কলকাতা, 5 অক্টোবর: পুজোর শহরে তিনি যে আসছেন আগেই থেকেই জেনে গিয়েছিল কলকাতাবাসী ৷ সেইমত চলছিল তাঁকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি ৷ কথামতো মনু ভাকেরকে বরণ করে নিল দ্বিতীয়ার শহর ৷ বিকেলে দমদম বিমানবন্দরে পা রেখেই মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো উদ্বোধন করতে চলে যান প্য়ারিস অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী শুটার ৷
ঘটনাচক্রে শনিবার ছিল হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ৷ এদিন সকালে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ঝাজ্জরের শুটার ৷ এরপর প্রতিশ্রুতিমতো নির্দিষ্ট সময়েই কলকাতার বিমান ধরেন তিনি ৷ এমনিতেই মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব জনপ্রিয়তার নিরিখে সম্ভবত শহরের বাকি পুজোগুলোকে টেক্কা দিয়ে আসছে কয়েকবছর ধরে ৷ দ্বিতীয়ার বিকেলে মনুকে পেয়ে লেকটাউনের এই পুজোয় যেন প্রাণের সঞ্চার হল ৷ তবে মনুকে পেয়ে কলকাতার মানুষের যত না উচ্ছ্বাস, উৎসবের শহর চাক্ষুষ করে জোড়া ব্রোঞ্জজয়ী অলিম্পিয়ান যেন বেশি অবাক ৷
এদিন রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গেই পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করেন মনু ৷ সঙ্গে ছিলেন শুটারকে পুজোর শহরে নিয়ে আসার ভাবনা যাঁর, সেই শতদ্রু দত্ত ৷ মণ্ডপে প্রবেশ করে প্য়ান্ডেল এবং প্রতিমা দর্শন করে মনু জানান, কলকাতায় এই সময় না-আসলে জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতেন। আর মনুকে পেয়ে অলিম্পিক্স নিয়ে প্রশ্ন হবে না তাই হয় নাকি ৷ প্যারিসের সাফল্য নিয়ে মানু বলেন, "যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ স্বপ্ন। পদক পাওয়া সেই স্বপ্নের চূড়ান্ত রূপ। দেশের হয়ে এই সাফল্য আমি আরও নিয়ে আসতে চাই। এটাই প্যারিসের পরে আমার একমাত্র লক্ষ্য।"
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মানু ভাকের এদিন অংশগ্রহণ করনে আটপৌরে শাড়িতে। উপহার হিসেবে শ্রীভূমি পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে তুলে দেওয়া হয় এক হাড়ি রসগোল্লা, মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো সোনার চেন এবং আরও স্মারক। শ্রীভূমি ছাড়াও অন্য পুজোরও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মনুর ৷ এরুপ রাতেই শহর ছাড়ার কথা তাঁর ৷