ব্যান্ডেল, 27 অগাস্ট : ব্যান্ডেল ESI হাসপাতালকে আগেই কোরোনা হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে । সেখানে এখন থই থই করছে জল । কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাসপাতাল চত্বর ৷ চিকিৎসক, রোগী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলকেই নোংরা জল পেরিয়েই হাসপাতালে ঢুকতে হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ হাসপাতালের একাংশের । জল না বেরোনোর জেরে হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারগুলিও জলমগ্ন । এনিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ESI হাসপাতালের সুপারের ৷
হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী কৌশিক ঘোষ বলেন, "নালা পরিষ্কার করলেই সমস্যার সমাধান হত । স্টাফ কোয়ার্টারগুলির অবস্থাও খারাপ । এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা । মাঝেমধ্যে ওয়ার্ডেও জল ঢুকে যায় ৷ জল নিকাশি ব্যবস্থার মেরামত করা হলে সমস্যার সমাধান হয় ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ । তাই এই পরিস্থিতিতেও নোংরা জল পেরিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে আমাদের ।"
হাসপাতালের সুপার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ESI হাসপাতাল নিচু এলাকায় হওয়ায় দেড় ঘণ্টা বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যায় । স্থানীয় পঞ্চায়েতকে আমরা বহুবার জানিয়েছি । হাসপাতালের পাশের বড় নালা সংস্কার যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ এই অবস্থা বজায় থাকবে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলকে জলের মধ্যে এভাবেই কাজ করতে হচ্ছে ।"
এবিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "বামফ্রন্টের আমলে দু'জন মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু কিছুই হয়নি । বিধায়ক হওয়ার পর GT রোড কেটে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করি । এখন ব্যান্ডেলে জল জমে না । আগে ESI হাসপাতাল পুরো জলে তলায় থাকত । চারদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে । জল একটু জমেছে । যত তাড়াতাড়ি জল বের করা যায় তার ব্যবস্থা করছি ।" তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না হাসপাতাল সুপারের চাকরি কতদিন ৷ ESI হাসপাতাল কতটা জল জমত ব্যান্ডেলের মানুষ জানে ৷ ESI হাসপাতাল যেহেতু COVID 19 হাসপাতাল হয়েছে তাই আমরা নজর রাখছি । ব্যান্ডেল কেন কলকাতা, চুঁচুড়ার বহু জায়গায় জল জমে আছে । নিচু জায়গায় জল জমে এটাই জলের ধর্ম । এটা সুপারকেও বুঝতে হবে । সুপার অবুঝ হলে তো আমার কিছু করার নেই ।"