জলপাইগুড়ি, 18 এপ্রিল : জলপাইগুড়িতে ভোটপর্ব মিটেছে গতকাল ৷ ভোট শেষে ইভিএমের গাড়িতে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে আটকানোর জেরে তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ লাঠিচার্জের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ক্ষোভ উগরে দেন জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ৷ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তাঁকে ধক্কা মারারও অভিযোগ তোলেন ৷ যদিও জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার লাঠিচার্জের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ৷ তৃণমূলের তরফে তোলা অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেন বিজেপি কর্মীরা ৷
বিজেপির তরফে অভিযোগ, শনিবার জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে ভোট ছিল ৷ ভোট শেষে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বুথ থেকে বেরোতে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ৷ পরিস্থিতি দেখে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি কর্মীরা ৷ পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইভিএমের গাড়িতে করে বিজেপির পোলিং এজেন্টরা যাচ্ছিল ৷ আমরা আপত্তি তুলি ৷ কিন্তু দেখি বুলা হোড় নামে এক বিজেপি কর্মী সেখানে ভিডিয়ো করছে ৷ সেখানে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত ছিল ৷ পুলিশ আমাদের ও বিজেপি কর্মীদের সরে যেতে বললে আমরা সরে যাই ৷ কিন্তু বিজেপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে থেকে যায় ৷ এরপর পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে ৷ আমরা কেবল প্রতিবাদ করেছিলাম কেন ইভিএমের গাড়িতে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ এরপরই আমাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৷"
জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব ফোনে জানান , বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বেরাতে দেওয়া হচ্ছিল না। দুই পক্ষ বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল ৷ সবাইকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সরছিল না। তাই তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । দুই পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ লাঠিচার্জের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷
আরও পড়ুন : দুর্গাপুরে বণিকসভার অনুষ্ঠানে অরূপের নিশানায় মোদি সরকার