ETV Bharat / state

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ - বেলুড়

একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও মেলেনি চিকিৎসা ৷ সেই কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর ৷

মনোরঞ্জন রায়
মনোরঞ্জন রায়
author img

By

Published : Aug 15, 2020, 10:52 PM IST

বেলুড়, 15 অগাস্ট : পাঁচদিন ধরে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেও ভরতি করানো গেল না রোগীকে ৷ আর জি কর, এস এস কে এম, এন আর এস হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও কেউ ভরতি নেয়নি ৷ যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির ৷ অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর ৷ অবশেষে বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল বছর 42-এর মনোরঞ্জন রায়ের ৷ মনোরঞ্জনবাবু বেলুড়ের লালাবাবু সায়ার রোডের বাসিন্দা ৷ জুটমিলের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ৷

শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস ধরে কাজে যেতে পারছিলেন না । স্নায়ু ঘটিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৷ সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া রাজবাড়ি হাসপাতালে। মনোরঞ্জনবাবুর পরিবার বলতে ওঁর স্ত্রী ৷ বেলুড়ের লালাবাবু সায়ার রোডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি ৷ মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রী সোমার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের জানানো হয়, হাসপাতালে নার্ভের চিকিৎসার মতো পরিকাঠামো বা চিকিৎসক কোনটাই নেই । ফলে তখনই রোগীকে সেখান থেকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান ভরতি করা হয় তাঁকে । CT স্ক্যানও করা হয় । কিন্তু মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনোরঞ্জনবাবুকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, রোগীর সাবডুরাল হেমারেজ আছে । অপারেশনের প্রয়োজন ৷ তার জন্য কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে ৷ তারপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা মতো রোগীকে সেই দিনই নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালের । সেখানে ভরতি করানো হয়।


কিন্তু ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মনোরঞ্জনবাবুকে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, অপারেশনের জন্য উপযুক্ত যন্ত্র বিকল থাকায় অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় ৷ অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷ মঙ্গলবার রাতেই রোগীকে আর জি কর থেকে নীল রতন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তবে সেখানেও ভরতি করানো যায়নি মনোরঞ্জনবাবুকে । অগত্যা রোগীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী । বুধবার ফের মনোরঞ্জনবাবুকে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে জরুরি বিভাগে রোগীকে দেখার পর বেড খালি নেই বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বৃহস্পতিবার রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলা হয় ৷ হাসপাতালের কথা মতো মনোরঞ্জনবাবুকে বৃহস্পতিবার ফের এস এস কে এম হাসপাতালের নিয়ে পৌঁছান পরিবারের লোকেরা । অভিযোগ, তারপরও ভরতি নেওয়া হয়নি ৷ তখন মনোরঞ্জনবাবুর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বাধে নিরাপত্তারক্ষীদের ৷ তাপরই তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয় ৷ অগত্যা মনোরঞ্জনবাবুকে ফের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ তারপর থেকে বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছিলেন মনোরঞ্জনবাবু । অবশেষে আজ দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয় ৷

মনরঞ্জনবাবুর স্ত্রী সোমা রায় বলেন, "শারীরিক অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন স্বামী ৷ ওর অসুস্থতার জন্য আমি কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালায় ৷ কোরোনা পরিস্থিতিতে সেই কাজটুকুও হারিয়েছি ৷ সংসার চালানোর ক্ষমতা নেই ৷ এলাকার মানুষ চাল, ডাল দিয়ে সাহায্য করে ৷ আমি স্বামীকে ভালো অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ ও ছাড়া আমার কেউ নেই ৷ আমার আর কেউ থাকল না"

বেলুড়, 15 অগাস্ট : পাঁচদিন ধরে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেও ভরতি করানো গেল না রোগীকে ৷ আর জি কর, এস এস কে এম, এন আর এস হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও কেউ ভরতি নেয়নি ৷ যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির ৷ অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর ৷ অবশেষে বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল বছর 42-এর মনোরঞ্জন রায়ের ৷ মনোরঞ্জনবাবু বেলুড়ের লালাবাবু সায়ার রোডের বাসিন্দা ৷ জুটমিলের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ৷

শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস ধরে কাজে যেতে পারছিলেন না । স্নায়ু ঘটিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৷ সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া রাজবাড়ি হাসপাতালে। মনোরঞ্জনবাবুর পরিবার বলতে ওঁর স্ত্রী ৷ বেলুড়ের লালাবাবু সায়ার রোডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি ৷ মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রী সোমার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের জানানো হয়, হাসপাতালে নার্ভের চিকিৎসার মতো পরিকাঠামো বা চিকিৎসক কোনটাই নেই । ফলে তখনই রোগীকে সেখান থেকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান ভরতি করা হয় তাঁকে । CT স্ক্যানও করা হয় । কিন্তু মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনোরঞ্জনবাবুকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, রোগীর সাবডুরাল হেমারেজ আছে । অপারেশনের প্রয়োজন ৷ তার জন্য কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে ৷ তারপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা মতো রোগীকে সেই দিনই নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালের । সেখানে ভরতি করানো হয়।


কিন্তু ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মনোরঞ্জনবাবুকে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, অপারেশনের জন্য উপযুক্ত যন্ত্র বিকল থাকায় অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় ৷ অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷ মঙ্গলবার রাতেই রোগীকে আর জি কর থেকে নীল রতন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তবে সেখানেও ভরতি করানো যায়নি মনোরঞ্জনবাবুকে । অগত্যা রোগীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী । বুধবার ফের মনোরঞ্জনবাবুকে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে জরুরি বিভাগে রোগীকে দেখার পর বেড খালি নেই বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বৃহস্পতিবার রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলা হয় ৷ হাসপাতালের কথা মতো মনোরঞ্জনবাবুকে বৃহস্পতিবার ফের এস এস কে এম হাসপাতালের নিয়ে পৌঁছান পরিবারের লোকেরা । অভিযোগ, তারপরও ভরতি নেওয়া হয়নি ৷ তখন মনোরঞ্জনবাবুর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বাধে নিরাপত্তারক্ষীদের ৷ তাপরই তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয় ৷ অগত্যা মনোরঞ্জনবাবুকে ফের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ তারপর থেকে বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছিলেন মনোরঞ্জনবাবু । অবশেষে আজ দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয় ৷

মনরঞ্জনবাবুর স্ত্রী সোমা রায় বলেন, "শারীরিক অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন স্বামী ৷ ওর অসুস্থতার জন্য আমি কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালায় ৷ কোরোনা পরিস্থিতিতে সেই কাজটুকুও হারিয়েছি ৷ সংসার চালানোর ক্ষমতা নেই ৷ এলাকার মানুষ চাল, ডাল দিয়ে সাহায্য করে ৷ আমি স্বামীকে ভালো অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ ও ছাড়া আমার কেউ নেই ৷ আমার আর কেউ থাকল না"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.