চুঁচুড়া, 2 জুলাই: অতিমারির পর একসঙ্গে 17টি চাকরি পেয়ে তাক লাগিয়েছেন এক ছাত্র (A College Student Gets at a Time 17 Jobs) ৷ নাম অরিজিৎ রায়, বাড়ি বালির ঘোষপাড়াতে ৷ হুগলির চুঁচুড়া ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের ছাত্র। অতিমারির ফলে গত দু'বছর একাধিক সেক্টরে চাকরির আকাল তৈরি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এই ছবিটা বদলানোর পর আবার বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগও তৈরি হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে বন্ধ থাকা ক্যাম্পাসিং শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে অনলাইন ক্যাম্পাসিং থেকে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ৷ সম্প্রতি যাদবপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র বিশাখ মণ্ডলের প্রায় দু'কোটি টাকা বার্ষিক বেতনের চাকরি পাওয়ার খবর সামনে এসেছে। আর অরিজিৎ গত দু'মাসে 17টি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে ক্র্যাক করেন। তার মতো ওই কলেজ থেকে আরও কয়েকজন ছাত্র রয়েছেন। উইপ্রো, টিসিএস, ইনফোসিস, এক্সেঞ্চার, বাইজুস এর মত কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন।
অরিজিৎ জানান, কম্পিটার সায়েন্সের মূল বিষয় হল প্রোগ্রামিং। যেটা খুব ভালো করে শিখতে পারায় চাকরি পেতে সুবিধা হয়েছে তাঁর। প্রত্যেকটা বিষয় খুব ভালোভাবে পড়ায় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো ক্র্যাক করতে সাহায্য করেছে। কোভিডের কারণে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ। এখন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে সেই অভাব পূরণ করতে চাইছেন তাঁরা। তাই সার্ভিস বেস্ট কোম্পানিগুলো নিয়োগ শুরু করেছে। কোভিডের সময় যে পরিস্থিতি ছিল, তার পরিবর্তন হতেও শুরু করেছে। আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : স্নাতক স্তরে ভর্তির আবেদন শুরু 18 জুলাই থেকে
কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ স্মিতধী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "করোনার জন্য অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে এটা ঠিক। তবে আমাদের কলেজের পড়ুয়াদের চাকরির সুযোগ এসেছে। কলেজ বন্ধ থাকার সময় অনলাইনে পাঠ এবং প্র্যাকটিক্যাল ঠিকমতো করানো হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ এবং চাকরির ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে।