দার্জিলিং, 5 অক্টোবর : পাহাড়ের স্থায়ী সমস্যার সমাধান নয়। গোর্খাদের সমস্যা সমাধানে আচমকা সাংসদকে চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল হইচই পাহাড়ের পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতেও ৷ পুজোর মধ্যেই গোর্খাদের সমাধানের জন্য বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই চিঠি শুধু পাঠানো হয়েছে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে। আর কোনও পাহাড়ের রাজনৈতিক দল বৈঠকের চিঠি পায়নি বলে জানা গিয়েছে ৷
যদিও জিএনএলএফ দাবি করেছে, তারা একটি চিঠি পেয়েছে ৷ কিন্তু পাহাড়ের সমস্যা সামাধানের বৈঠকে বাকি কোনও রাজনৈতিক দলকে চিঠি নয় কেন ? এই প্রশ্ন উঠছে ৷ যদিও জিএনএলএফ-র দাবি এটা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। রাজ্য সরকার-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ডাকা হবে হচ্ছে ৷ প্রথমবার ডুয়ার্স থেকেও প্রতিনিধি থাকবে।
পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই। সেই দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিল এবিজিএল বা অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার হয়। এই পরিস্থিতিতে সপ্তমীতে দিল্লিতে বৈঠক ডাকলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজু বিস্তাকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে গোর্খাদের সমস্যা নিয়ে আগামী 12 অক্টোবর বিকেল চারটের সময় সংসদ ভবনের 119 নম্বর কক্ষে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিতি থাকার আবেদন করা হয়েছে রাজু বিস্তাকে। যদিও জিএনএলএফ-এর তরফে তাদের মুখপাত্র ওয়াই লামা দাবি করেন, "এটা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। আমরা চিঠি পেয়েছি বৈঠকে যাওয়ার জন্য। বাকি সকলকেই ডাকা হবে এই বৈঠকে। রাজ্য সরকারকেও চিঠি পাঠানো হবে। তবে এই প্রথমবার বৈঠকে ডুয়ার্সের প্রতিনিধিও থাকবে।"
আরও পড়ুন : পাহাড়ের রাজনীতিতে অডিট কি আসলে ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক হাতিয়ার ?
তিনি আরও বলেন, "বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে যা বলেছিল তাই করেছে। পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।" যদিও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সচিব রোশন গিরি জানান, তারা বৈঠকের বিষয়ে কোনওরকম চিঠি পায়নি ৷ যদিও যে চিঠি পাহাড়ে এসে পৌছেছে তা শুধুই রাজু বিস্তাকে লেখা। আর তাঁকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে । সেই চিঠিতে কোথাও লেখা নেই, এটা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। পাশাপাশি উল্লেখ নেই পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কথা। তাই একে লোকদেখানো বৈঠক বলে সুর চরিয়েছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলি।