শিলিগুড়ি, 6 সেপ্টেম্বর : পাহাড়বাসীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তুলে বিজেপি সাংসদের কুশপুতুলে জুতোর মালা পরিয়ে পাহাড়ে ঘোরালো অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন সকালে জুতোর মালা পরানো দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তারের ওই কুশপুতুলকে চেয়ারে করে গোটা পাহাড় পরিক্রমা করেন এবিজিএলের নেতা-কর্মীরা ৷ পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এই কথা জানিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। কিন্তু অগস্ট মাসেও বৈঠকের চিঠি না এসে পৌঁছোনোয় দার্জিলিংয়ের সাংসদের বিরুদ্ধে পাহাড়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ তুলে এদিন পথে নামে অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের ভারতী তামাং গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন : Ajay Edwards New Party: দার্জিলিংয়ে নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন অজয় এডওয়ার্ডস
এদিন সাংসদ রাজু বিস্তারের কুশপুতুলে জুতোর মালা পরিয়ে চেয়ারে বসিয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং পাহাড়ের সাংসদ হয়েও পাহাড়ের উন্নয়নে কোনও কাজ করছে না ওই অভিযোগকে সামনে রেখে গত মাসে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের তামাং গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক এসপি শর্মা।
টানা কয়েক দিন আমরণ অনশন চলার পর দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আশ্বাস দিলে তিনি অনশন তুলে নেন। একই সঙ্গে জানান, অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে চিঠি আসবে। তবে অগস্ট মাস শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও চিঠি আসেনি। আর তাই ওই ইস্যুকে সামনে রেখে আবারও আন্দোলনে নামল এবিজিএল।
এদিন সাংসদ রাজু বিস্তারের পদত্যাগের দাবি তুলে তাঁর কুশপুতুলে জুতোর মালা পরিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দার্জিলিং ম্যাল চত্বর থেকে শুরু করে দার্জিলিং শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়।
আরও পড়ুন : Siliguri Municipal Corporation : শিলিগুড়ি পৌরনিগমে প্রশাসক নিয়োগ অনৈতিক দাবি করে হাইকোর্টে মামলা বামেদের
ভারতী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক এসপি শর্মা বলেন, "এর আগে সাংসদ বলেছিলেন পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। অগস্টের 12 তারিখের মধ্যে সেই বৈঠকের চিঠি রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পৌঁছবে। কিন্তু অগস্ট মাস পেরিয়ে গেলেও বৈঠকের এখনও কোনও চিঠি আসেনি। শুধু তাই নয়, পিআইবিতেও ওই বিষয়ের কোনও উল্লেখ নেই। আসলে পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে প্রতারণার খেলা করছেন সাংসদ ও কেন্দ্র সরকার। আমরা অবিলম্বে সাংসদের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এসবের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে পথে নেমেছি। এক সপ্তাহ আমরা সাংসদের কাজ দেখব। যদি তাও চিঠি না আসে তবে আমরা আগামী সপ্তাহে ফের একইভাবে পথে নামব।"