হাওড়া, 21 সেপ্টেম্বর: দিন কয়েকের মধ্যেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো । শারদীয়ার মরশুমে বহু বাঙালি ছুটি কাটাতে বাইরে কোথাও না কোথাও যেতে চান । দিল্লি থেকে দার্জিলিং কিংবা মুম্বাই থেকে মানালি । কিন্তু সবার তো সে সাধ্য হয় না, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বাঙালির । তাদের অনেকেই তাই যান দিঘা ও মান্দারমণি ।
কিন্তু বাঙালির দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার দিঘা-হলদিয়া ডিপোর মতোই হাওড়া গুমটির অস্থায়ী চালক ও কন্ডাক্টররা (Govt Bus Workers) । বুধবার থেকে স্থায়ীকরণের দাবিতে শুরু হয় এই কর্ম বিরতি ৷ যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে হাওড়া থেকে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় যাওয়ার সিংহভাগ সরকারি বাস । আর এই ধর্মঘটের সামনের সারিতে রয়েছেন তৃণমূলের আওতাধীন অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন ।
দুর্গাপুজোর আগে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (South Bengal State Transport Corporation) হাওড়ার ডিপোর চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কর্ম বিরতি শুরু করলেন । তাঁদের পাঁচ দফা দাবি দাওয়া রয়েছে । আর সেই দাবি না মানলে তাঁরা এই কর্ম বিরতি আগামিদিনও চালাবেন বলে জানিয়েছেন । যার ফলে এদিন হাওড়া থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো থেকে কোনওরকম বাস বের করা হয়নি । যারা স্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করছেন দফতরে তাঁরা দুটো থেকে তিনটে বাস বের করেন শুধু । পাশাপাশি তাদের এই কর্ম বিরতিতে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বেশ কয়েকটি ডিপোর চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীরাও সামিল হয়েছেন । রুটের সমস্ত সরকারি বাস পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে ।
হাওড়া ডিপোর পরিবহণ কর্মী শুভজিৎ দাস বলেন, "পুজোর মুখে এভাবে ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হয়েছি । সাধারণ মানুষের যে অসুবিধা হবে তার জন্য আমরা দুঃখিত । আমাদের বিগত দু'মাস ধরে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । তাই আমরা এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি ।"
তিনি আরও বলেন, "দিঘা ডিপোতে সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ার পরে আজকে আমরা হাওড়ায় যোগ দিয়েছি । এছাড়াও তমলুক, মেদিনীপুর, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, সিউড়ি-সহ মোট 10টি ডিপো এতে দ্রুত যোগ দেবে । আমাদের দাবি-দাওয়া যতক্ষণ না মেটানো হচ্ছে ততদিন অনির্দিষ্টকালের জন্যই এই ধর্মঘট চলবে । পাশাপাশি হাওড়া ডিপোতে নিয়মিত কর্মীরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ।"
আরও পড়ুন: পুজোর চারদিন দিনরাত মিলবে পরিষেবা, জানাল বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে দিঘাতে ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলার পর্যটন শিল্পে । পুজোর মুখে এভাবে পরিবহণ ধর্মঘট চলতে থাকলে পর্যটন ব্যবসা মার খাবে বলেই আশঙ্কা দিঘার ব্যবসায়ীদের । এতে তাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে ।