ETV Bharat / state

Elephant Deaths Controversy: ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় দায় স্বীকার সেনার, জানাল বন দফতর - Indian army confesses for death of elephants

বন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে হাতি মৃত্যুর দায় স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করল সেনা (Elephant) ৷ ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকেই মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির ৷ সমস্ত প্রমাণ দেখে এটাই স্বীকার করল ভারতীয় সেনা ৷

Etv Bharat
হাতির মৃত্যু
author img

By

Published : Mar 21, 2023, 6:57 AM IST

দার্জিলিং, 21 মার্চ: দীর্ঘ টালবাহানা ও তর্ক-বিতর্কের পর ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে হাতিমৃত্যুর ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করল সেনা (Statement of Army on Elephant Deaths Controversy)। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণের কারণে হাতিগুলির মৃত্যুতে তাঁরা গভীর শোকপ্রকাশ করেছে বলেও জানিয়েছে বন দফতর ৷ কিন্তু পরবর্তীতে যাতে এমন ঘটনার কোনওভাবেই পুনরাবৃত্তি না-হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে বন দফতরের তরফে । এছাড়াও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব বন দফতরের তরফে সেনাকে দেওয়া হয়েছে ।

পাশাপাশি বেশ কিছু প্রস্তাব ও সহযোগিতা বন দফতরের কাছেও চেয়েছে ভারতীয় সেনা (Elephant Deaths News)৷ মঙ্গলবার বন ও সেনা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলগুলি যৌথ পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে ।

সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন সুকনায় ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন কার্যালয় ও নেচার ইন্টারপ্রেটেনশন সেন্টারে হাতি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ভারতীয় সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও উচ্চপদস্থ বন আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন । এই বৈঠকে সেনার তরফে আর্টিলারির ব্রিগেডিয়ার ও দুজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনা আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন । অন্যদিকে, বন দফতরের তরফে অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর, প্রধান মুখ্য বনপাল (উত্তরবঙ্গ) উজ্জ্বল ঘোষ ও মুখ্য বনপাল এসকে মোলে উপস্থিত ছিলেন ।

এই বিষয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "আমাদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে গভীর জঙ্গল ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখতে । কোনওভাবেই যাতে বন্যপ্রাণের প্রাণহানি না-হয় সেই বিষয়টি সেনাকে নিশ্চিত করতে হবে ।" বৈঠকের পর প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর বলেন, "বৈঠকে আমরা প্রমাণ দিয়েছি । সেগুলো সেনা আধিকারিকরা দেখেছেন । তাঁরা দায় স্বীকার করেছেন । আগামীতে যাতে এইধরনের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য কিছু আলোচনা হয়েছে ।"

আরও পড়ুন : ফের হাতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, ফায়ারিং রেঞ্জে ঢোকা নিয়ে তরজা শুরু সেনা ও বন দফতরের

প্রসঙ্গত, 13 মার্চ তিস্তা চরের ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ করেছিল সেনা । এরপর 14 ও 15 মার্চ বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে তিনটি জায়গায় তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে । বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকের শুরুতেই মূলত হাতিগুলির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ছবি, তাদের শরীর থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের অংশ, স্প্রিংটার এবং ফায়ারিং রেঞ্জের থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত হাতিগুলির অবস্থান ও দূরত্ব প্রমাণ সহকারে তুলে ধরা হয় বন দফতরের তরফে । সেনা আধিকারিকরাও সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে নিজেদের দায় স্বীকার করে হাতি তিনটির মৃত্যুর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ।

বৈঠকের দ্বিতীয় পর্বে, এইধরনের ঘটনা রুখতে একটি স্বল্প ও একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় । বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ও প্রশিক্ষণের সময় ড্রোন দিয়ে গোটা এলাকা খতিয়ে দেখে নিতে হবে । যাতে কোনও মানুষ বা বন্যপ্রাণীর প্রাণহানি না হয় । প্রয়োজনে হাইমাস ক্যামেরা বসানো হবে । প্রশিক্ষণের আগে গোটা এলাকায় টহলদারি দিতে হবে । প্রয়োজনে ওই টহলদারিতে বনকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সেনা আধিকারিকরা ।

বন দফতরের তরফে ফায়ারিং রেঞ্জকে ইলেকট্রিক ফেন্সিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । যদিও ফায়ারিং রেঞ্জ ও বন দফতরের সীমা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় সেই বিষয়ে জটিলতা থেকে যায় । তবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে বন দফতরের তরফে সেনার ফায়ারিং রেঞ্জকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে । সেনা আধিকারিকরা সেই বিষয়টি হেড কোয়ার্টারে জানাবেন বলেও জানান এদিন । বন ও সেনা আধিকারিদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন : হাতির মৃত্যুর ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল বন দফতর

দার্জিলিং, 21 মার্চ: দীর্ঘ টালবাহানা ও তর্ক-বিতর্কের পর ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে হাতিমৃত্যুর ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করল সেনা (Statement of Army on Elephant Deaths Controversy)। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণের কারণে হাতিগুলির মৃত্যুতে তাঁরা গভীর শোকপ্রকাশ করেছে বলেও জানিয়েছে বন দফতর ৷ কিন্তু পরবর্তীতে যাতে এমন ঘটনার কোনওভাবেই পুনরাবৃত্তি না-হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে বন দফতরের তরফে । এছাড়াও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব বন দফতরের তরফে সেনাকে দেওয়া হয়েছে ।

পাশাপাশি বেশ কিছু প্রস্তাব ও সহযোগিতা বন দফতরের কাছেও চেয়েছে ভারতীয় সেনা (Elephant Deaths News)৷ মঙ্গলবার বন ও সেনা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলগুলি যৌথ পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে ।

সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন সুকনায় ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন কার্যালয় ও নেচার ইন্টারপ্রেটেনশন সেন্টারে হাতি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ভারতীয় সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও উচ্চপদস্থ বন আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন । এই বৈঠকে সেনার তরফে আর্টিলারির ব্রিগেডিয়ার ও দুজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনা আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন । অন্যদিকে, বন দফতরের তরফে অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর, প্রধান মুখ্য বনপাল (উত্তরবঙ্গ) উজ্জ্বল ঘোষ ও মুখ্য বনপাল এসকে মোলে উপস্থিত ছিলেন ।

এই বিষয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "আমাদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে গভীর জঙ্গল ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখতে । কোনওভাবেই যাতে বন্যপ্রাণের প্রাণহানি না-হয় সেই বিষয়টি সেনাকে নিশ্চিত করতে হবে ।" বৈঠকের পর প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর বলেন, "বৈঠকে আমরা প্রমাণ দিয়েছি । সেগুলো সেনা আধিকারিকরা দেখেছেন । তাঁরা দায় স্বীকার করেছেন । আগামীতে যাতে এইধরনের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য কিছু আলোচনা হয়েছে ।"

আরও পড়ুন : ফের হাতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, ফায়ারিং রেঞ্জে ঢোকা নিয়ে তরজা শুরু সেনা ও বন দফতরের

প্রসঙ্গত, 13 মার্চ তিস্তা চরের ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ করেছিল সেনা । এরপর 14 ও 15 মার্চ বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে তিনটি জায়গায় তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে । বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকের শুরুতেই মূলত হাতিগুলির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ছবি, তাদের শরীর থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের অংশ, স্প্রিংটার এবং ফায়ারিং রেঞ্জের থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত হাতিগুলির অবস্থান ও দূরত্ব প্রমাণ সহকারে তুলে ধরা হয় বন দফতরের তরফে । সেনা আধিকারিকরাও সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে নিজেদের দায় স্বীকার করে হাতি তিনটির মৃত্যুর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ।

বৈঠকের দ্বিতীয় পর্বে, এইধরনের ঘটনা রুখতে একটি স্বল্প ও একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় । বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ও প্রশিক্ষণের সময় ড্রোন দিয়ে গোটা এলাকা খতিয়ে দেখে নিতে হবে । যাতে কোনও মানুষ বা বন্যপ্রাণীর প্রাণহানি না হয় । প্রয়োজনে হাইমাস ক্যামেরা বসানো হবে । প্রশিক্ষণের আগে গোটা এলাকায় টহলদারি দিতে হবে । প্রয়োজনে ওই টহলদারিতে বনকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সেনা আধিকারিকরা ।

বন দফতরের তরফে ফায়ারিং রেঞ্জকে ইলেকট্রিক ফেন্সিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । যদিও ফায়ারিং রেঞ্জ ও বন দফতরের সীমা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় সেই বিষয়ে জটিলতা থেকে যায় । তবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে বন দফতরের তরফে সেনার ফায়ারিং রেঞ্জকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে । সেনা আধিকারিকরা সেই বিষয়টি হেড কোয়ার্টারে জানাবেন বলেও জানান এদিন । বন ও সেনা আধিকারিদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন : হাতির মৃত্যুর ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল বন দফতর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.