5-এর পল্লি, বিডন স্কোয়্যার
মহাত্মা গান্ধি রোড: মহম্মদ আলি পার্ক, কলেজ স্কোয়ার, শিয়ালদা রেলওয়ে অ্যাথলেটিক ক্লাব
সেন্ট্রাল: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার (ওয়েলিংটন), কাপালিটোলা
চাঁদনি চক: জানবাজার সর্বজনীন, তালতলা সর্বজনীন
রবীন্দ্র সদন: 22 পল্লি, নর্দান পার্ক এবং চক্রবেড়িয়া নর্থ সর্বজনীন
নেতাজি ভবন: 75 পল্লি, হরিশ পার্ক, অগ্রদূত উদয়ন সংঘ, 68 পল্লি, পদ্মপুকুর বারোয়ারি সমিতি, ভবানীপুর দুর্গোৎসব, ভবানীপুর 75 পল্লি
যতীন দাস পার্ক: হাজরা পার্ক, 23 পল্লি, ফরওয়ার্ড ক্লাব, মাতৃমন্দির ও সঙ্ঘশ্রী
কালীঘাট: বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ, 66 পল্লি, চেতলা অগ্রণী, 64 পল্লি, দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারা, বালিগঞ্জ কালচারাল, হিন্দুস্তান পার্ক, একডালিয়া এভারগ্রিন
রবীন্দ্র সরোবর: মুদিয়ালি, শিবমন্দির । সুরুচি সঙ্ঘও যেতে পারেন, বাসে লাগবে 10 মিনিট মতো ৷
মহানায়ক উত্তর কুমার: মেট্রো থেকে নেমে অটো । চলে যান 41 পল্লি, অজেয় সংহতি, বিবেকানন্দ স্পোর্টিংয়ে । সেখান থেকে বড়িশা ক্লাব, বড়িশা সর্বজনীন, তারপর দেখুন বেহালার একাধিক বড় পুজো ৷
মাষ্টারদা সূর্য সেন: দেখতে পারেন আজাদগড়, রিজেন্ট পার্ক, রায়নগর উন্নয়নের পুজো ৷
গীতাঞ্জলি: নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো
কবি নজরুল: নবদুর্গা, বড়াল সর্বজনীন, পঞ্চ দুর্গা, তরুণ সাথী, শ্যামা পল্লি, নারকেল বাগান ৷
শহিদ ক্ষুদিরাম: এখানে নামী পুজো বলতে পাটুলি সার্বজনীন ।
এভাবে প্ল্যান করলে সহজেই উত্তর থেকে দক্ষিণের পুজো পরিক্রমা সম্পূর্ণ হবে ৷