ETV Bharat / state

পাটখেতের মাঝে সরু রাস্তা, সেখান দিয়েই স্কুলে যাওয়া

পাকা রাস্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ৷

আলপথে স্কুলে যাতায়াত
author img

By

Published : Jul 23, 2019, 1:25 PM IST

Updated : Jul 23, 2019, 3:25 PM IST

কুমারগঞ্জ, 23 জুলাই : স্কুল আছে ৷ কিন্তু নেই স্কুলে যাওয়ার কোনও রাস্তা ৷ দু'দিকে পাট খেত আর মাঝে সরু আলপথ ৷ সেই পথ দিয়েই বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা-জল পেরিয়ে যেতে হয় স্কুলে ৷ তাই পাকা রাস্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ৷

kumargunj, no road for school
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের ইনতুল্যাপুর মঞ্জুরী চক্ প্রাথমিক স্কুল

স্বাধীনতার দু'বছর পরেই তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুরের ইনতুল্লাপুর মঞ্জুরীচক প্রাথমিক স্কুলটি । বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা 87 জন ৷ শিক্ষক-শিক্ষিকা 4 জন ৷ স্কুলটি গ্রামের মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত । স্কুলে যাওয়ার জন্য কোনও পাকা রাস্তা ৷ পাট খেতের মাঝে আলপথ দিয়েই যাতায়াত করতে হয় পড়ুয়াদের ৷ ওই পথ দিয়েই মিড-ডে মিলের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও স্কুলের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে হয় শিক্ষকদের ৷ 2016 সালে এই স্কুল নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পায় ৷

kumargunj, no road for school
দু'দিকে পাট খেত, মাঝে সরু আলপথ সেই পথেই স্কুলের পথে পড়ুয়ারা

স্কুলের রাস্তা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বহুবার জেলা প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষকরা । কিন্তু আশ্বাস মিললেও হয়নি কাজ ৷

প্রধান শিক্ষক মহাদেব ঘোষ জানান, বর্ষাকালে ওই আলপথে যাতায়াতে কষ্ট হয় পড়ুয়াদের । স্কুলে আসার পথে কাদায় পড়ে যায় তারা । 2017 সালে কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলও স্কুলে এসে লিখিতভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা খাতায় কলমেই রয়ে গেছে ৷

দেখুন ভিডিয়োয়...

স্কুলের দুই ছাত্র রুস্তম মণ্ডল এবং আবু শাহেদ মণ্ডল জানায়, বৃষ্টি হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয় ৷ কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে ৷ এছাড়াও সাপ ও পোকামাকড়ের ভয় রয়েছে । তাই পাকা রাস্তা হলে স্কুলে আসতে সুবিধা হবে ৷

এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি ।

কুমারগঞ্জ, 23 জুলাই : স্কুল আছে ৷ কিন্তু নেই স্কুলে যাওয়ার কোনও রাস্তা ৷ দু'দিকে পাট খেত আর মাঝে সরু আলপথ ৷ সেই পথ দিয়েই বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা-জল পেরিয়ে যেতে হয় স্কুলে ৷ তাই পাকা রাস্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ৷

kumargunj, no road for school
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের ইনতুল্যাপুর মঞ্জুরী চক্ প্রাথমিক স্কুল

স্বাধীনতার দু'বছর পরেই তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুরের ইনতুল্লাপুর মঞ্জুরীচক প্রাথমিক স্কুলটি । বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা 87 জন ৷ শিক্ষক-শিক্ষিকা 4 জন ৷ স্কুলটি গ্রামের মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত । স্কুলে যাওয়ার জন্য কোনও পাকা রাস্তা ৷ পাট খেতের মাঝে আলপথ দিয়েই যাতায়াত করতে হয় পড়ুয়াদের ৷ ওই পথ দিয়েই মিড-ডে মিলের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও স্কুলের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে হয় শিক্ষকদের ৷ 2016 সালে এই স্কুল নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পায় ৷

kumargunj, no road for school
দু'দিকে পাট খেত, মাঝে সরু আলপথ সেই পথেই স্কুলের পথে পড়ুয়ারা

স্কুলের রাস্তা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বহুবার জেলা প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষকরা । কিন্তু আশ্বাস মিললেও হয়নি কাজ ৷

প্রধান শিক্ষক মহাদেব ঘোষ জানান, বর্ষাকালে ওই আলপথে যাতায়াতে কষ্ট হয় পড়ুয়াদের । স্কুলে আসার পথে কাদায় পড়ে যায় তারা । 2017 সালে কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলও স্কুলে এসে লিখিতভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা খাতায় কলমেই রয়ে গেছে ৷

দেখুন ভিডিয়োয়...

স্কুলের দুই ছাত্র রুস্তম মণ্ডল এবং আবু শাহেদ মণ্ডল জানায়, বৃষ্টি হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয় ৷ কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে ৷ এছাড়াও সাপ ও পোকামাকড়ের ভয় রয়েছে । তাই পাকা রাস্তা হলে স্কুলে আসতে সুবিধা হবে ৷

এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি ।

Intro:কুমারগঞ্জ, ২২ জুলাই: স্কুল আছে। তবে সে স্কুলে যাওয়ার নেই কোন রাস্তা। গ্রামের কংক্রিটের রাস্তা থেকে স্কুল অবধি প্রায় ৩০০ মিটার মেঠোপথ। এমনি সময় তেমন অসুবিধা না হলেও সমস্যা বাঁধে বর্ষাকালে। মাঠের আল রাস্তা দিয়ে হাটু সমান কাদা জল ভেঙ্গে বালুরঘাট থেকে শিক্ষকদের যেতে হয় স্কুলে। ৩০০ মিটার রাস্তার মিটার সেই আল রাস্তাটি চলাচল যোগ্য করার দাবি পড়ুয়া থেকে শিক্ষকদের।

স্বাধীনতা দু'বছর পরেই তৈরি হয়েছিল কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুরের ইনতুল্লাপুর মঞ্জুরীচক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৮৭ জন। সব মিলিয়ে চারজন শিক্ষক রয়েছে। স্কুলটি গ্রামের প্রধান রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত। দীর্ঘদিন আগে স্কুলটি হলেও, এখন পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার নেই কোন রাস্তা। মিড ডে মিলের জিনিস থেকে স্কুলের অন্যান্য সামগ্রী শিক্ষকদেরই কাঁধে করে নিয়ে আসতে হয়। ২০১৬ বর্ষে ইনতুল্লাপুর মঞ্জুরীচক প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পায়।

এদিকে স্কুলের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তার সমস্যা নিয়ে বহুবার জেলা প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা। কবে আশ্বাস ছাড়া কোন কিছুই মেলেনি তাদের। ২০১৭ সালে কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল এই স্কুলে এস এসে লিখিত দেন যে ৩০০ মিটার আলের রাস্তাটি কংক্রিটের করে দেবেন। বিধায়কের সেই লিখিত আশ্বাসও শুধু মাত্র খাতায় কলমেই রয়ে গেছে। বেশি কিছু নয় স্কুলের পড়ুয়া থেকে শিক্ষকদের দাবি খুব বেশি কিছুই নয়। চলাচলের যোগ্য একখানি রাস্তা হলেই তাদের আর কিছু চাইনা।

এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাদেব ঘোষ জানান, ২০০৫ সাল থেকে তিনি স্কুলের রয়েছেন। বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। স্কুলে আসার পর থেকেই তিনি দেখেন বিদ্যালয়ে যোগাযোগের কোন রাস্তা নেই। গ্রাম থেকে স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার মাটির আলের রাস্তা। বর্ষাকালে এই আলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভীষণ কষ্ট হয় পড়ুয়াদের। মাঝে মধ্যেই স্কুলে আসার পথে কাদায় পড়ে যায় তারা। ফুলের রাস্তার জন্য ব্লক পসিশন থেকে জেলা প্রশাসন এমনকি বিধায়কের কাছেও দরবার করেছেন তিনি। আসা ছাড়া কোন কিছুই মেলেনি। কাদের বেশি কিছু দাবি-দাওয়া নেই চলাচলের যোগ্য একখানি রাস্তা হলেই তাদের সব সমস্যার সমাধান হবে।

স্কুল পড়ুয়া রুস্তুম মণ্ডল ও আবু সাহেদ মণ্ডল জানান, বৃষ্টি হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। আলের রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতে মাঝেমধ্যেই হোঁচট খেয়ে কাদায় পড়ে যায় তারা। তারপর তো সাপ পোকা মাকড়ের ভয় তো রয়েছেই। চুলে নাক কাটা যদি ডাকাতের মত হয় তাহলে খুব সুবিধা হয় তাদের।

স্কুলের আরেক সহকারি শিক্ষক প্রসেনজিৎ দাস জানান, বৃষ্টির সময় দেখেন মাঝেমধ্যেই কোন কোন পড়ুয়ারা স্কুলে এসেছে গোটা হাত পায়ে কাঁদা মেখে। কি হয়েছে জানতে চাইলে হরিয়ানা গানা কাদায় আসতে গিয়ে পড়ে গেছে। এসব দেখলে সত্যিই খুব কষ্ট হয়। চারদিকে পাক রাস্তার মাঝখানে স্কুল শিয়াল কুকুরের ভয়ও রয়েছে। জুম মাঝে যে কোন কিছু হয়ে যায় তখন তারা কি করবে। তাদের দাবি-দাওয়া একটাই স্কুলের রাস্তা।

যদিও এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।


Body:Kumarganj


Conclusion:Kumarganj
Last Updated : Jul 23, 2019, 3:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.