হাওড়া, 28 জুন : করোনা ভাইরাসের যা দাপাদাপি, তাতে ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছে ছিলই । কিন্তু এই বয়সে ভ্যাকসিন নেওয়া কতদূর নিরাপদ, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন পরিবারের লোকেরা । ভ্যাকসিন নিলে যদি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় ? বয়স হয়েছে 100 বছর ৷ যদিও সরকারি নথিতে সংখ্যাটা 98 । মানুষটা তো দিব্যি হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছেন । দেখেছেন কলেরা-বসন্তর মতো মহামারি । কিন্তু করোনার মতো বিপর্যয় দেখেননি হাওড়ার বোষ্টম পাড়ার বাসিন্দা সনৎকুমার চট্টোপাধ্যায় ।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই । তাই সনৎবাবু ভ্যাকসিন নিতেই পারেন । কিন্তু তার আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজন । পরামর্শের জন্য দূরে যেতে হচ্ছে না বৃদ্ধকে ।
এই প্রসঙ্গে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যুবরাজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ওই ব্যক্তি ইতস্তত করছিলেন যে ভ্যাকসিন নেবেন কি না । দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় বাইরে বের হননি তিনি । অবশেষে ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ।" তিনি আরও জানান, এরপর পৌরনিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে সনৎবাবুর টিকার ব্যবস্থা করতে পেরে তিনি খুশি । আজকে সনৎবাবু তাঁর বাড়িতে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন ।
আরও পড়ুন...Howrah Rail Museum : সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হবে রেলের মিউজিয়াম
আজকে ওই বৃদ্ধকে টিকার প্রথম ডোজ দেন স্বাস্থ্যকর্মী দেবযানী গুঁই ৷ তিনি বলেন, সনৎবাবু দেশের অন্যতম প্রবীণ নাগরিক। তাঁকে ভ্যাকসিন দিতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে । এর মাধ্যমে সমাজে সকলকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া তাঁদের উদেশ্য ।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সনৎবাবু বলেন, সম্প্রতি তিনি 100 বছরে পা দিলেন । ছোটবেলায় তিনি বসন্তের টিকা নিয়েছিলেন । তারপরে আজকে কোভিডের টিকা নিলেন । তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অবস্থা আগে তিনি দেখেননি । এত ডাক্তার, নার্সদের মৃত্যু হল সেবা করতে গিয়ে তা দেখে তিনি কষ্ট পেয়েছেন । তিনি আরও বলেন, সেই বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্ল্যাক আউট হত তখন সাময়িকভাবে এই ধরনের অবস্থা হয়েছিল । কিন্তু এই ধরনের অতিমারি এর আগে তিনি দেখেননি বলেই জানালেন 100 বছরে পদার্পণ করা সনৎকুমার চট্টোপাধ্যায় ।