ETV Bharat / state

মৃতদেহ নিতে অস্বীকার, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোমে ধরনা পরিজনদের

শংকরবাবুর পাশাপাশি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন মৃতার পরিবার পরিজনরা ৷ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানোর দাবিতে গতকাল সকাল থেকে নার্সিংহোম চত্বরে ধরনায় বসে তারা ৷ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা ৷ এদিকে ধরনার জেরে নার্সিংহোম চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷

হাসপাতালে ধরনা
author img

By

Published : Nov 5, 2019, 1:02 PM IST

Updated : Nov 5, 2019, 1:25 PM IST

শিলিগুড়ি, 5 নভেম্বর : রবিবার শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে শিশুমৃত্যুর জেরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল এক তৃণমূল নেতা ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে । এবার বৃদ্ধার মৃত্যুর জেরে অন্য এক নার্সিংহোম থেকে দেহ নিতে অস্বীকার করল মৃতার পরিজনরা ৷ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোম চত্বরে দিনভর ধরনা দেয় পরিজনরা ৷ পুলিশের আশ্বাসে গভীর রাতে ধরনা তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা ৷

গত 26 অক্টোবর রাজগঞ্জের আমবাড়ি–কামারভিটার বাসিন্দা দিনমণি রায় (65) স্কুটির ধাক্কায় যখম হন । বৃদ্ধাকে সেদিনই ফুলবাড়ির এই নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় । নার্সিংহোমের পরামর্শ মেনে, প্যাকেজের আওতায় চিকিৎসা শুরু হয় বৃদ্ধার । রোগীর মাথার অস্ত্রোপচার করার কথা জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । অস্ত্রোপচারও হয় ৷ কিন্তু তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে রোগীর । কোমায় চলে যান তিনি । তারপর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় । গতকাল সকালে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় । এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন পরিজনরা ।

মৃতা দিনমণি রায়ের ছেলে শংকর রায় উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক ৷ তিনি বলেন, "এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মাকে এনেছিলাম । আমাদের ভুল বুঝিয়ে ও মানসিকভাবে দুর্বল করে মাকে ভরতি করানো হয় । প্রয়োজন ছাড়াই মায়ের মাথার অপারেশন করা হয় । আর এতেই ভুল চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু হল । আমরা বলেছিলাম, পরিকাঠামো না থাকলে ভরতি না নিতে । কিন্তু পরিকাঠামো ও চিকিৎসক ছাড়াই মাকে ওরা এখানে মাকে রেখে দিল ৷ আমরা এর সঠিক জবাব চাই ।"

ধরনায় মৃতার পরিবারের লোকজন...

শংকরবাবুর পাশাপাশি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন মৃতার পরিবার পরিজনরা ৷ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানোর দাবিতে গতকাল সকাল থেকে নার্সিংহোম চত্বরে ধরনায় বসে তারা ৷ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা ৷ এদিকে ধরনার জেরে নার্সিংহোম চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ সেখানে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী । যদিও গভীররাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে ধরনা উঠে যায় ৷

এনিয়ে নার্সিংহোমের প্রশাসক কেশব চ্যাটার্জি বলেন, "গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয় । আমরা চেষ্টা করেছিলাম । পরিজনের সঙ্গে কথা বলেই অস্ত্রোপচার করা হয় । রোগীর রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যায় । আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় রোগীর ।"

শিলিগুড়ি, 5 নভেম্বর : রবিবার শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে শিশুমৃত্যুর জেরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল এক তৃণমূল নেতা ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে । এবার বৃদ্ধার মৃত্যুর জেরে অন্য এক নার্সিংহোম থেকে দেহ নিতে অস্বীকার করল মৃতার পরিজনরা ৷ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোম চত্বরে দিনভর ধরনা দেয় পরিজনরা ৷ পুলিশের আশ্বাসে গভীর রাতে ধরনা তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা ৷

গত 26 অক্টোবর রাজগঞ্জের আমবাড়ি–কামারভিটার বাসিন্দা দিনমণি রায় (65) স্কুটির ধাক্কায় যখম হন । বৃদ্ধাকে সেদিনই ফুলবাড়ির এই নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় । নার্সিংহোমের পরামর্শ মেনে, প্যাকেজের আওতায় চিকিৎসা শুরু হয় বৃদ্ধার । রোগীর মাথার অস্ত্রোপচার করার কথা জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । অস্ত্রোপচারও হয় ৷ কিন্তু তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে রোগীর । কোমায় চলে যান তিনি । তারপর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় । গতকাল সকালে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় । এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন পরিজনরা ।

মৃতা দিনমণি রায়ের ছেলে শংকর রায় উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক ৷ তিনি বলেন, "এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মাকে এনেছিলাম । আমাদের ভুল বুঝিয়ে ও মানসিকভাবে দুর্বল করে মাকে ভরতি করানো হয় । প্রয়োজন ছাড়াই মায়ের মাথার অপারেশন করা হয় । আর এতেই ভুল চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু হল । আমরা বলেছিলাম, পরিকাঠামো না থাকলে ভরতি না নিতে । কিন্তু পরিকাঠামো ও চিকিৎসক ছাড়াই মাকে ওরা এখানে মাকে রেখে দিল ৷ আমরা এর সঠিক জবাব চাই ।"

ধরনায় মৃতার পরিবারের লোকজন...

শংকরবাবুর পাশাপাশি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন মৃতার পরিবার পরিজনরা ৷ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানোর দাবিতে গতকাল সকাল থেকে নার্সিংহোম চত্বরে ধরনায় বসে তারা ৷ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা ৷ এদিকে ধরনার জেরে নার্সিংহোম চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ সেখানে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী । যদিও গভীররাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে ধরনা উঠে যায় ৷

এনিয়ে নার্সিংহোমের প্রশাসক কেশব চ্যাটার্জি বলেন, "গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয় । আমরা চেষ্টা করেছিলাম । পরিজনের সঙ্গে কথা বলেই অস্ত্রোপচার করা হয় । রোগীর রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যায় । আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় রোগীর ।"

Intro:গতকালই শহরের এক নার্সিংহোমে শিশুমৃত্যুর জেরে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন এক তৃণমূল নেতা ও স্থানীয়রা। এবার অন্য এক নার্সিংহোমে বৃদ্ধার মৃত্যুর জেরে দেহ নিতে অস্বীকার করে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে দিনভীর ধর্ণায় বসলেন পরিজনেরা।

শিলিগুড়ির ফুলবাড়ীতে এক নার্সিংহোমে চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। জবাব চেয়ে নার্সিংহোমের সামনে ধর্ণায় বসলেন স্কুল শিক্ষক ছেলে। সোমবার সকাল থেকে ওই ধর্ণায় সামিল হয়েছেন পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও। তাদের অভিযোগ, নার্সিংহোমের চূরান্ত গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানোর দাবিতে এই ধর্ণা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হতে চলছেন তারা। এদিন এই ধর্ণা ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।


Body:গত ২৬ অক্টোবর রাজগঞ্জের আমবাড়ি–কামারভিটার বাসিন্দা দিনমণি রায়(৬৫) স্কুটির ধাক্কায় যখম হন। বৃদ্ধাকে সেদিনই ফুলবাড়ির এই নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে প্যাকেজের আওতায় নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু হয়। রোগীর মাথার অস্ত্রোপচার করার কথা জানায় নার্সিংহোম। অস্ত্রপচারের পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে রোগীর। কোমায় চলে যান তিনি। তারপরে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এদিন সকালে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে নার্সিংহোম জানায়। আর তাতেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন পরিজনেরা। মৃতার ছেলে উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ হাইস্কুল শিক্ষক শঙ্কর রায় বলেন, ‘‌এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মাকে নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের ভুল বুঝিয়ে এবং মানুষিকভাবে দুর্বল করে মাকে ভর্তি করানো হয়। প্রয়োজন ছাড়াই তারপর মায়ের মাথার অপারেশন করানো হয়। আর এতেই ভুল চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু হল। আমরা বলেছিলাম পরিকাঠামো না থাকলে ভর্তি না নিতে। কিন্তু পরিকাঠামো ও চিকিৎসক ছাড়াই মাকে এখানে রেখে দিল ওরা। আমরা এর সঠিক জবাব চাই।

তিনি আরো বলেন জবাব মিললেই মায়ের দেহ নিয়ে যাব। নাহলে দেহ নেব না। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। শান্তিপূর্ণ ভাবেই ধর্ণা চালাব আমরা।

’‌ এনিয়ে নার্সিংহোমের প্রশাসক কেশব চ্যাটার্জি বলেন, ‘‌গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা চেষ্টা করেছিলাম। পরিজনের সঙ্গে কথা বলেই অস্ত্রোপচার করা হয়। এদিন সকালে রোগীর রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয় রোগীর। আমরা পুলিশের হাতে মৃতদেহ তুলে দেব।’‌
রবিবার মাটিগাড়ায়


Conclusion:
Last Updated : Nov 5, 2019, 1:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.