শিলিগুড়ি, 22 জুলাই : কাটমানির পালটা হিসেবে গতকাল ব্ল্যাকমানি ফেরতের দাবি তুলেছিলেন মমতা ৷ আজ শিলিগুড়িতে এসে সে বিষয়েই মমতাকে বিঁধলেন BJP নেতা মুকুল রায় ৷ বলেন, "সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাকমানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আছে ৷ আগে উনি সেই টাকা ফেরত দিন ৷"
ব্যালটে নির্বাচন, দলে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নানা বিষয়ে আজ মমতাকে কটাক্ষ করেন মুকুল ৷ বলেন, " যদি সত্যিই ব্যালট ছাড়া ভোটে গরমিল হয়ে থাকে তাহলে উনি 2011 - 2016 পর্যন্ত ভুলভাবে ক্ষমতায় ছিলেন ৷ অন্যায়ভাবে জিতেছেন ৷ EVM যদি ভুল হয়, তাহলে তিনি ব্যাকআউট করুন ৷ আবার নির্বাচন হোক ৷ আসলে উনি ছাপ্পা মেরে ভোট দিতে চাইছেন ৷ ভাবছেন বাংলার পুলিশ তাঁর সঙ্গে আছেন ৷ তাঁর ক্যাডার দিয়ে জোর করে ভোটে জিতবেন ৷ "
মুকুলের আরও সংযোজন, "আগামীদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারাতে চলেছেন ৷ আগামী দু'টি নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন যখন মূল্যায়ন করবে, তখন দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস আঞ্চলিক দলের মর্যাদা হারাবে ৷"
প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, "প্রশান্ত কিশোর খায় না মাথায় দেয়, আমি জানি না৷ আজ এটা পরিষ্কার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে আর চলছে না ৷ দলে একে ওকে আনতে হচ্ছে৷ তাঁকে 500 কোটি টাকা দিতে গিয়ে মমতা বলছেন কর্পোরেট সোশাল রেশপনসিবিলিটি (CSR)-র ফান্ড থেকে দিচ্ছেন ৷ তাহলে উনি বলুন যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্পোরেট, সেখান থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে ৷ আসলে এটা ব্ল্যাকমানি ৷ এই ব্ল্যাকমানি উনি মানুষের কাছ থেকে তুলেছেন ৷ আগে সেই তোলার টাকা মানুষের কাছে ফেরত দিন ৷ সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাকমানি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই আছে ৷"
মুকুলবাবু আরও বলেন, "ব্ল্যাকমানি কী ? সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে স্পষ্ট করতে হবে ৷ কাটমানি তো আমরা শুনলাম তাঁর মুখ থেকে ৷ আমরা বুঝতেই পারছি না ব্ল্যাকমানি বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন ৷ স্বাভাবিকভাবে এই কথাটার কোনও মানে নেই ৷ অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা চলছে ৷ উনি কী বলছেন নিজেই জানেন না ৷ আসলে মাথা খারাপ হয়ে গেছে ৷ নির্বাচনের ফলাফল উনি মেনে নিতে পারছেন না ৷"
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, BJP কে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেখে নেব ৷ কী বলবেন ? মুকুল রায় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকবছর ধরে একথা বলছেন ৷ নির্বাচনের ফলাফলের পর আমার মনে হয়েছিল একটু সম্বিত ফিরবে ৷ কিন্তু এখনও তা ফেরেনি ৷ অপেক্ষা করুন, একবছরের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন৷ তারপর দলটাই উঠে যাবে ৷"