কুমারগঞ্জ, 23 জুলাই : স্কুল আছে ৷ কিন্তু নেই স্কুলে যাওয়ার কোনও রাস্তা ৷ দু'দিকে পাট খেত আর মাঝে সরু আলপথ ৷ সেই পথ দিয়েই বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা-জল পেরিয়ে যেতে হয় স্কুলে ৷ তাই পাকা রাস্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ৷
স্বাধীনতার দু'বছর পরেই তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুরের ইনতুল্লাপুর মঞ্জুরীচক প্রাথমিক স্কুলটি । বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা 87 জন ৷ শিক্ষক-শিক্ষিকা 4 জন ৷ স্কুলটি গ্রামের মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত । স্কুলে যাওয়ার জন্য কোনও পাকা রাস্তা ৷ পাট খেতের মাঝে আলপথ দিয়েই যাতায়াত করতে হয় পড়ুয়াদের ৷ ওই পথ দিয়েই মিড-ডে মিলের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও স্কুলের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে হয় শিক্ষকদের ৷ 2016 সালে এই স্কুল নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পায় ৷
স্কুলের রাস্তা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বহুবার জেলা প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষকরা । কিন্তু আশ্বাস মিললেও হয়নি কাজ ৷
প্রধান শিক্ষক মহাদেব ঘোষ জানান, বর্ষাকালে ওই আলপথে যাতায়াতে কষ্ট হয় পড়ুয়াদের । স্কুলে আসার পথে কাদায় পড়ে যায় তারা । 2017 সালে কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলও স্কুলে এসে লিখিতভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা খাতায় কলমেই রয়ে গেছে ৷
স্কুলের দুই ছাত্র রুস্তম মণ্ডল এবং আবু শাহেদ মণ্ডল জানায়, বৃষ্টি হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয় ৷ কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে ৷ এছাড়াও সাপ ও পোকামাকড়ের ভয় রয়েছে । তাই পাকা রাস্তা হলে স্কুলে আসতে সুবিধা হবে ৷
এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি ।