শ্রীরামপুর, 18 জুন: রাজ্যে প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন । আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তৃণমূলও সরব হয়েছে ৷ যদিও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক বা না থাকুক, তাতে তাঁর দলের কিছু আসে যায় না ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির চাকরে পরিণত হলে তাতেই তাঁর আপত্তি ৷
রবিবার শ্রীরামপুরে তাঁর অফিসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকল কি না থাকল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না । রাজনৈতিক দল হিসাবে আমরা কোনও আপত্তি জানাচ্ছি না । এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, তখনও আমরা জিতেছি । কিন্তু আমার বক্তব্য হল, কেন্দ্রীয় বাহিনী তো পাবলিক সারভেন্ট ৷ তাহলে বিজেপি-কংগ্রেস কেন বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে ? কারণ ওরা চাইছে, পাবলিক সারভেন্টকে বিজেপির সারভেন্ট তৈরি করতে । এটাতেই আমার আপত্তি । যাঁরাই কেন্দ্র থেকে আসছেন, তাঁরা কেউ পাবলিক সারভেন্ট থাকছেন না ৷ বিজেপির সারভেন্টে পরিণত হচ্ছেন ।"
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল কি সরকারি টাকায় কোট-সানগ্লাস কিনেছেন ? প্রশ্ন কুণালের
রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে ৷ হুগলির আরামবাগেও বাইক বাহিনীর তাণ্ডব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ । যদিও এই অভিযোগ এ দিন উড়িয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "এই অভিযোগ মিথ্যে । আমার সাংসদ এলাকার কথা বলছি । যেখানে বিজেপি প্রার্থীরা তাঁদের নেতাদের গালিগালাজ দিচ্ছেন আর বলছেন যে, নেতারা দিল্লি থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে আসছেন আর মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের টাকা দিচ্ছেন না । সব টাকা নেতারা খেয়ে নিচ্ছেন । কর্মীদের কাছে আসছে না ।"
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের মামলাকে কটাক্ষ করে কল্যাণ এ দিন বলেন, আর একটা মামলাই করা বাকি আছে বিরোধীদের । তাঁর কথায়, "হাইকোর্ট গিয়ে ওরা বলুক, ধর্মাবতার বিরোধী যাঁরা নমিনেশন করেছেন তাঁদের জয়ী ঘোষণা করে দিন । এটুকুই বাকি আছে বিজেপি-কংগ্রেসের ।"