ETV Bharat / state

লকডাউনে ভিক্ষা মিলছে না, অনাহারেই দিন কাটাছে ভিক্ষুকদের

হুগলির ব্যান্ডেল, সিমলাগড়, চুঁচুড়া ও মগরা সহ নানা এলাকায় মন্দিরে, ট্রেনে ভিক্ষা করেন তাঁরা । কিন্তু লকডাউনের জেরে আপতত বিপাকে পড়েছেন । দু'বেলা খাবার জোটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

author img

By

Published : Apr 18, 2020, 10:32 PM IST

ছবি
ছবি

চুঁচুড়া, 18 এপ্রিল : কেউ চোখে দেখতে পান না । কারও বয়স অনেক । খেটে খাওযার ক্ষমতা নেই । কোনওরকম এদিক ওদিক ভিক্ষা করে দিন গুজরান হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে সে পথও বন্ধ । ট্রেন,স্টেশন ,মন্দির থেকে গঙ্গার ঘাট । লকডাউনের জেরে হুগলির ব্যান্ডেল, সিমলাগড়, চুঁচুড়া ও মগরা সহ নানা এলাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার খানেক ভিক্ষুক ।

কেউ থাকেন স্টেশনে । কারও রাত কাটে গঙ্গার ঘাটে। কারও সম্বল বস্তির ভাঙাচোরা একটি ঘর । পথচলতি মানুষ, মন্দিরে আসা ভক্তররা কিংবা ট্রেনে বাসের যাত্রীদের সাহায্যে দিন কাটত তাঁদের । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বন্ধ । তাই তাঁদের দুবেলার খাবারও বন্ধ । মাঝে মাঝে কিছু মিললেও , তা খুবই অল্প। গৌর দাসের বাড়ি ব্যান্ডেলে। খেটে খাওয়ার ক্ষমতা নেই । তাই এদিক ওদিকে ভিক্ষা চেয়ে দিন কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন তিনিও । গৌর দাস বলেন, "বেশ কিছু জায়গায় খাবারের জন্য বলেছি । কিন্তু সেভাবে কোনও সাহায্য পাচ্ছি না । সরকারি তরফেও কোনও সাহায্য মিলছে না । কেউ একদিন খেতে দিলে, তাহলে খেতে পাই। বাকি দিনগুলি অনাহারেই কাটাতে হয় । সরকারি তরফে কিছু সাহায্য পেলে কিছুটা হলেও উপকার হত।" ঊষারানি মাইতি চোখে দেখতে পান না । তিনি ট্রেনে ও স্টেশনে ভিক্ষা করে কোনওরকমে দিন কাটাতেন । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সে পথ বন্ধ । এখন একবেলা কোনওরকম কিছু জুটলে, পরের বেলা না খেয়েই কাটে ।

তাঁদের দাবি, এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত বা BDO অফিস থেকেও কোনওরকম সাহায্য করা হয়নি । আপাতত অনাহারেই দিন কাটছে ।

চুঁচুড়া, 18 এপ্রিল : কেউ চোখে দেখতে পান না । কারও বয়স অনেক । খেটে খাওযার ক্ষমতা নেই । কোনওরকম এদিক ওদিক ভিক্ষা করে দিন গুজরান হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে সে পথও বন্ধ । ট্রেন,স্টেশন ,মন্দির থেকে গঙ্গার ঘাট । লকডাউনের জেরে হুগলির ব্যান্ডেল, সিমলাগড়, চুঁচুড়া ও মগরা সহ নানা এলাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার খানেক ভিক্ষুক ।

কেউ থাকেন স্টেশনে । কারও রাত কাটে গঙ্গার ঘাটে। কারও সম্বল বস্তির ভাঙাচোরা একটি ঘর । পথচলতি মানুষ, মন্দিরে আসা ভক্তররা কিংবা ট্রেনে বাসের যাত্রীদের সাহায্যে দিন কাটত তাঁদের । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বন্ধ । তাই তাঁদের দুবেলার খাবারও বন্ধ । মাঝে মাঝে কিছু মিললেও , তা খুবই অল্প। গৌর দাসের বাড়ি ব্যান্ডেলে। খেটে খাওয়ার ক্ষমতা নেই । তাই এদিক ওদিকে ভিক্ষা চেয়ে দিন কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন তিনিও । গৌর দাস বলেন, "বেশ কিছু জায়গায় খাবারের জন্য বলেছি । কিন্তু সেভাবে কোনও সাহায্য পাচ্ছি না । সরকারি তরফেও কোনও সাহায্য মিলছে না । কেউ একদিন খেতে দিলে, তাহলে খেতে পাই। বাকি দিনগুলি অনাহারেই কাটাতে হয় । সরকারি তরফে কিছু সাহায্য পেলে কিছুটা হলেও উপকার হত।" ঊষারানি মাইতি চোখে দেখতে পান না । তিনি ট্রেনে ও স্টেশনে ভিক্ষা করে কোনওরকমে দিন কাটাতেন । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সে পথ বন্ধ । এখন একবেলা কোনওরকম কিছু জুটলে, পরের বেলা না খেয়েই কাটে ।

তাঁদের দাবি, এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত বা BDO অফিস থেকেও কোনওরকম সাহায্য করা হয়নি । আপাতত অনাহারেই দিন কাটছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.