ETV Bharat / state

হস্তশিল্পীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সাংসদ ঘনিষ্ঠ নাট্য নির্দেশকের বিরুদ্ধে - balurghat

বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে বিপাকে পড়লেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ঘনিষ্ঠ নাট্য নির্দেশক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। মহিষবাথানের হস্তশিল্পীদের পাওনা অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।

নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে হস্তশিল্পীদের কাজ
author img

By

Published : Mar 9, 2019, 12:12 PM IST

বালুরঘাট, ৯ মার্চ : বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে বিপাকে পড়লেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ঘনিষ্ঠ নাট্য নির্দেশক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। মহিষবাথানের হস্তশিল্পীদের পাওনা অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কুশমণ্ডি-মহিষাবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতি। সমিতির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা পরেশ সরকার ডাক মারফত জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেবেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।

২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫ টাকা ব্যয়ে তৈরি বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের।

নাট্যচর্চা কেন্দ্রটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তরফে সরাসরি তৈরি করা হলেও এই কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। দেবেশবাবু প্রায়ই বালুরঘাটে এসে ওই কাজ খতিয়ে দেখতেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে মহিষবাথানের হস্তশিল্প দিয়ে নানা কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এই কাজেরই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হস্তশিল্প সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ সরকার দেবেশবাবুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে অর্পিতা ঘোষ ও বিপ্লব মিত্র শিবির বিভক্ত হয়ে গেছে। জেলা তৃণমূলের একাংশ অর্পিতা ঘোষকেই ফের প্রার্থী হিসেবে চাইছে। আবার আরেকটা অংশ প্রার্থী হিসেবে চাইছে বিপ্লব মিত্রকে।
এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অর্পিতা ঘোষকে বহিরাগত এবং বিপ্লব মিত্রকে ভূমিপুত্র হিসেবে দাবি করে চলছে জোর প্রচার। দুই শিবিরের লড়াই প্রায় সব ক্ষেত্রেই নজরে আসছে। এরই মাঝে সাংসদ ঘনিষ্ঠ নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করছেন অনেকে।

এবিষয়ে পরেশ সরকার বলেন, "দেবেশবাবুর কথাতেই প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকার হস্তশিল্প সামগ্রী ওই নাট্যচর্চা কেন্দ্রটিতে দেওয়া হয়েছিল। এর বিল করেও দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকা সম্ভবত তুলেও নিয়েছেন দেবেশবাবু। কিন্তু আমাদের মাত্র ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চাইতে গেলে গালাগাল করা হচ্ছে। গরীব হস্তশিল্পীদের বঞ্চনার সুবিচার পেতেই পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।"

এই অভিযোগের কথা শুনে হতবাক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, "ঠিকাদার সংস্থার তরফে পাওয়া ৮০ হাজার টাকা ওই সমবায় সমিতিতে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পরে আর কোনও দাবির কথা জানি না। ভোটের আগে এমন অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।

" সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, "বিষয়টা জানা ছিল না। ওই সমবায় সমিতি আমার কাছে অভিযোগ জানালে আগেই সমস্যা মেটানো হত। তবে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে।"

বালুরঘাট, ৯ মার্চ : বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে বিপাকে পড়লেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ঘনিষ্ঠ নাট্য নির্দেশক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। মহিষবাথানের হস্তশিল্পীদের পাওনা অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কুশমণ্ডি-মহিষাবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতি। সমিতির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা পরেশ সরকার ডাক মারফত জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেবেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।

২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫ টাকা ব্যয়ে তৈরি বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের।

নাট্যচর্চা কেন্দ্রটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তরফে সরাসরি তৈরি করা হলেও এই কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। দেবেশবাবু প্রায়ই বালুরঘাটে এসে ওই কাজ খতিয়ে দেখতেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে মহিষবাথানের হস্তশিল্প দিয়ে নানা কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এই কাজেরই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হস্তশিল্প সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ সরকার দেবেশবাবুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে অর্পিতা ঘোষ ও বিপ্লব মিত্র শিবির বিভক্ত হয়ে গেছে। জেলা তৃণমূলের একাংশ অর্পিতা ঘোষকেই ফের প্রার্থী হিসেবে চাইছে। আবার আরেকটা অংশ প্রার্থী হিসেবে চাইছে বিপ্লব মিত্রকে।
এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অর্পিতা ঘোষকে বহিরাগত এবং বিপ্লব মিত্রকে ভূমিপুত্র হিসেবে দাবি করে চলছে জোর প্রচার। দুই শিবিরের লড়াই প্রায় সব ক্ষেত্রেই নজরে আসছে। এরই মাঝে সাংসদ ঘনিষ্ঠ নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করছেন অনেকে।

এবিষয়ে পরেশ সরকার বলেন, "দেবেশবাবুর কথাতেই প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকার হস্তশিল্প সামগ্রী ওই নাট্যচর্চা কেন্দ্রটিতে দেওয়া হয়েছিল। এর বিল করেও দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকা সম্ভবত তুলেও নিয়েছেন দেবেশবাবু। কিন্তু আমাদের মাত্র ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চাইতে গেলে গালাগাল করা হচ্ছে। গরীব হস্তশিল্পীদের বঞ্চনার সুবিচার পেতেই পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।"

এই অভিযোগের কথা শুনে হতবাক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, "ঠিকাদার সংস্থার তরফে পাওয়া ৮০ হাজার টাকা ওই সমবায় সমিতিতে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পরে আর কোনও দাবির কথা জানি না। ভোটের আগে এমন অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।

" সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, "বিষয়টা জানা ছিল না। ওই সমবায় সমিতি আমার কাছে অভিযোগ জানালে আগেই সমস্যা মেটানো হত। তবে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে।"

Intro:হস্তশিল্পীদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সাংসদ ঘনিষ্ঠ দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, অভিযোগ পরল পুলিশ সুপারের কাছে।।

বালুরঘাট, ৯ মার্চঃ বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে বিপাকে পরলেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ঘনিষ্ঠ নাট্য নির্দেশক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। মহিষবাথানের হস্তশিল্পীদের পাওনা অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কুশমণ্ডি মহিষবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতি। কুশমণ্ডি মহিষবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা পরেশ সরকার এমনই অভিযোগ ডাক মারফতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে করেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও বরাতের অর্ধেক টাকা পেয়ে গেছেন শিল্পীরা বাকিটাও এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন বলে সাংসদ জানিয়েছেন। আগে বিষয়টি তার কাছে অভিযোগ করা হলে এই সমস্যা হত না। অন্য দিকে নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরই এমন অভিযোগ বলে জেলা রাজনৈতিক মহলের অনুমান।

উল্লেখ্য, বালুরঘাটে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫ টাকা ব্যয়ে গত ২ তারিখ উদ্বোধন করা হয়েছে বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের। নাট্য উৎসাহীদের নাট্য চর্চার জন্য যেমন নানা পরিকাঠামো করা হয়েছে তেমনি ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম অত্যাধুনিক ব্ল্যাক বক্সের পরিকাঠামো গড়া হয়েছে সেখানে। ওই নাট্য চর্চা কেন্দ্রটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে সরাসরি তৈরি করা হলেও এই কেন্দ্রের সৌন্দর্যের কাজ তত্বাবধানে ছিলেন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সাংসদ ঘনিষ্ঠ দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। দেবেশবাবু প্রায়ই বালুরঘাটে এসে ওই কাজ খতিয়ে দেখতেন। মূলত তার উদ্যোগেই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে জেলার মহিষবাথানের হস্তশিল্প দিয়ে নানান কারুকার্যকে ফুটিয়ে তোলার কাজ হয়েছে। আর এই কাজের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। কুশমণ্ডি ব্লকের দেউল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সহ সভাপতি তথা মহিষবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ সরকার দেবেশ বাবুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে অর্পিতা ঘোষ ও বিপ্লব মিত্র শিবির বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। জেলা তৃণমূলের একাংশ নেতাকর্মীরা অর্পিতা ঘোষকেই ফের প্রার্থী হিসেবে চাইলেও বিপ্লব মিত্র শিবির কিন্তু এবার বিপ্লববাবুকেই প্রার্থী করতে মরিয়া।
এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অর্পিতা ঘোষকে বহিরাগত এবং বিপ্লব মিত্রকে ভূমিপুত্র হিসেবে দাবি করে চলছে জোর প্রচার। দুই শিবিরে লড়াই প্রায় সব ক্ষেত্রেই নজরে আসছে। এরই মাঝে সাংসদ ঘনিষ্ঠ নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করছে অর্পিতা শিবির।

এবিষয়ে পরেশ সরকার বলেন, দেবেশবাবুর কথাতেই প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার নানান হস্তশিল্প সামগ্রী ওই নাট্য চর্চা কেন্দ্রটিতে দেওয়া হয়েছিল। এর বিল করেও দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকা সম্ভবত তুলেও নিয়েছেন দেবেশবাবু। কিন্তু আমাদের মাত্র ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চাইতে গেলে গালাগাল করা হচ্ছে। গরীব হস্তশিল্পীদের এই বঞ্চনার সুবিচার পেতেই পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

এমন অভিযোগের কথা শুনে হতবাক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ঠিকাদার সংস্থার তরফে মেলা ৮০ হাজার টাকা ওই সমবায় সমিতিতে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পরে আর কোন ও দাবির কথা জানিনা। ভোটের আগে এমন অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।

অন্য সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জানান, বিষয় টা জানা ছিল না। ওই সমবায় সমিতি আমার কাছে অভিযোগ জানালে আগেই সমস্যা মেটানো হত, তবে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে।Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.