ভদ্রেশ্বর, 2 ডিসেম্বর : আত্মরক্ষার প্রশ্নে প্রত্যেক মেয়েরই উচিৎ ক্যারাটে শেখা ৷ ক্যারাটে না শিখলেও স্বাবলম্বী হতে ক্যারাটে বেসিক কিছু জিনিস অন্তত জেনে রাখা উচিৎ ৷ বাচিক শিল্পী জাহ্নবী এই ভাবনায় ভাবিত হয়েই নাম লিখিয়েছেন ক্যারাটে প্রশিক্ষণে ৷ আর এই ভাবনাই বদলে দেয় জাহ্নবীর জীবনের অভিমুখ ৷ প্রথমে রাজ্যস্তর পরে জাতীয় স্তরে একের পর এক পদক জিতে ইয়েলো বেল্ট জাহ্নবীর এবার বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পালা ৷
আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে জাহ্নবী আগামী বছর পাড়ি দিতে চলেছেন রাশিয়া (Jahnvi To Participate International Competition In Russia Next Year) ৷ গ্যাংটকে প্রথমবার জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন তিনি। তবে কেবল জাহ্নবীই নন, বাংলা থেকে পারমিতা দত্ত রায় ও প্রিয়াঙ্কা মুর্মুরাও যোগ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ৷
বৈবাহিক সূত্রে বোলপুরে বাচিক শিল্পী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর এক অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক কৌশভ সান্যালের সঙ্গে আলাপ হয় জাহ্নবীর। তিনদিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে জাহ্নবীর ক্যারাটে যাত্রা শুরু। বাকিটা ইতিহাস ৷
জাহ্নবীর জীবন ছিল আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই। স্বামী ও মেয়ে নিয়ে বেশ সংসার করছিলেন। কিন্তু বিবাহ-বিচ্ছেদ বদলে দিয়েছিল সবকিছু। মেয়েকে নিয়ে একাকী সমাজে লড়াই করে বেঁচে থাকার ভাবনা শুরু হয় জাহ্নবীর। আর ক্যারাটেই শেষ অবধি পথ চেনাল তাঁকে ৷ ভদ্রেশ্বরের সাধারণ মেয়ের অসাধারণ কীর্তি অনুপ্রাণিত করতেই পারে পরবর্তী প্রজন্মকে ৷