সিঙ্গুর, 15 জুন : এক তরুণ এবং এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য সিঙ্গুরে ৷ মৃত রাহুল পোড়েল (19) এবং নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সিঙ্গুরের বাগডাঙার ছিনামো গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় চাঞ্চল্য (Unnatural Death of one minor girl and an adult in Singur) ৷ পুলিশ দু’জনের দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ৷ ঘটনায় মৃত তরুণের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকার সঙ্গে ওই তরুণ দেড় বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল ৷ সেই সময় তরুণও নাবালক ছিল ৷ আইনের চোখে সেই বিয়ে স্বীকৃত নয় ৷ এমনকী নাবালিকার পরিবারও বিয়ে মেনে নেয়নি ৷ নাবালিকাকে তার বাবা-মা বাড়ি নিয়ে চলে যায় ৷ তারপরে সে রাহুলের বাড়িতে চলে যায় ৷ এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে বাগডাঙা গ্রামে একটি যাত্রার আসরে রাহুলের বাড়ির লোকজন যায় ৷ সেই সময় নাবালিকার বাড়ির লোকজন রাহুলের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷
রাহুলের পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানায় ৷ পুলিশ নাবালিকাকে হোমে পাঠিয়ে দেয় ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন আগে ওই নাবালিকাকে হোম থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ সে ফের রাহুল পোড়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ আর দু’দিন আগে হঠাৎই দু'জন নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ দুই পরিবার পুলিশের দারস্থ হয় ৷ নাবালিকার পরিবার রাহুলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ৷ পুলিশ রাহুলের পরিবারকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করে ৷ তারপরে এদিন সকালে দাইপুকুর গ্রামে একটি মাচায় দু'জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷
আরও পড়ুন : একই গাছে নাবালক-নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
রাহুলের কাকা অনীল পোড়েলের অভিযোগ, তাঁদের দু’জনকে নাবালিকার পরিবারই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা ৷ পরে মৃত রাহুলের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পুলিশ দেহ দু'টি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে মৃতদেহ দু'টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ রাহুলের পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে মোবাইল ছিল ৷ কিন্তু পুলিশ কোনও মোবাইল পায়নি ৷ ফোনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ৷