খানাকুল, 26 অগাস্ট : গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের জেরে প্লাবিত রূপনারায়ণ নদের দু'ধার ৷ আর তাতেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খানাকুলের বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়েছে ৷ আজ বন্যা পরিস্থিতি দেখতে হাজির ছিলেন হুগলির জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ৷ তিনি ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে খতিয়ে দেখলেন ৷
স্থানীয়রা জানায়, রূপনারায়ণ নদ সংলগ্ন খানাকুলের 2 নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত ৷ উপচে গিয়েছে মায়াপুর গড়ের ঘাট রুটের নন্দনপুর এলাকায় জল উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৷ মাড়োখানা, ধান্যঘোড়ি, জগৎপুর, পান শিউলি, রাজহাটি 1 ও 2, জগদীশতলা, কাকনানসহ বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই জেলার সেচ বিভাগের তরফে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷
গ্রামের মধ্যে জল ঢুকেছে ৷ বাড়ির মধ্যেও জল ঢুকে গেছে ৷ প্লাবিত একাধিক এলাকা ৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই DVC দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে আজ সকাল সাড়ে আঠাশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷ যা বিপদ সীমারেখার থেকে অনেকটাই কম ৷
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলাশাসক বলেন, "খানাকুলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম ৷ এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷ রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর এবং দামোদর নদের জল আপাতত বিপদ সীমার নীচেই রয়েছে ৷ কিছু কিছু স্থানে জল ঢুকে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ আগামী এক মাস সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে ৷"