কালনা, 28 ডিসেম্বর: তৃণমূলই, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করছে ! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলবাজির চেষ্টার ঘটনায় এভাবেই শাসকদলকে নিশানা করলেন সিপিআইএমের রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলে পদে থাকতে হলে তোলবাজি করা বাধ্যতামূলক ৷ তাই নিজেদের দলের লোকজনকেই এখন হুমকি দিচ্ছে তাঁরা ৷
পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সিপিআইএমের দলীয় সভায় অংশ নেন মহম্মদ সেলিম ৷ সেখানেই সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, "যে ক’জন ধরা পড়ল, তার মানে এই ধরনের কাজগুলো হচ্ছে ৷ সেটা আই প্যাক হোক বা ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতর বা এমএলএ, এমপি-দের দফতর থেকে এগুলো হচ্ছে ৷ তৃণমূল, তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে তোলবাজি করছে ৷ এর মধ্যে কিছু ধান্দাবাজও ঢুকতে পারে ৷"
উল্লেখ্য, কালনা পুরসভার পুরপ্রধানের কাছ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর ও এক ভোটকুশলী সংস্থার শীর্ষকর্তার নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ যে ঘটনায় কলকাতার এমএলএ হস্টেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ এই ঘটনায় বিজেপির বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র নাম করে হস্টেলের ঘর বুক করার অভিযোগও উঠেছে ৷ যদিও, বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷
পুরপ্রধানের থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগের ঘটনা নিয়ে সেলিম বলেন, "এখন কে পুরসভার চেয়ারম্যান থাকবেন, তা আর মানুষ ঠিক করে না ৷ তৃণমূলকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তারা এমন ব্যবস্থা কেন করলেন যে কে চেয়ারম্যান থাকতে পারবেন আর কে পারবেন না, তা আইপ্যাক বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর ঠিক করবে ৷"
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেলিম ৷ তিনি অভিযোগ করেন, "যখন সংবিধান বহির্ভূত সংস্থা সবকিছু পরিচালনা করে, তখন এই ধরনের ছ্যাবলামি চোখে পড়ে ৷ আসলে তৃণমূল দল প্রশাসনে এই ধরনের ব্যবস্থা তৈরি করেছে ৷ একটা কালীঘাট থেকে চলছে ৷ একটা ক্যামাক স্ট্রিট থেকে, আর একটা নবান্ন থেকে চালানো হচ্ছে ৷ আর আমাদের আইএএস এবং আইপিএস-রা চোর-গুন্ডা-ধর্ষক ধরার বদলে, এই সমস্ত লোকেদের সেবা দাসে পরিণত হয়েছে ৷"