দার্জিলিং, 14 সেপ্টেম্বর: একদিনের ঝটিকা উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের আরারিয়া জেলার যোগবাণী ময়দানে জনসভার আগে শুক্রবার শিলিগুড়িতে আসবেন অমিত শাহ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে ভারতীয় বায়ুসেনা ছাউনির আলফা জোনে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দর থেকেই সড়কপথে চলে যাবেন শিলিগুড়ি সংলগ্ন শালবাড়ির মে ফেয়ার টি-রিসর্টে। রাতে সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তিনি। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে তিনি ফের বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে বিহারে জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ৷
তবে অমিত শাহের এই স্বল্প সময়ের সফরকেও রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে কোনও বৈঠক করার কথা না-থাকলেও শনিবার সকালে দলীয় মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার কথা রয়েছে অমিত শাহের। সেই বৈঠকের পাশাপাশি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়েরও। তবে তার আগে দলীয় মন্ত্রী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, জন বারলা, সাংসদ রাজু বিস্তা, জয়ন্ত রায়, রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ, বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, নিরজ জিম্বা, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, মনোজ টিজ্ঞা-সহ অন্যান্যদের। মালদায় দলীয় কর্মসূচিতে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তবে সেই বৈঠকে ফের একবার পৃথক রাজ্যের ইস্যু উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ 24-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার পৃথক রাজ্যের হিড়িক উঠেছে উত্তরবঙ্গজুড়ে।
একদিকে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য আর অন্যদিকে, পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এই দাবি নিয়ে ফের সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এমনকী চলতি মাসের 20 ও 21 সেপ্টেম্বর লোকসভার বিশেষ অধিবেশনের আগে দিল্লির যন্তর মন্তরে পৃথক রাজ্যের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুব শাখা। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাঝে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর পৃথক রাজ্যের ইস্যু কোনদিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
পাশাপাশি ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বিষয়ে মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, "আগামিকাল রাতে হোটেলেই রাত্রিযাপন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরের দিন সকালে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।" গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, "আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। তাঁকে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দেওয়ার কথা রয়েছে।"
আরও পড়ুন: বিশেষ অধিবেশনে চমক উর্দিতে, মার্শালদের মাথায় মণিপুরের 'কোকইয়েট'