ETV Bharat / state

অবসরগ্রহণের পরও সেবায় অক্লান্ত এক প্রচারবিমুখ ওয়ার্ড মাস্টার - helth

2017 সালে নিয়েছেন অবসর । কিন্তু আজও প্রতিদিন সময়মত হাসপাতালে আসেন কৃষ্ণপদ দাস । কিন্তু কেন? উত্তরটা অবশ্য তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি । কারণ তিনি নিজেকে প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন ।

ওয়ার্ড মাস্টার কৃষ্ণপদ দাস
author img

By

Published : Jul 12, 2019, 5:08 AM IST

Updated : Jul 12, 2019, 5:28 AM IST

ধুপগুড়ি, 12 জুলাই: অবসর নিয়েছেন প্রায় 2 বছর আগে । কিন্তু আজও প্রতিদিন ঘড়ি ধরে হাসপাতালে আসেন । ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের কার কী সমস্যা হচ্ছে তার খোঁজ নেন । চেষ্টা করেন সেই সব সমস্যা সমাধানের ।

ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আগে 19 জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন । 4 জন অবসর গ্রহণের পর সংখ্যাটা এখন 15 । হাসপাতালে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় নিয়মমাফিক নিজের ডিউটি করে চলেছেন কৃষ্ণপদবাবু । পুরো নাম কৃষ্ণপদ দাস । তিনি ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ছিলেন । অবসর নিলেও আজও সকালে সময়মত হাসপাতালে পৌঁছে যান । যে কোনও দিন সকালে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গেলে দেখা যাবে কৃষ্ণপদবাবু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের নিয়মাবলী বুঝিয়ে দিচ্ছেন । কিংবা হাসপাতাল চত্বর সাফসুতরো রাখতে নিজেই ঝাড়ু হাতে গ্রিল পরিষ্কার করছেন । ওয়ার্ডে পড়ে থাকা আবর্জনা তুলে ফেলছেন ডাস্টবিনে । সেই সঙ্গে রয়েছে হাসপাতালের বাগান পরিচর্যা থেকে শুরু করে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের ভিতরে পান, গুটকা খাওয়া যে নিষিদ্ধ, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া ।

কিন্তু অবসর গ্রহণের পরও কেন এই স্বেচ্ছাশ্রম ? এর উত্তর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি । কারণ প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন কৃষ্ণপদবাবু । তাই ETV ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চাননি । তবে তাঁর স্ত্রী সুতপা দাস জানান, এই কাজ করে তাঁর স্বামী আনন্দ পান ।

ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, "2017 সালের জানুয়ারিতে কৃষ্ণপদবাবু অবসর নিয়েছেন । তারপর থেকে হাসপাতালের প্রতি ভালোবাসার টানেই নিয়মমাফিক স্বেচ্ছায় হাসপাতালে আসেন । নিঃস্বার্থভাবেই কাজ করেন । OPD থেকে শুরু করে ইনডোর ও অফিসের সব রকম কাজই দেখাশোনা করেন । উনি থাকাতে আমাদের অনেক কাজে সুবিধা হয় । "

ধুপগুড়ি, 12 জুলাই: অবসর নিয়েছেন প্রায় 2 বছর আগে । কিন্তু আজও প্রতিদিন ঘড়ি ধরে হাসপাতালে আসেন । ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের কার কী সমস্যা হচ্ছে তার খোঁজ নেন । চেষ্টা করেন সেই সব সমস্যা সমাধানের ।

ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আগে 19 জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন । 4 জন অবসর গ্রহণের পর সংখ্যাটা এখন 15 । হাসপাতালে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় নিয়মমাফিক নিজের ডিউটি করে চলেছেন কৃষ্ণপদবাবু । পুরো নাম কৃষ্ণপদ দাস । তিনি ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ছিলেন । অবসর নিলেও আজও সকালে সময়মত হাসপাতালে পৌঁছে যান । যে কোনও দিন সকালে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গেলে দেখা যাবে কৃষ্ণপদবাবু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের নিয়মাবলী বুঝিয়ে দিচ্ছেন । কিংবা হাসপাতাল চত্বর সাফসুতরো রাখতে নিজেই ঝাড়ু হাতে গ্রিল পরিষ্কার করছেন । ওয়ার্ডে পড়ে থাকা আবর্জনা তুলে ফেলছেন ডাস্টবিনে । সেই সঙ্গে রয়েছে হাসপাতালের বাগান পরিচর্যা থেকে শুরু করে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের ভিতরে পান, গুটকা খাওয়া যে নিষিদ্ধ, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া ।

কিন্তু অবসর গ্রহণের পরও কেন এই স্বেচ্ছাশ্রম ? এর উত্তর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি । কারণ প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন কৃষ্ণপদবাবু । তাই ETV ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চাননি । তবে তাঁর স্ত্রী সুতপা দাস জানান, এই কাজ করে তাঁর স্বামী আনন্দ পান ।

ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, "2017 সালের জানুয়ারিতে কৃষ্ণপদবাবু অবসর নিয়েছেন । তারপর থেকে হাসপাতালের প্রতি ভালোবাসার টানেই নিয়মমাফিক স্বেচ্ছায় হাসপাতালে আসেন । নিঃস্বার্থভাবেই কাজ করেন । OPD থেকে শুরু করে ইনডোর ও অফিসের সব রকম কাজই দেখাশোনা করেন । উনি থাকাতে আমাদের অনেক কাজে সুবিধা হয় । "

Intro:Body:অবসর নিয়েছেন প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় আগে।কিন্তু হাসপাতালে কর্মী অভাব এবং হাসপাতালের প্রতি টানে আজও কর্তব্যে অবিচল।হাসপাতাল চত্বরে এক প্রকার অভিভাবকের মত কাজ করে চলেছেন দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে।বহু জল বয়ে গেলেও কর্মজীবনের প্রতিদিনের কর্তব্য ভোলেননি ধুপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার কৃষ্ণপদ দাস।সকালে হাসপাতালে ঢুকেই হাসপাতালের বাগান পরিচর্যা থেকে শুরু করে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খামতি গুলো নিজের হাতে সমাধান করে চলেছেন তিনি।হাসপাতালকে বাড়ির মতো এবং চিকিৎসক থেকে অন্যান্য কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মতো ভালোবেসে মায়া ত্যাগ করতে পারেননি।তাই অবসরগ্রহনের কথা ভুলে গিয়ে কাজ করে চলেছেন।মুমুর্ষ রোগীদেরকে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছে কিনা সেই দিকেও সবসময় নজর।নিজেই হাসপাতালের ভবনের ভেতরে নোংরা ঝুল ঝাড়তে হাতে তুলে নিচ্ছেন ঝাড়ু আবার হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে রোগীর পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদের হাসপাতালের ভেতরে পান গুটকা নিয়ে সর্তক করছেন।
পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় এই স্বেচ্ছাশ্রমে খামতি রাখেননি।১৯ জন স্বাস্থ্য কর্মীর এই হাসপাতালে ছিল বর্তমানে অবসর গ্রহনের পর ১৬ জন রয়েছে।সেকারনে নিয়মমাফিক ডিউটি করে চলেছেন।মানুষের সেবায় সব সময় নিয়োজিত থেকে নিজের একমাত্র মেয়ে দেবস্মিতা দাসকে বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং কলেজেও নার্সিং পড়তে পাঠিয়েছেন এবছরই।তার অবসর গ্রহনের পর এই কাজকে নিয়ে তার স্ত্রী সুতপা দাসের কথা যদিও এই কাজ করে ভালো থাকেন ,আনন্দ পান তাই কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
তবে অবদান থাকলেও প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে আমাদের প্রতিনিধির ক্যামেরা সামনে কোনো কথা বলতে চাননি তিনি।
ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মন্ডল বলেন,গত ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে কৃষ্ণ বাবু অবসর নিয়েছেন।কিন্তু হাসপাতালে কর্মী অভাব এবং হাসপাতালের প্রতি তার অদম্য টানের কারনে এখনো কাজ করার ইচ্ছাতেই তিনি নিয়মমাফিক আসেন।তিনি এক প্রকার অভিভাবক এই হাসপাতালের ।Conclusion:
Last Updated : Jul 12, 2019, 5:28 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.