কার্শিয়াং, 26 মে :বেহাল দশা ভবনের, কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হল বাইরেই ৷ ঘটনাস্থল দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াংয়ে । জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠল ৷ ৷
ঘূর্ণিঝড় যশের জন্যে পাহাড়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই জারি করেছিল আবহাওয়া দপ্তর ৷ সেই দিকে নজর রেখেই শিলিগুড়ি থেকে মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কুড়ি জনের একটি দলকে কার্শিয়াংয়ে পাঠানো হয় । ওই দলটিকে কার্শিয়াংয়ের পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি ভবনে রাত্রিবাসের জন্যে রাখার ব্যবস্থা করা হয় । কিন্তু ভবনের দশা এতটাই বেহাল যে, সেই পরিস্থিতি দেখে বেঁকে বসেন বাহিনীর সদস্যরা, বাইরেই বসে থাকেন তাঁরা ।
সদস্যদের অভিযোগ ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও ৷
আরও পড়ুন : যশ মোকাবিলায় 10 জেলায় মোতায়েন 17 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, ভবনটি নোংরা আবর্জনায় ভর্তি । বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবনে গিয়ে ভবনটির চরম বেহাল দশা দেখে সেখানে ঢুকতে অস্বীকার করেন । বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানান কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলের সদস্যরা । খবর পেয়ে রাতেই ভবনে পৌঁছে যান কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসক সহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ।
এই ঘটনার জন্যে কার্যত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের আধিকারিক হরসিং বোরো৷ তাঁর অভিযোগ, "চূড়ান্ত বেহাল পরিস্থিতি ভবনের । কোনওভাবেই আমরা এখানে থাকতে পারব না । নোংরা আবর্জনায় ভর্তি, বিদ্যুৎ নেই, জলের ব্যবস্থা নেই।"
মহকুমাশাসক অভিষেক চৌরাসিয়া সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌছে তৎক্ষণাৎ ভবনটি সাফ করার উদ্যোগ নেন । সেখানে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থাও করেন ৷ ভবনটি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হলে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা রাতে ওই ভবনে থাকতে রাজি হন ।