দার্জিলিং, 25 জুলাই: বাগডোগরায় আদিবাসী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় দুই মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাগডোগরা থানার পুলিশ। আর অন্যদিকে, ওই ঘটনার পর নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যান শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি রোমা রেশমি এক্কা। তিনি গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ যদিও ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারা হয়নি বলে জানান, সহকারি সভাধিপতি রোমা রেশমি এক্কা।
এদিকে, ওই ঘটনায় ধৃত চারজনকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল প্রদীপ সরকার, শিবা বাল্মিকী, ললিতা বাল্মিকী এবং গৌরী সরকার। ধৃতদের মধ্যে প্রদীপ ও গৌরী সরকার স্বামী-স্ত্রী আর অন্যদিকে, শিবা ও ললিতা ভাই-বোন। সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া বলেন, "ধৃতদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: মালদার পর মুর্শিদাবাদে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে চাঞ্চল্য
সহকারি সভাধিপতি রোমা রেশমি এক্কা বলেন, "ঘটনাটি এতটাও বড় নয়। নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করে মারা হয়নি ৷ শুধু মারধর করা হয়েছে। পুলিশ ভালো কাজ করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে বলে শুনেছি।" প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরার ভুজিয়াপানি এলাকায় এক আদিবাসী গৃহবধূকে সালিশি সভায় বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। যদিও নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছে পুলিশ প্রশাসন।
উল্লেখ্য, পরকীয়া নিয়ে সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে ওই আদিসবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারার অভিযোগ উঠেছিল ৷ অভিযোগ ওঠে জামাকাপড় ছিঁড়ে মারধর করা হয় তাঁকে। এমনকী পুরুষরাও তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারধরের পাশাপাশি শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। রবিবার বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ভিডিয়ো নিয়ে সরব বিজেপি, তদন্তে মালদা পুলিশ