শিলিগুড়ি, 9 ডিসেম্বর: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের মেধাতালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদের ঘটনায় এবার নিন্দায় সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। শনিবার কলকাতার ধর্মতলায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের মেধাতালিকাভুক্তরা ৷ এক হাজার দিনে তাদের আন্দোলন পা দেওয়ায় প্রতীক হিসেবে ধরনা মঞ্চে মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। আর এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। চাকরিপ্রার্থীরা চোখে জল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন করেন এই জটিলতা কাটানোর জন্য। ওই ঘটনার পরই নিন্দায় সরব হয়েছে সিপিএম থেকে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "অবিলম্বে এই মুখ্যমন্ত্রীর কান ধরে পদত্যাগ করা উচিৎ। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে মহিলা চাকরি প্রার্থীরা মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর প্রতিবাদের কোনও ভাষা নেই। এরকম নির্দয় মুখ্যমন্ত্রী আগে কোনওদিন দেখিনি।" বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, "আগে তিনি পরিচিত ছিলেন সততার প্রতীক হিসেবে। আর এখন দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে।"
ওই ঘটনায় সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। এদিন শিলিগুড়িতে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "রাজ্যে দুঃশাসন চলছে। খুব হৃদয়বিদারক ঘটনা। পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্য প্রার্থীরা আজকে রাস্তার ধারে বঞ্চিত হয়ে বসে আছে। এই চাকরি প্রার্থীরা সমাধানের জন্য বিধায়ক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এবার মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা মাথা কামিয়ে প্রতিবাদ করল। রাজ্যে দুঃশাসন, কুশাসন চলছে।"
যদিও ওই বিশয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সংবেদনশীল বলে জানান রাজ্যের যুবকল্যাণ, ক্রীড়া ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পালটা রাজ্য়ের মন্ত্রী বলেন, "ওই বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাদের নিয়োগ হোক। তবে তা অবশ্যই পদ্ধতি মেনে। সরকারও চেষ্টা করছে এবং মুখ্যমন্ত্রীও চেষ্টা করছেন।"
আরও পড়ুন