গঙ্গারামপুর, 10 সেপ্টেম্বর : প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যুবতি ৷ অভিযোগ, তাই সাগরেদদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে গণধর্ষণ করা হল যুবতিকে ৷ খুনও করা হল ৷ গত শুক্রবার অর্থাৎ 6 সেপ্টেম্বর পতিরাম এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন বলে রওনা দেন যুবতি । তারপর বাড়ি ফেরেননি । পরদিন অর্থাৎ শনিবার সকালে জাহাঙ্গির এলাকার পুনর্ভবা নদীর পাশে গলা কাটা অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশের অনুমান, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সাগরেদদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে পিন্টু সরকার নামে যুবক ৷ সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ । ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠানো হয়েছে তাঁর দেহ ৷
শনিবার গলা কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় যুবতির ৷ পোশাক ছিল ছেড়া ৷ গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত জাহাঙ্গিরপুরে এই ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতিকে ৷
পারিবারিক সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে গঙ্গারামপুর কালদিঘি এলাকার যুবক পিন্টু সরকারের সঙ্গে আলাপ হয় এই যুবতির ৷ পিন্টু সরকার এলাকার একটি ক্লিনিকে কাজ করে৷ যুবতি ক্লিনিকে যেতেন চিকিৎসার জন্য় ৷ ছেলেটির সঙ্গে আলাপ ওষুধ আনতে যাওয়ার সূত্রেই ৷ কয়েকমাস আগে পিন্টু যুবতিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় । তবে যুবতি সম্মত হননি ৷
এই বিষয়ে মৃত যুবতির বাবা বলরাম রায় বলেন, '' আমার মেয়ে যে সময় মামাবাড়ি যাবে বলে বের হয়েছিল, সেই সময় পিন্টুর ফোন এসেছিল ওর মোবাইলে । বাড়িতে পিন্টু ফোন করে ওষুধ লাগবে কি না জিজ্ঞাসাও করত ৷ আমার মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মালদা নিয়ে যাবে বলেছিল পিন্টু । টাকাপয়সা জোগাড়ও করছিলাম । ও আমার মেয়েকে খুন করেছে আমি জানি ৷ কারণ গতকাল রাতে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ওর খোঁজ করতে গেলে বাড়িতে পায়নি, ও ফেরার । '' পিন্টুর কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান মৃতার বাবা ৷ যুবতির বোনের দাবি, ''আমার দিদিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল ,আমার দিদি সেই প্রস্তাব অস্বীকার করে, তাই মনে হয় আমার দিদিকে খুন করেছে পিন্টু ।''
গঙ্গারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ''মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে ৷ লিখিতভাবে পিন্টুর নামে অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার । সন্দেহ করা হচ্ছে সেই যুবক-সহ আরও অনেকে মিলে যুবতিকে ধর্ষণ করে খুন করেছে । অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ "