হাওড়া, 6 ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ডের ইউটিউবার রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়ার খুনে (Riya Kumari Murder Case) 'ব্যবহৃত' আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করল হাওড়ার বাগনান থানার পুলিশ (Murder Weapon Recovered by Howrah Police) ৷ সোমবার সকালে বাগনানের চন্দ্রপুরে 'ঘটনাস্থল' থেকে কয়েক মিটার দূরে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে সেটিকে উদ্ধার করা হয় ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র বলতে যেটি পাওয়া গিয়েছে, সেটি আসলে দেশি পিস্তল ৷ সঙ্গে কয়েকটি কার্তুজ এবং একটি কার্তুজের খোলও উদ্ধার করা হয়েছে ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যে কার্তুজটি রিয়াকে খুন করতে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটিরও খোল উদ্ধার করেছেন তাঁরা ৷
গত বছরের 28 ডিসেম্বর ভোরে বাগনানের জাতীয় সড়কে খুন হন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রিয়া ৷ তিনি একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার (Riya Kumari Youtuber) ছিলেন ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর স্বামী প্রকাশ কুমারের বয়ানে অনেক অসঙ্গতি খুঁজে পায় ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ ৷ পরবর্তীতে প্রকাশকে জেরা করে তাঁর ভাই সন্দীপ কুমারকেও বাগনানেরই একটি গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: বয়ানে অসঙ্গতি, অভিনেত্রী রিয়ার মৃত্যুতে গ্রেফতার স্বামী প্রকাশ কুমার !
রিয়া কুমারী হত্যার ঘটনায় তদন্তে নেমে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের হাতে ৷ রিয়ার স্বামী প্রকাশ প্রথমে দাবি করেছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রীকে খুন করে চম্পট দিয়েছে ৷ যা মানতে নারাজ পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রকাশ গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর ভাই সন্দীপ গা-ঢাকা দেন ৷ যদিও তাতে শেষরক্ষা হয়নি ৷ সন্দীপকেও গ্রেফতার হতে হয় পুলিশের হাতে ৷ অন্যদিকে, রিয়া খুন হওয়ার পর তাঁর বাপের বাড়ির তরফ থেকে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ সেই অভিযোগপত্রে সন্দীপের নাম ছিল ৷
পুলিশের অনুমান, রিয়াকে খুনের উদ্দেশ্য়েই ভিনরাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ তবে, খুব সম্ভবত, বাগনানের জাতীয় সড়কের সংশ্লিষ্ট জায়গায় তিনি খুন হননি ৷ তাঁকে আগেই খুন করা হয়েছিল ৷ তারপর রিয়ার মৃতদেহ গাড়িতে বসিয়ে ওই স্থান পর্যন্ত নিয়ে আসেন প্রকাশ ৷ তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, রিয়া ও প্রকাশের একমাত্র মেয়ের জন্মদিন আসন্ন ছিল ৷ মেয়ের জন্য উপহার কেনার নাম করেই রিয়াকে কলকাতায় আসতে রাজি করা হয় ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷