হাওড়া,10 জুন : দীর্ঘ দেড় বছর ধরে পৌরনির্বাচন না হওয়ায় হাওড়া পৌরনিগমে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে । আজ একথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন , ওয়ার্ডভিত্তিক পৌরপিতা বা পৌরমাতা থাকলে সাধারণ মানুষের কাছে যে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় তা সম্ভব হচ্ছে না । একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের উপর ভর করে একটি পৌরনিগম চলার কারণে এই অসুবিধা হচ্ছে । পূর্বতন কমিশনার তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিজিন কৃষ্ণা সেই পরিষেবা পর্যাপ্ত দিতে পারেননি বলেই নতুন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করা হয়েছে। তবে পৌরনিগমের নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসন সঠিক সময় নেবে বলেই জানান রাজীববাবু।
উল্লেখ্য, 10 ডিসেম্বর 2018, মেয়র রথীন চক্রবর্তী নেতৃত্বাধীন পৌর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর নির্বাচনের বদলে পৌরনিগমের জন্য বসানো হয় এডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ড। যাতে পৌর কমিশনার ছিলেন চেয়ারম্যান হিসেবে। পাশাপাশি এই বোর্ডে ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী, বিদায়ী মেয়র এবং এক সংবাদমাধ্যমের কর্তা। কিন্তু কিছুদিন পর সেই বোর্ড ভেঙে শুধুমাত্র পৌর কমিশনারকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারে বসানো হয়। কিন্তু এত বড় একটি পৌরনিগম একজনের তত্ত্বাবধানে থাকায় সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দল প্রত্যেকেই।
এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোরোনা সংক্রমণ হাওড়ায় সবচেয়ে বড় চিন্তা। হু হু করে বাড়ছে হাওড়া জেলায় কোরোনা সংক্রমণ। হাওড়া শহরও ব্যাতিক্রম নয়। সেই সঙ্গে আর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যার পাশাপাশি ডেঙ্গির মত মারাত্মক রোগ থাবা বসাতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্গতি এবছর ঠিক কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে তা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষের। এই প্রসঙ্গে BJP নেতা সুরজিৎ সাহা বলেন, "যে সরকারের এটা ভাবতে এক বছর দেড় বছর সময় লাগে সেই সরকার কাজ করবে কিভাবে !মানুষ পৌর পরিষেবা পাচ্ছে না । যদি মানুষ পরিষেবা পেত তাহলে বনমন্ত্রীর মুখ থেকে এই সত্যটা অকপটে বের হত না ।"