হুগলি, 24 মে : এভারেস্ট জয়ের স্বীকৃতি এখনও মেলেনি ৷ তাতে কী ? হুগলির মেয়ে পিয়ালী যদিও সেই স্বীকৃতির অপেক্ষায় বসে নেই ৷ বরং 72 ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেন ছাড়াই বঙ্গকন্যা জয় কর ফেললেন লোৎসে ৷ রবিবার এভারেস্ট জয়ের পর গতকাল অর্থাৎ সোমবার ক্যাম্প ফোর থেকে লোৎসে জয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন পিয়ালী ৷ এভারেস্ট থেকে নামার পর চোখের সমস্যা দমাতে পারেনি দামাল মেয়েকে ৷ এজেন্সি মারফত মঙ্গলবার সন্ধেয় পিয়ালীর লোৎসে জয়ের খবর আসে (After Mount Everest Piyali Basak climbs Lhotse without supplemental oxygen) ৷
পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসের উচ্চতা 8516 মিটার ৷ এভারেস্ট জয়ের কয়েকঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেন জয় লোৎসে জয় নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ৷ ঘরের মেয়ের 'ব্যাক টু ব্যাক' সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত চন্দননগরবাসী থেকে সকল শুভানুধ্যায়ী ৷ তবে সাফল্যেও যেন কাঁটার মত বিঁধছে এভারেস্ট জয়ের স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা ৷ এভারেস্ট অভিযানের সিকিউরিটি পারমিটের 4 লক্ষ টাকা এখনও জমা করতে পারেননি পিয়ালী বসাক ৷ সেই টাকা জমা না-করতে পারলে হুগলির স্কুল শিক্ষিকার কৃতিত্ব স্বীকৃতি পাবে না ৷
আরও পড়ুন : টাকার 'পাহাড়ে' আটকে পিয়ালীর এভারেস্ট জয়ের স্বীকৃতি
সবমিলিয়ে পিয়ালীর হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিংয়ের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার বিষয়টি আটকে টাকার পাহাড়ে ৷ এই দুই পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে 35 লক্ষ টাকা জমা করতে হত পিয়ালীকে ৷ তার বদলে 25 লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ যার পুরোটাই এসেছে ক্রাউড ফান্ডিংয়ে ৷ এখনও জমা করা বাকি 10 লক্ষ টাকা ৷ তার মধ্যে সিকিউরিটির 4 লক্ষ টাকা জমা না-করায় এভারেস্ট অভিযানের পারমিট পাচ্ছিলেন না পিয়ালী ৷ ক্যাম্প ফোর থেকে এক ভিডিয়ো বার্তায় আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পর সাড়া দিয়েছিল চন্দননগর রোটারি ক্লাব ৷ তাদের এক সদস্য তাপস সাহা পিয়ালী সিকিউরিটি মানির 4 লক্ষ টাকার গ্যারেন্টার হন ৷ তারপর পিয়ালী এবং তাঁর শেরপা অভিযান শুরু করার পারমিট পান ৷