শ্রীরামপুর, 6 এপ্রিল: কোরোনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী সকলকে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালাতে আবেদন করেছিলেন । প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনকে এবার কটাক্ষ করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । বলেন, "গতকাল প্রধানমন্ত্রী নিজের উদ্যোগেই ভারতের সমস্ত নিয়মকানুনকে ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন । লকডাউনের মধ্যেও মানুষের কাছে বাজি কোথা থেকে এল তা আমি জানি না । কারও নামে অভিযোগ করব না । তবে এটা সত্যি কথা BJP-র লোকেরা গোটা ভারতে বাজি ফাটিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কত বড় মহান ব্যক্তি ।"
তিনি বলেন, "এখন যে সময় চলছে এটা আনন্দ-ফূর্তির সময় নয়। সামর্থ্য মতো জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। সাধারণ মানুষ ঘরে থাকছেন । এছাড়া সমবেত হওয়ার কোনও জায়গাই নেই ।" এদিকে চলতি সপ্তাহে ৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন । তাতে যোগ দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস । এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পার্লামেন্ট চলার সময়ই বলা হয়েছিল, কোরোনা নিয়ে সারাবিশ্বে কী হচ্ছে । তা নিয়ে বৈঠক ডাকতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু তখন তো তিনি ডাকলেন না । এটা সত্যি কথা নরেন্দ্র মোদি কারও কথা শোনেন না। উনি নিজের তালে, নিজের চালে চলেন । এখন একটা বিপদের মধ্যে পড়েছেন তাই স্টেজে মেকআপ দেওয়ার জন্য এই সমস্ত সর্বদলীয় বৈঠকের কথা বলছেন । উনি খুব ভালো বক্তা, এটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু ওঁর ব্যর্থতাগুলো ওই ভাষণের মধ্যে দিয়ে ঢেকে রাখেন উনি । এখন ভাষণ দিয়ে ব্যর্থতা ঢেকে রাখার জায়গা নেই সেটা প্রমাণিত হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে কত টাকা ঢুকেছে, আর উনি কত টাকা খরচা করছেন সেটা জানানো উচিত ।"
এদিকে শ্রীরামপুরের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হাতে PPE কিট তুলে দেন সাংসদ । মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন । এছাড়াও কোরোনা মোকাবিলায় সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে এক কোটি টাকা দিয়েছেন হুগলির জেলা শাসককে ।