শ্রীরামপুর, 5 জুলাই : মাহেশের রথের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেসময় জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেয় একদল যুবক । সেজন্য কয়েকজনকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ । যদিও তারপরও থামেনি জয়শ্রীরাম ধ্বনি ।
গতকাল রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মাহেশে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরনোর সময় জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয় । পরে রথ টানার রথের দড়ি সময়ও জয়শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে । রথের দড়িতে হাত লাগান অন্যরাও । সেসময় জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেয় কয়েকজন যুবক । তাতে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ভ্রূক্ষেপ করেননি । কিন্তু, পরে যুবকদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ । এরপরও চলতে থাকে জয়শ্রীরাম ধ্বনি ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : পুলিশ গুলি চালালে চালাক, রথযাত্রার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই উঠবে জয়শ্রীরাম ধ্বনি : BJP
প্রসঙ্গত, বুধবার BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য জানান, পুলিশ গুলি চালালে পরোয়া করা হবে না । মুখ্যমন্ত্রীর সামনে জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হবেই । তিনি বলেন, "জয়শ্রীরাম ধ্বনি কোনও কুরুচিকর কথা নয় । বর্তমানে তৃণমূলের কাছে বিকৃত আকার ধারণ করেছে । সাংবিধানিক আওতার মধ্যে থেকে জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেব । যদি কেউ মনে করেন, এটা অসাংবিধানিক বা বেআইনি তবে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে । জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিলে বাঁকুড়া, বীরভূমে পুলিশ গুলি চালাচ্ছে । এই ধ্বনি দিলে পুলিশ গুলি চালালে চালাবে । তাতে কী আছে !" এরপর গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মাহেশে রথের দড়ি টানার সময় জয়শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে । তা মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছেছে কি না বলা কঠিন । পৌঁছালেওএকেবারেই আমল দেননি তাতে । আর এখানের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, জয়শ্রীরাম শুনে মেজাজ হারানোয় BJP এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছিল । এখন সেই ধ্বনিতে পাত্তা না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী BJP-র অস্ত্রকে ভোঁতা করতে চাইছেন ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : 'জয়শ্রীরাম'- এর জের, মমতার যাত্রাপথে জমায়েত রুখতে তৎপর নবান্ন