কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: বেআইনি নির্মাণ ভাঙা প্রসঙ্গে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট ৷ নারকেলডাঙা থানা এলাকায় পাঁচতলা বেআইনি বাড়ি ভাঙার জন্য একাধিকবার নির্দেশ দিয়েও কাজ না হওয়ায় কলকাতা পুরনিগমের উপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার শুনানিতে সোমবার তিনি স্পষ্ট বলে দেন, 10 মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ওই বেআইনি বাড়ি খালি করে ভাঙতে হবে। তা না-হলে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নামিয়ে বাড়ি ভাঙা হবে ৷
এই বিষয়ে পুরনিগমের আইনজীবী অলোক কুমার ঘোষ জানান, পুলিশ দখলদারদের সরাতে পারছে না। বাসিন্দাদেরও পুরোপুরি সরানো যায়নি। একটা তলা খালি করা গেলেও বাকি তলায় থাকা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো যায়নি। হয়ে গেলে ভাঙার কাজ করা হবে। এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিনহা বলেন, "রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হলে কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে ।"
কলকাতা পুরনিগমের রিপোর্ট
এদিন কলকাতা পুরনিগম সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানান, বাসিন্দারা জোর করে দখল করে বসে রয়েছেন। সরানো যাচ্ছে না। নারকেলডাঙা পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়িতে খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ভাঙার কথাও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় দেওয়ার আর্জি জানান পুরনিগম ও পুলিশের আইনজীবীরা। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, 10 মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে । তার মধ্যে যদি ওই বেআইনি বাড়ি খালি করে না ভাঙা হয় তাহলে প্যারামিলিটারি ফোর্স নামিয়ে ভাঙার কাজ হবে ৷
শুনানিতে কী কী হল ?
এদিন শুনানিতে পুরনিগমের আইনজীবী ওই বাড়ির কিছু ছবি দিয়ে বলেন, "জবরদখলকারীদের জন্য ভাঙা সম্ভব হয়নি ৷ আরেকটু সময় দেওয়া হোক।" এই কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বলেন, "আরেকটু সময় দেওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। সাতদিনে শুধু পাঁচতলার ছাদ ভেঙেছেন! পাঁচতলা ভাঙতে এক বছর সময় লাগবে নাকি ? আপনার লোকেরা বাকি ছ'দিন কী করছিল সেখানে ?" পুরনিগমের আইনজীবীর বক্তব্য, "আমরা কী করতে পারি । পুরনিগম শুধু ভাঙার কাজ করতে পারে । যারা বাধা দিচ্ছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে ।" শেষমেশ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, পুলিশ না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেবে।
বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পুলিশকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের