হাওড়া, 15 এপ্রিল: হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে কোরোনা । যে সমস্ত জায়গা থেকে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে সেইসব জায়গায় ঠিকঠাক স্যানিটাইজ়েশন এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর । অভিযোগ, যেসব বাড়িতে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে শুধুমাত্র বাইরে থেকে সেই বাড়িগুলি স্যানিটাইজ় করে চলে গেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । এরপর আর তাঁদের দেখা মেলেনি ।
ইতিমধ্যেই হাওড়া, সালকিয়া এবং শিবপুর কোরোনা হটস্পটে পরিণত হয়েছে । তাই স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় ভুগছে সাধারণ মানুষ । পাশাপাশি আরও অভিযোগ, যে সমস্ত পরিবারকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে তাদের কাছে প্রশাসনের তরফে খাদ্যদ্রব্য নিয়মিতভাবে আসছে না । ফলে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের । শিবপুরের বাসিন্দা সৌরভ ঘোষের কথায়, "যেসব বাড়িগুলি থেকে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে সেখানে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ যথাযথ হয়নি । এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপের অভাব রয়েছে । হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা পরিবারগুলি কাছেও খাদ্যদ্রব্য পৌঁছাচ্ছে না । তাই তাদের খাবার পৌঁছাতে উদ্যোগ নিতে হচ্ছে এলাকাবাসীকেই ।"
সালকিয়া এলাকার বাসিন্দা শুভাশিস পাচালের কথায়, "সালকিয়া থেকে বহু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে । যারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন । এমনকী সালকিয়ার কোরোনা আক্রান্ত বাসিন্দার মৃত্যুও হয়েছে । ফলে এই এলাকা নিয়ে প্রশাসনের যে ক্লোজ মনিটরিংয়ের প্রয়োজন ছিল তা নজরে আসছে না । শুধুমাত্র একদিন প্রাক্তন মেয়র পারিষদের উপস্থিতিতে এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়েছে । কিন্তু রোজকার যে মনিটরিং প্রয়োজন তা হয় না ।"
সরকারি তথ্য বলছে, হাওড়া হাসপাতালের পরিবর্তে বর্তমানে ILS হাসপাতালকেই ব্যবহার করা হচ্ছে কোরোনা চিকিৎসার জন্য । সেখানেই ইতিমধ্যেই 22 জন কোরোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে । পাশাপাশি বেশকিছু covid-19 আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন সত্যবালা ID হাসপাতালে। ফলে শহরের সর্বত্র কেন স্যানিটাইজ়েশন হচ্ছে না সেই প্রশ্ন উঠছে । যদিও হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা etv ভারতকে জানান, "স্যানিটাইজ়েশন প্রয়োজন মতো হচ্ছে । যেখানে যেখানে আক্রান্তের খোঁজ মিলছে সেখানে স্যনিটাইজ়েশন হচ্ছে । প্রয়োজনে ফের স্যানিটাইজ় করবে পৌরনিগম ।"