ETV Bharat / state

লকডাউনে অন্ধকারে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা - lockdown

লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে । অনেকেরই রোজগার বন্ধ । এবার সমস্যায় পড়লেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা ।

due to corona lighting industry of Hooghly in danger
চন্দননগরের আলোক শিল্প
author img

By

Published : Apr 16, 2020, 4:00 PM IST

Updated : Apr 27, 2020, 6:36 PM IST

চন্দননগর, 16 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ ৷ বাদ যাননি চন্দননগরের আলোক শিল্পীরাও ৷ কাজের অর্ডার নেই ৷ বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই ৷ এরকম চলতে থাকলে কাজ বন্ধের আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা ৷

নববর্ষে কাজের অর্ডার নিতে শুরু করেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা ৷ দুর্গাপুজো, কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজো নয় ৷ বিদেশ থেকেও তাঁদের কাছে এই সময় থেকেই অর্ডার আসতে শুরু করে ৷ কিন্তু, এবছর ছবিটা পালটে গিয়েছে ৷ লকডাউনের জেরে পুরনো কাজের অর্ডার বাতিল হয়েছে ৷ নতুন কাজও পাচ্ছেন না শিল্পীরা ৷ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন বহু শিল্পী ৷ বাইরে বের হতে পারছেন না ৷ সেখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নিজেরাই করছেন ৷ এই পরিস্থিতি না বদলালে ভবিষ্যতে তাঁদের কাজ বন্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা ৷

টানা লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কল-কারখানা বন্ধ ৷ বন্ধ উৎপাদন ৷ এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই ৷ দুর্গাপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোকে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেন আলোক শিল্পীরা ৷ বড় বাজেটের পুজোগুলির অর্ডার নিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন তাঁরা ৷ তবে এবছর পরিস্থিতি অনুকূল নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা ৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা জমায়েত না করার নিয়ম যদি পুজোর সময়ও থাকে, সেক্ষেত্রে নতুন অর্ডার না আসার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী বাবু পাল ৷

due to corona lighting industry of Hooghly in danger
রোজগার বন্ধ আলোকশিল্পীদের

পাশাপাশি চিন থেকে LED লাইট এনে ব্যবহার করেন শিল্পীরা ৷ কোরোনার জেরে তার সরবরাহও বন্ধ হয়েছে ৷ এই অবস্থায় কাজ বন্ধও করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা ৷ চন্দননগরে একশোর উপর আলোক শিল্পের কারখানা রয়েছে ৷ সেখানে 125 জন শিল্পী রয়েছেন ৷ এর পাশাপাশি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রায় 10 হাজার মানুষ ৷ ভিন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসে এখানে থাকেন ৷ তাঁরাও লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছেন ৷ কাজ বন্ধ করে দিলে এইসব দিন আনা দিন খাওয়া লোকেদের সংসার কীভাবে চলবে? তাই বাধ্য হয়ে অল্প হলেও কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা ৷

পরিবহনে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র ৷ কিন্তু তৈরি হওয়া অর্ডার সরবরাহ করতে না পারলেও ক্ষতি হবে আলোক শিল্পে ৷ আগামী বছরের জন্য ইতিমধ্যেই বুকিং নিতে শুরু করেছেন অনেকে ৷ কিন্তু এবছরের জন্য এখনও অর্ডার পাচ্ছেন না ৷ যথেষ্ট চিন্তায় শিল্পী ও শ্রমিকরা ৷

লকডাউনের জেরে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ৷ ভবিষ্যতে আরও অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কিন্তু শ্রমিক ও শিল্পীদের ভরসা দিচ্ছেন চন্দননগরের ব্যবসায়ীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেদের উদ্যোগে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখে দু-মুঠো ভাত তুলে দিচ্ছেন তাঁরা ৷

কোরোনার জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা

চন্দননগর, 16 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ ৷ বাদ যাননি চন্দননগরের আলোক শিল্পীরাও ৷ কাজের অর্ডার নেই ৷ বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই ৷ এরকম চলতে থাকলে কাজ বন্ধের আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা ৷

নববর্ষে কাজের অর্ডার নিতে শুরু করেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা ৷ দুর্গাপুজো, কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজো নয় ৷ বিদেশ থেকেও তাঁদের কাছে এই সময় থেকেই অর্ডার আসতে শুরু করে ৷ কিন্তু, এবছর ছবিটা পালটে গিয়েছে ৷ লকডাউনের জেরে পুরনো কাজের অর্ডার বাতিল হয়েছে ৷ নতুন কাজও পাচ্ছেন না শিল্পীরা ৷ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন বহু শিল্পী ৷ বাইরে বের হতে পারছেন না ৷ সেখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নিজেরাই করছেন ৷ এই পরিস্থিতি না বদলালে ভবিষ্যতে তাঁদের কাজ বন্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা ৷

টানা লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কল-কারখানা বন্ধ ৷ বন্ধ উৎপাদন ৷ এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই ৷ দুর্গাপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোকে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেন আলোক শিল্পীরা ৷ বড় বাজেটের পুজোগুলির অর্ডার নিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন তাঁরা ৷ তবে এবছর পরিস্থিতি অনুকূল নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা ৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা জমায়েত না করার নিয়ম যদি পুজোর সময়ও থাকে, সেক্ষেত্রে নতুন অর্ডার না আসার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী বাবু পাল ৷

due to corona lighting industry of Hooghly in danger
রোজগার বন্ধ আলোকশিল্পীদের

পাশাপাশি চিন থেকে LED লাইট এনে ব্যবহার করেন শিল্পীরা ৷ কোরোনার জেরে তার সরবরাহও বন্ধ হয়েছে ৷ এই অবস্থায় কাজ বন্ধও করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা ৷ চন্দননগরে একশোর উপর আলোক শিল্পের কারখানা রয়েছে ৷ সেখানে 125 জন শিল্পী রয়েছেন ৷ এর পাশাপাশি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রায় 10 হাজার মানুষ ৷ ভিন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসে এখানে থাকেন ৷ তাঁরাও লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছেন ৷ কাজ বন্ধ করে দিলে এইসব দিন আনা দিন খাওয়া লোকেদের সংসার কীভাবে চলবে? তাই বাধ্য হয়ে অল্প হলেও কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা ৷

পরিবহনে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র ৷ কিন্তু তৈরি হওয়া অর্ডার সরবরাহ করতে না পারলেও ক্ষতি হবে আলোক শিল্পে ৷ আগামী বছরের জন্য ইতিমধ্যেই বুকিং নিতে শুরু করেছেন অনেকে ৷ কিন্তু এবছরের জন্য এখনও অর্ডার পাচ্ছেন না ৷ যথেষ্ট চিন্তায় শিল্পী ও শ্রমিকরা ৷

লকডাউনের জেরে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ৷ ভবিষ্যতে আরও অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কিন্তু শ্রমিক ও শিল্পীদের ভরসা দিচ্ছেন চন্দননগরের ব্যবসায়ীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেদের উদ্যোগে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখে দু-মুঠো ভাত তুলে দিচ্ছেন তাঁরা ৷

কোরোনার জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা
Last Updated : Apr 27, 2020, 6:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.