ETV Bharat / state

বাংলার মানুষকে ডুবিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ! ডিভিসি-কেন্দ্রকে তোপ অরূপ বিশ্বাসের - Aroop Biswas

Aroop Biswas on Flood Situation: পুজোর মুখে জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷

Aroop Biswas on Flood
চক্রান্ত কেন্দ্রের অভিযোগ অরূপ বিশ্বাসের (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 19, 2024, 10:16 PM IST

পূর্ব বর্ধমান, 19 সেপ্টেম্বর: দফায় দফায় ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় পূর্ব বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলার 17টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীতে প্লাবন দেখা দেওয়ায় বাঁধ উপছে সেই জল রায়না ও জামালপুর এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে গিয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় জেলা জুড়ে 237টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও খবর। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরও 428টি বাড়ি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই 21টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেই ত্রাণ শিবিরে 3458 জন আশ্রয় নিয়েছেন।

চক্রান্ত কেন্দ্রের অভিযোগ অরূপ বিশ্বাসের (ইটিভি ভারত)

এদিন জেলা বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন জামালপুর ব্লকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ছিলেন আরও এক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথার রেশ ধরে এদিন অরূপ বিশ্বাসও বলেন, "বাংলাকে বঞ্চনা করা কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। পুজোর মুখে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলতে ডিভিসি রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলেই জল ছেড়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আমরা সবাই সাধারণ মানুষের পাশে আছি।"

ভাগিরথী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিগুলোতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এছাড়া, জাপট এলাকায় নদীর পাড় ভেঙে জনবসতি এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। পাশাপাশি পূর্বস্থলী-1 ব্লকের কিশোরীগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া, কালনার বেহুলা নদীতেও জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন নদী সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে 2 লক্ষ 69 হাজার 100 কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এদিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কটাক্ষ, পুজোর মুখে জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার 17টি ব্লক প্লাবিত হয়েছে। ফলে কালনা-1, কালনা-2, খন্ডঘোষ, গলসি-1, আউশগ্রাম-2, রায়না-1, রায়না-2, জামালপুর, কাটোয়া-1, কাটোয়া-2, কেতুগ্রাম-2, পূর্বস্থলী-1, পূর্বস্থলী-2, মন্তেশ্বর, আউশগ্রাম-1, বর্ধমান-1 ব্লকের মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন। বন্যার জেলায় 212টি গ্রামের 12908 জন মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। জেলা জুড়ে 237টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো 428টি বাড়ি।

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে জেলা জুড়ে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। ধান সবজি ফুল চাষিরা লোকসানের মুখে পড়বেন। ধান সবজি সমস্ত কিছু জলের তলায় চলে যাওয়ায় সমস্ত কিছু পচে যাবে। তবে ক্ষতি পরিমাণ জানাতে পারেনি কৃষি দফতর। জানানো হয়েছে, জল নামার পরে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "এটা ম্যান মেড বন্যা। মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। চিরকালই বাংলাকে বঞ্চনা করা কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ডিভিসি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে যেভাবে জল ছেড়েছে তার ফলে এত নিরীহ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখছি। আমরা মানুষের পাশে আছি। পুজোর মুখে এইভাবে জল ছাড়া মানুষকে ডুবিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।"

পূর্ব বর্ধমান, 19 সেপ্টেম্বর: দফায় দফায় ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় পূর্ব বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলার 17টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীতে প্লাবন দেখা দেওয়ায় বাঁধ উপছে সেই জল রায়না ও জামালপুর এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে গিয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় জেলা জুড়ে 237টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও খবর। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরও 428টি বাড়ি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই 21টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেই ত্রাণ শিবিরে 3458 জন আশ্রয় নিয়েছেন।

চক্রান্ত কেন্দ্রের অভিযোগ অরূপ বিশ্বাসের (ইটিভি ভারত)

এদিন জেলা বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন জামালপুর ব্লকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ছিলেন আরও এক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথার রেশ ধরে এদিন অরূপ বিশ্বাসও বলেন, "বাংলাকে বঞ্চনা করা কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। পুজোর মুখে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলতে ডিভিসি রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলেই জল ছেড়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আমরা সবাই সাধারণ মানুষের পাশে আছি।"

ভাগিরথী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিগুলোতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এছাড়া, জাপট এলাকায় নদীর পাড় ভেঙে জনবসতি এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। পাশাপাশি পূর্বস্থলী-1 ব্লকের কিশোরীগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া, কালনার বেহুলা নদীতেও জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন নদী সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে 2 লক্ষ 69 হাজার 100 কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এদিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কটাক্ষ, পুজোর মুখে জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার 17টি ব্লক প্লাবিত হয়েছে। ফলে কালনা-1, কালনা-2, খন্ডঘোষ, গলসি-1, আউশগ্রাম-2, রায়না-1, রায়না-2, জামালপুর, কাটোয়া-1, কাটোয়া-2, কেতুগ্রাম-2, পূর্বস্থলী-1, পূর্বস্থলী-2, মন্তেশ্বর, আউশগ্রাম-1, বর্ধমান-1 ব্লকের মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন। বন্যার জেলায় 212টি গ্রামের 12908 জন মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। জেলা জুড়ে 237টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো 428টি বাড়ি।

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে জেলা জুড়ে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। ধান সবজি ফুল চাষিরা লোকসানের মুখে পড়বেন। ধান সবজি সমস্ত কিছু জলের তলায় চলে যাওয়ায় সমস্ত কিছু পচে যাবে। তবে ক্ষতি পরিমাণ জানাতে পারেনি কৃষি দফতর। জানানো হয়েছে, জল নামার পরে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "এটা ম্যান মেড বন্যা। মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। চিরকালই বাংলাকে বঞ্চনা করা কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ডিভিসি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে যেভাবে জল ছেড়েছে তার ফলে এত নিরীহ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখছি। আমরা মানুষের পাশে আছি। পুজোর মুখে এইভাবে জল ছাড়া মানুষকে ডুবিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.