কলকাতা, 22 মার্চ: তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাকরি চুরি ও বিক্রির অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির । বাড়ির পরিচারিকা থেকে শুরু করে এলআইসি এজেন্ট-কে চাকরি বিক্রি করেন চুঁচুড়া পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরস্বতী পাল (Sukanta Majumdar has accused Trinamool Councillor)। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নির্মল সাথী-সহ 17 জনের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির ৷ এই অস্থায়ী পদের নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার । একটি লিস্টও দেখান তিনি ।
যদিও সুকান্ত মজুমদারের আনা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সরস্বতী পাল । কাউন্সিলর সরস্বতী পালের দাবি, তাঁর আমলে এক বছরে এত পদে নিয়োগ হয়নি । তবে তাঁর বোন পূর্ণিমা দাস 'নির্মল সাথী' হিসাবে কাজ পেয়েছেন । তাঁর আরও দাবি, দলের জন্য যাঁরা কাজ করছে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন । যদিও পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়ের দাবি করেন কোনও নিয়োগ হয়নি । একমাত্র 'নির্মল বন্ধু ও নির্মল সাথী' প্রকল্পের জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক দু-তিনজন অস্থায়ী কাজ পেয়েছেন । বিজেপি যা বলছে তা ভিত্তিহীন, দবি চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়ের ৷
তবে এদিন সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই চুঁচুড়া পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরস্বতী পাল বলেন, "চারিদিকে যা চলছে, হতে পারে উনি উলটো-পালটা কথা বলছেন । এক বছরে পৌরসভার নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য হয়েও ওয়ার্ডে একটা ইট গাঁথতে পারেননি । চাকরি তো কোনও দুরস্ত । আমার ওয়ার্ডে আমার পরিবার ও মানুষরা সমান । কোথাও এমন লেখা নেই কাউন্সিলরের পরিবারে বা অন্য কারোকে কাজ দেওয়া যাবে না ।"
তিনি আরও জানান, সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে ধর্মতলা অভিযানে যেমন পরিবারের লোকজন ছিল, তেমনি আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও পাশে ছিল । তবে যে 17 জনের নিয়োগের কথা সুকান্ত মজুমদার বলেছেন সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ৷ তাঁর দাবি দলের লোককেই কাজ দিয়েছি ৷ নিজের ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিইনি ৷
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেওয়া চলবে না, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর
পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় সুকান্ত মজুমদারের আনা অভিযোগকে কটাক্ষ করে বলেন, "এই এক বছরে কোনও স্থায়ী অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়নি । পৌরসভায় একমাত্র 'নির্মল সাথী' প্রকল্পে নিয়োগ হয়েছিল ৷ এরা অস্থায়ী কর্মী । প্রতিদিন কাজ অনুযায়ী 270 টাকা করে পেয়ে থাকেন । তবে কী অভিযোগ বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে । কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কেন এইরকম অভিযোগ আনছে বিজেপি, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত ।"