ETV Bharat / state

হুগলি জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কতটা ওয়াকিবহল প্রশাসন, উঠছে প্রশ্ন - চন্দননগর

হুগলি জেলায় এই মুহুর্তে মোট কোভিড বেডের সংখ্যা 186 টি । তবে কোভিডের সংক্রমণ যে হারে বেড়ে চলেছে , তার জন্য আগামীদিনে বেড বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ৷ ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে 101টি , চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে 20টি ও সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার হাসপাতালে 70 টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে । ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনটি হাসপাতাল মিলিয়ে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে মোট 639 টি বেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে ।

হুগলি জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কতটা ওয়াকিবহল প্রশাসন
হুগলি জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কতটা ওয়াকিবহল প্রশাসন
author img

By

Published : Apr 21, 2021, 4:59 PM IST

চন্দননগর , 21 এপ্রিল : রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে জেলাগুলিকেও ৷ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন ৷ হুগলি জেলাও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় । গতকাল পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা 3 হাজার 731 জন । হুগলি জেলায় ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতাল , সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার ও চন্দননগর হাসপাতাল সহ আরও বেশ কিছু হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে । কিন্তু যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই কয়েকটা হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত নয় । সাধারণ মানুষ থেকে সকলেই দাবি করছেন করোনা নিয়ে আরও সচেষ্ট হোক সরকার ।
হুগলি জেলায় এই মুহূর্তে মোট কোভিড বেডের সংখ্যা 186 টি । তবে কোভিডের সংক্রমণ যে হারে বেড়ে চলেছে , তার জন্য আগামীদিনে বেড বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ৷ ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে 101টি , চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে 20টি ও সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার হাসপাতালে 70 টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে । ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনটি হাসপাতাল মিলিয়ে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে মোট 639 টি বেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে । তার মধ্যে 490 টি জেনারেল ও 149 টি আইসিইউ তে বেড বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে । জেলার প্রতিটা ব্লকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে সেফ হোম ।

হুগলি জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কতটা ওয়াকিবহল প্রশাসন !

পাণ্ডুয়া সহ শ্রীরামপুর, চন্দননগর, আরামবাগের প্রতিটি ব্লকে গড়ে তোলা হবে সেফ হোম । সেই সঙ্গে বেসরকারিভাবে শ্রীরামপুরে শ্রমজীবি হাসপাতালও তাদের নিজেদের উদ্যোগে 50 টি বেড করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করেছে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন , করোনার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । মোট সাতটি 102 নং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ।

চন্দননগর পৌরনিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, পৌরনিগমের যে সমস্ত প্রথম সারির কর্মীরা আছেন করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁদের মাক্স ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই । মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি চন্দননগরের বাজারগুলিকে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য ।

এই বিষয়ে চন্দননগর পরিবেশ একাডেমি ও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, " কেন্দ্রীয় সরকার করোনার টিকাকরণ ব্যাপকভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করেননি । সেই কারণেই ভ্যাকসিনের অভাব সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষ করে কলকারখানার শ্রমিকরা আরও বেশি বঞ্চিত হচ্ছে এই টিকাকরণ থেকে । করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের কারণে রাজনৈতিক যে মিটিং-মিছিল সভা চলছে তা কখনই উচিত নয় । আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছি । যাতে এটা বন্ধ করা যায় । "

এই বিষয়ে হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে হুগলি জেলায় ৷ আক্রান্তদের বেড নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান তিনি ।

আরও পড়ুন : নয়া রেকর্ড, দেশে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় 3 লাখ; মৃত দু'হাজারের বেশি

চন্দননগর , 21 এপ্রিল : রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে জেলাগুলিকেও ৷ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন ৷ হুগলি জেলাও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় । গতকাল পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা 3 হাজার 731 জন । হুগলি জেলায় ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতাল , সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার ও চন্দননগর হাসপাতাল সহ আরও বেশ কিছু হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে । কিন্তু যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই কয়েকটা হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত নয় । সাধারণ মানুষ থেকে সকলেই দাবি করছেন করোনা নিয়ে আরও সচেষ্ট হোক সরকার ।
হুগলি জেলায় এই মুহূর্তে মোট কোভিড বেডের সংখ্যা 186 টি । তবে কোভিডের সংক্রমণ যে হারে বেড়ে চলেছে , তার জন্য আগামীদিনে বেড বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ৷ ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে 101টি , চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে 20টি ও সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার হাসপাতালে 70 টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে । ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনটি হাসপাতাল মিলিয়ে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে মোট 639 টি বেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে । তার মধ্যে 490 টি জেনারেল ও 149 টি আইসিইউ তে বেড বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে । জেলার প্রতিটা ব্লকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে সেফ হোম ।

হুগলি জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কতটা ওয়াকিবহল প্রশাসন !

পাণ্ডুয়া সহ শ্রীরামপুর, চন্দননগর, আরামবাগের প্রতিটি ব্লকে গড়ে তোলা হবে সেফ হোম । সেই সঙ্গে বেসরকারিভাবে শ্রীরামপুরে শ্রমজীবি হাসপাতালও তাদের নিজেদের উদ্যোগে 50 টি বেড করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করেছে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন , করোনার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । মোট সাতটি 102 নং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ।

চন্দননগর পৌরনিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, পৌরনিগমের যে সমস্ত প্রথম সারির কর্মীরা আছেন করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁদের মাক্স ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই । মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি চন্দননগরের বাজারগুলিকে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য ।

এই বিষয়ে চন্দননগর পরিবেশ একাডেমি ও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, " কেন্দ্রীয় সরকার করোনার টিকাকরণ ব্যাপকভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করেননি । সেই কারণেই ভ্যাকসিনের অভাব সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষ করে কলকারখানার শ্রমিকরা আরও বেশি বঞ্চিত হচ্ছে এই টিকাকরণ থেকে । করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের কারণে রাজনৈতিক যে মিটিং-মিছিল সভা চলছে তা কখনই উচিত নয় । আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছি । যাতে এটা বন্ধ করা যায় । "

এই বিষয়ে হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে হুগলি জেলায় ৷ আক্রান্তদের বেড নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান তিনি ।

আরও পড়ুন : নয়া রেকর্ড, দেশে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় 3 লাখ; মৃত দু'হাজারের বেশি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.