ধুপগুড়ি, 12 জুলাই: অবসর নিয়েছেন প্রায় 2 বছর আগে । কিন্তু আজও প্রতিদিন ঘড়ি ধরে হাসপাতালে আসেন । ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের কার কী সমস্যা হচ্ছে তার খোঁজ নেন । চেষ্টা করেন সেই সব সমস্যা সমাধানের ।
ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আগে 19 জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন । 4 জন অবসর গ্রহণের পর সংখ্যাটা এখন 15 । হাসপাতালে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় নিয়মমাফিক নিজের ডিউটি করে চলেছেন কৃষ্ণপদবাবু । পুরো নাম কৃষ্ণপদ দাস । তিনি ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ছিলেন । অবসর নিলেও আজও সকালে সময়মত হাসপাতালে পৌঁছে যান । যে কোনও দিন সকালে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গেলে দেখা যাবে কৃষ্ণপদবাবু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের নিয়মাবলী বুঝিয়ে দিচ্ছেন । কিংবা হাসপাতাল চত্বর সাফসুতরো রাখতে নিজেই ঝাড়ু হাতে গ্রিল পরিষ্কার করছেন । ওয়ার্ডে পড়ে থাকা আবর্জনা তুলে ফেলছেন ডাস্টবিনে । সেই সঙ্গে রয়েছে হাসপাতালের বাগান পরিচর্যা থেকে শুরু করে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হাসপাতালের ভিতরে পান, গুটকা খাওয়া যে নিষিদ্ধ, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া ।
কিন্তু অবসর গ্রহণের পরও কেন এই স্বেচ্ছাশ্রম ? এর উত্তর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি । কারণ প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন কৃষ্ণপদবাবু । তাই ETV ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চাননি । তবে তাঁর স্ত্রী সুতপা দাস জানান, এই কাজ করে তাঁর স্বামী আনন্দ পান ।
ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, "2017 সালের জানুয়ারিতে কৃষ্ণপদবাবু অবসর নিয়েছেন । তারপর থেকে হাসপাতালের প্রতি ভালোবাসার টানেই নিয়মমাফিক স্বেচ্ছায় হাসপাতালে আসেন । নিঃস্বার্থভাবেই কাজ করেন । OPD থেকে শুরু করে ইনডোর ও অফিসের সব রকম কাজই দেখাশোনা করেন । উনি থাকাতে আমাদের অনেক কাজে সুবিধা হয় । "