ETV Bharat / state

বলাগড়ে কিশোরীকে খুনের পর গণধর্ষণ, দোষী সাব্যস্ত 2

author img

By

Published : Jan 23, 2020, 8:07 AM IST

Updated : Jan 23, 2020, 8:13 AM IST

2014 সালে টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে খুন করে গণধর্ষণ করে তিনজন । বছর পাঁচেকের আগের ঘটনায় গতকাল দু'জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত । 27 জানুয়ারি রায় ঘোষণা হবে।

ছবি
ছবি

চুঁচুড়া, 23 জানুয়ারি : কিশোরীকে অপরহরণ করে খুন । পরে মৃতদেহের সঙ্গে গণধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় । বলাগড়ের বছর পাঁচেকের আগের এই ঘটনায় গতকাল দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া জেলা আদালত । অপরাধের সময় আর এক অভিযুক্তের 18 বছর না হওয়ায় তার বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে । মামলায় 27 জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবে আদালত ।

2014 সালের 12 ডিসেম্বর । টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে গৃহশিক্ষিকার বাড়ি থেকে ফিরছিল কিশোরী । সেই সময়, তাকে অপরহরণ করে গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু, কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার । জোর করে কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । ভয়ে চিৎকার করতে থাকে কিশোরী । অবস্থা বেগতিক বুঝে তাকে জোর করে খানিক দূরে এক ইটভাটার পিছনে টেনে নিয়ে যায় তিনজন । পরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । এদিকে খোঁজ শুরু হয় কিশোরীর বাড়ির তরফে । মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি মেয়েকে। পরে সেই ফোন থেকেই কিশোরীর বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শানুরা । এখানেই শেষ নয় । মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করে তারা । যাবতীয় প্রমাণ ধুয়ে মুছে সাফ করতে সেই রাতেই মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে গঙ্গার ধারে পুঁতে ফেলে ।

পরদিন বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা । তদন্তে নেমে সেদিনই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গঙ্গার পার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ । ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় কিশোরীকে । খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে 363,364/A,376(2),302,201,34 ও 6 POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয় । শুরু হয় মামলার শুনানি । গতকাল চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন । অপরাধের সময় স্বরূপ মজুমদারের বয়স 18 বছরের নিচে ছিল, তাই জুভেনাইল আদালতে তার বিচার চলছে ।

নাবিলিকার তরফে আইনজীবী সুব্রত গুছাইত জানান, উত্তর বাসুদেবপুরের পাশের গ্রামের তিনজন নাবিলকাকে অপহরণ করে খুন করে । গতকাল চুঁচুড়া আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাদের । দোষীদের যাবজ্জীবন অথবা সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে । 27 তারিখ রায় দেওয়ার দিন তাদের বক্তব্যও শোনা হবে ।

নাবালিকার বাবা জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমার মেয়ের হত্যাকারীদের সাজার জন্য অপেক্ষা করছি । বারবার ফাঁসির দাবি জানিয়েছি । নাবালক স্বরূপ মজুমদার এই মামলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে । যতক্ষণ না দোষীদের ফাঁসি হচ্ছে ততক্ষণ আমার শান্তি নেই । সাজা ঘোষণার পরও হাইকোর্ট থেকে যেন এরা ছাড়া না পায় তারজন্যই আমার পাঁচ বছরের লড়াই ।

চুঁচুড়া, 23 জানুয়ারি : কিশোরীকে অপরহরণ করে খুন । পরে মৃতদেহের সঙ্গে গণধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় । বলাগড়ের বছর পাঁচেকের আগের এই ঘটনায় গতকাল দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া জেলা আদালত । অপরাধের সময় আর এক অভিযুক্তের 18 বছর না হওয়ায় তার বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে । মামলায় 27 জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবে আদালত ।

2014 সালের 12 ডিসেম্বর । টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে গৃহশিক্ষিকার বাড়ি থেকে ফিরছিল কিশোরী । সেই সময়, তাকে অপরহরণ করে গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু, কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার । জোর করে কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । ভয়ে চিৎকার করতে থাকে কিশোরী । অবস্থা বেগতিক বুঝে তাকে জোর করে খানিক দূরে এক ইটভাটার পিছনে টেনে নিয়ে যায় তিনজন । পরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । এদিকে খোঁজ শুরু হয় কিশোরীর বাড়ির তরফে । মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি মেয়েকে। পরে সেই ফোন থেকেই কিশোরীর বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শানুরা । এখানেই শেষ নয় । মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করে তারা । যাবতীয় প্রমাণ ধুয়ে মুছে সাফ করতে সেই রাতেই মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে গঙ্গার ধারে পুঁতে ফেলে ।

পরদিন বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা । তদন্তে নেমে সেদিনই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গঙ্গার পার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ । ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় কিশোরীকে । খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে 363,364/A,376(2),302,201,34 ও 6 POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয় । শুরু হয় মামলার শুনানি । গতকাল চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন । অপরাধের সময় স্বরূপ মজুমদারের বয়স 18 বছরের নিচে ছিল, তাই জুভেনাইল আদালতে তার বিচার চলছে ।

নাবিলিকার তরফে আইনজীবী সুব্রত গুছাইত জানান, উত্তর বাসুদেবপুরের পাশের গ্রামের তিনজন নাবিলকাকে অপহরণ করে খুন করে । গতকাল চুঁচুড়া আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাদের । দোষীদের যাবজ্জীবন অথবা সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে । 27 তারিখ রায় দেওয়ার দিন তাদের বক্তব্যও শোনা হবে ।

নাবালিকার বাবা জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমার মেয়ের হত্যাকারীদের সাজার জন্য অপেক্ষা করছি । বারবার ফাঁসির দাবি জানিয়েছি । নাবালক স্বরূপ মজুমদার এই মামলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে । যতক্ষণ না দোষীদের ফাঁসি হচ্ছে ততক্ষণ আমার শান্তি নেই । সাজা ঘোষণার পরও হাইকোর্ট থেকে যেন এরা ছাড়া না পায় তারজন্যই আমার পাঁচ বছরের লড়াই ।

Intro:ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে অপহরণ করে খুন।মৃতদেহের সঙ্গে গন ধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলে দুই যুবক ও এক নাবালক। দোষীদের বুধবার চুঁচুড়া জেলা আদালতে দোষী সাবস্ত করেন বিচারপতি। 27 জানুয়ারি রায় ঘোষণা দিন।তবে যাবজ্জীবন না মৃত্যু দন্ড সেই অপেক্ষায় ছাত্রীর পরিবার।ফাঁসির দাবি জানিয়েছে ছাত্রীর বাবা।২০১৪ সালের ১২ ই ডিসেম্বর গৃহশিক্ষিকার কাছে পরে সাইকেল নিয়ে ফেরার পথে অপহরন হয় এগারো বছরের ঐ ছাত্রীর। নাম অন্বেষা মন্ডল ।ঘটনাটি বলাগরের জিরাটের।তার পরই তিন লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে ছাত্রীর বাবা চিন্ময় মন্ডলের কাছে ফোন আসে।মুক্তিপনের জন্য অপহরন করে যুবকরা।এই খুন ও গনধর্ষনের অভিযুক্ত হয় গৌরব মন্ডল ওরফে শানু,কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার।এই তিনজনকেই গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিশ।ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৬৩,৩৬৪/এ,৩৭৬(২),৩০২,২০১,৩৪ ও ৬ পকসো ধারায় মামলা দায়ের হয়।পুলিশে অভিযোগ করে ছাত্রীর পরিবার।১৪ তারিখ ইট ভাঁটার পিছনে গঙ্গার পারে মাটি খুঁরে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।ছাত্রী চেঁচামেচি করায় তাকে গলা টিপে খুন করে অভিযুক্তরা।মৃত্যুর পর গনধর্ষন করে।পরে বস্তাবন্দী করে গঙ্গার চরে পুঁতে দেয়।পাঁচ বছর পর সেই ঘটনার রায় দান হল আজ।চুঁচু্ড়া আদালতের এ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ(সেকেন্ড কোর্ট) মানষ রঞ্জন সান্যাল গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন,স্বরূপ মজুমদারের বিচার জুভেনাইল আদালতে বিচারাধীন।

আইনজীবী সুব্রত গুছাইট বলেন 12 ডিসেম্বর 2014 তে 11 বছরের অন্বেষা যখন টিউশন করে ফিরছিল। বলাগড় উত্তর বাসুদেবপুর এর পাশের গ্রামে তিনজন ছেলে অপহরণ করে খুন করে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পর। তাদের চুঁচুড়া আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আজ ।অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ মানস রঞ্জন সান্যাল তিনি দুই আসামিকে বলেন যাবজ্জীবন অথবা সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এমনকি 27 তারিখে রায় দেয়ার দিনই তাদের বক্তব্য শোনা হবে। এদিন আইনজীবী মাননীয় বিচারক কে কাছে খুন করার পর শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে পাশবিক অত্যাচারের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্বেষার বাবা চিন্ময় মন্ডল বলেন দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমার মেয়ের হত্যাকারীদের সাজার জন্য অপেক্ষা করছি। বারবার জানিয়েছি ফাঁসির দাবি হোক এই অভিযুক্তদের। নাবালক স্বরূপ মজুমদার এই কেসের থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চিন্ময় বাবুর। এই অপরাধীদের শাস্তি হোক।যতক্ষণ না এদের ফাঁসি হচ্ছে ততক্ষণ আমার শান্তি নেই। এই খুনীদের ছাড়ানোর জন্য পলিটিক্স চলছে। সাজা ঘোষণার পরও হাইকোর্ট থেকে না ছাড়া পায় তার জন্যই আমার পাঁচ বছরের লড়াই।Body:WB_HGL_CHUCHUR COURT CONVICT_7203418Conclusion:
Last Updated : Jan 23, 2020, 8:13 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.