শিলিগুড়ি, 12 ডিসেম্বর: সরকারি মঞ্চ থেকেই এ বার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভা আয়োজিত হয় । আর সেই সভার মঞ্চ থেকেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিএলআরও এবং ডিএলআরও-দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের বিএলআরও এবং ডিএলআরওরা জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন । আমি অনেক অভিযোগ পেয়েছি । আমি মুখ্যসচিবকে বলব ওই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে । আমি কারওকে ছাড়ব না । এক-দুজনের জন্য সবার বদনাম হয় ।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমার কাছে খবর আছে দু-একজন বিএলআরও দুষ্টু লোকের সঙ্গে জমি কেনাবেচায় জড়িয়ে পড়েছেন । আমি ভূমি সংস্কার দফতরের সচিবকে বলব, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এবং কড়া পদক্ষেপ করতে । একটা রাজনৈতিক লোক পাঁচ টাকা চুরি করলে 10বার টিভিতে দেখানো হয় । আর কোনও অফিসার যদি জড়িত থাকেন, তাহলে আমি তাঁকে রেহাই দেব না ।"
জমি সংক্রান্ত অভিযোগ বা জবরদখলের অভিযোগ উত্তরবঙ্গে প্রথম নয় । নদীর চর, পূর্ত, বন, সেচ দফতরের মতো একাধিক সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে । আর তাতে অনেক সময় জমি কারবারিদের সঙ্গে জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম । তবে এ সবের নেপথ্যে থাকেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিএলআরও বা ভূমি দফতরের আধিকারিকরা । অভিযোগ উঠেছে ভূমি দফতরের আধিকারিকদের সাহায্যেই জমির ভুয়ো নথি তৈরি করা হয় । আর এ বার সেইসব অভিযোগ পেয়েই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী ।
পাশাপাশি এ দিন উদ্বাস্তু ও সরকারি জমিতে পাট্টা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী । এখন থেকে বস্তি এলাকাগুলোকে উত্তরণ ও উদ্বাস্তু এলাকাকে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নামকরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
আরও পড়ুন: