ETV Bharat / state

বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে সিরিঞ্জ, গজ, তুলো ! - District Health Department

অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল চত্বর । চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, গজ ও তুলো ৷ অভিযোগ, বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল লাগোয়া বেসরকারি ল্যাব থেকেই এই বর্জ্য পদার্থ রাস্তায় ফেলা হয় ।

অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল চত্বর
author img

By

Published : May 22, 2019, 3:26 PM IST

বালুরঘাট, 22 মে : অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল চত্বর । চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, গজ ও তুলো ৷ ঘটনাটি বালুরঘাট হাসপাতালের সামনের রাস্তার ৷ হাসপাতালের ডায়গনাস্টিক সেন্টারগুলির সামনে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় এই চিত্র । অভিযোগ জমা পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিকের কাছে । স্থানীয়রা সরব হয়েছেন সোশাল মিডিয়ায় । বিষয়টি নজরে আসতেই আজ বালুরঘাট পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয় ।

অভিযোগ, বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল লাগোয়া বেসরকারি ল্যাব থেকে এই বর্জ্য রাস্তায় ফেলা হয় । সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের । এভাবে রাস্তায় বর্জ্য ফেলায় কুকুর সেগুলি আরও ছড়িয়ে দেয় । ফলে হতে পারে কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা । ব্যবহৃত সিরিঞ্জ কারও পায়ে ঢুকলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে । নোংরা হয়ে থাকা রাস্তার ছবি তুলে অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অরিন্দম সরকার বলেন, "এই চিত্র মাঝে মাঝেই দেখা যায় । অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ । জেলা প্রশাসনের নজরে আনতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনেকে ।" বালুরঘাট হাসপাতাল সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, "হাসপাতালের বর্জ্য সামগ্রী নিয়ে যায় একটি সংস্থা । তাদের নির্দিষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে । তাই কোনওভাবেই জাতীয় সড়কে পড়ে থাকা ওই বর্জ্যগুলি হাসপাতালের নয় ।" অন্যদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, "এভাবে বর্জ্য রাস্তায় ফেলা যায় না । কারা কেন ফেলেছে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে । জেলা পুলিশকেও লিখিতভাবে জানানো হবে ।"

বালুরঘাট, 22 মে : অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল চত্বর । চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, গজ ও তুলো ৷ ঘটনাটি বালুরঘাট হাসপাতালের সামনের রাস্তার ৷ হাসপাতালের ডায়গনাস্টিক সেন্টারগুলির সামনে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় এই চিত্র । অভিযোগ জমা পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিকের কাছে । স্থানীয়রা সরব হয়েছেন সোশাল মিডিয়ায় । বিষয়টি নজরে আসতেই আজ বালুরঘাট পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয় ।

অভিযোগ, বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল লাগোয়া বেসরকারি ল্যাব থেকে এই বর্জ্য রাস্তায় ফেলা হয় । সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের । এভাবে রাস্তায় বর্জ্য ফেলায় কুকুর সেগুলি আরও ছড়িয়ে দেয় । ফলে হতে পারে কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা । ব্যবহৃত সিরিঞ্জ কারও পায়ে ঢুকলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে । নোংরা হয়ে থাকা রাস্তার ছবি তুলে অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অরিন্দম সরকার বলেন, "এই চিত্র মাঝে মাঝেই দেখা যায় । অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ । জেলা প্রশাসনের নজরে আনতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনেকে ।" বালুরঘাট হাসপাতাল সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, "হাসপাতালের বর্জ্য সামগ্রী নিয়ে যায় একটি সংস্থা । তাদের নির্দিষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে । তাই কোনওভাবেই জাতীয় সড়কে পড়ে থাকা ওই বর্জ্যগুলি হাসপাতালের নয় ।" অন্যদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, "এভাবে বর্জ্য রাস্তায় ফেলা যায় না । কারা কেন ফেলেছে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে । জেলা পুলিশকেও লিখিতভাবে জানানো হবে ।"

Intro:উন্নত পরিকাঠামো থাকার পরও রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা, ক্ষোভ বালুরঘাট হাসপাতালে।।

বালুরঘাট, ৬ মে: সম্পূর্ণ পরিকাঠামো থাকা স্বত্বেও সরকারি হাসপাতালের এক শ্রেণির চিকিৎসকরা রোগীদের বেসরকারি নার্সিং হোম ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের পাঠাচ্ছেন। অর্থালোভের কারণে কতিপয় চিকিৎসক বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটিকে বদনাম করছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই অত্যাধুনিক পরিকাঠামো নিয়ে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটির চিকিৎসা পরিষেবা আজ প্রশ্নের মুখে।

জানা গেছে, একসময় তলানিতে পোঁছে গেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা বা বালুরঘাট সদর হাসপাতাল। রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, অপারেশান সবটাই বাইরে করাতে হত রোগীর পরিজনকে। কথায় কথায় বাইরে রেফার করা ছিল এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিশেষ কাজ। হয়রানির পাশাপাশি দুস্থ রোগীর পরিজনদের আর্থিক সঙ্কট চরম আকার নিত। সেইদিকে নজর রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকার জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সদর বালুরঘাটে হাসপাতালের পেছনে একটি বিশালাকৃতি ফাঁকা জায়গা চিহ্নিত হয়। সেখানেই তৈরি হয়েছে ১০ তলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ওই হাসপাতালটি তৈরিতে প্রায় ১৪০ কোটি ব্যয় হয়েছে। গত ২৬ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে কলকাতা থেকে নবনির্মিত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন হয়েছে। উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত হাসপাতাল বিল্ডিংটিতে এই মুহুর্তে প্রায় সব পরিষেবা স্থানান্তরিত করা হয়েছে সদর হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে। ঝাঁ চকচকে ঘর, লিফটের ব্যবস্থা, নিয়মকানুন অনেক বেড়েছে বিল্ডিং -এর ভেতরে। বসেছে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে চিকিৎসা পরিষেবা। মাঝে মাঝেই জটিল অপারেশান করে এই হাসপাতালের কিছু চিকিৎসক নাম কুড়িয়েছেন। পরিকাঠামোর দ্বারা প্রায় সব ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা হচ্ছে বলেই দাবি করছেন হাসপাতাল সুপার। কিন্তু তার মাঝেও সক্রিয় হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির অর্থালোভি চিকিৎসক বলে অভিযোগ। এনিয়ে বারবার মানুষকে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মী তার অভিজ্ঞতা নিয়ে সরব হন।

বালুরঘাটের কর্মরত পুলিশ কর্মী অরুণ কুমার যাদব জানান, দিন কয়েক আগে তার মলমূত্র বন্ধ হয়ে যায়। তিনি রাত আনুমানিক বারোটা নাগাদ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে যান। সেখানে কর্মরত চিকিৎসককে তার সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু সেই চিকিৎসা না করে রোগীর হার্টবিট সহ অন্য বিষয়গুলি দেখতে থাকেন। চিকিৎসক জানান ইসিজি করতে হবে। হাসপাতালে নয়, বাইরে থেকে লোক এনে করাতে চান চিকিৎসক। কিন্তু চিকিৎসকের সেই কথায় রাজি হননি পুলিশ কর্মী অরুণবাবু। তিনি চিকিৎসককে মল ত্যাগের চিকিৎসা করতে বলেন। এরপরে অরুণ বাবুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্ত গভীর রাত পর্যন্ত তার চিকিৎসা শুরু করেননি কেউ। মলত্যাগের জন্য সুইপার না থাকার অজুহাত দেওয়া হয়। এদিকে শারীরিক অবনতি হতে থাকা ওই পুলিশ কর্মী ৪০ কিলোমিটার দূরের গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান। সেখানে দ্রুত ওষুধ প্রয়োগ সমস্যা দূর করেন। অরুণ বাবু বলেন, কিছু চিকিৎসক বাইরে বেসরকারি প্যাথোলজি সেন্টার ও নার্সিং হোমের সঙ্গে যোগ রেখে কারবার করছেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।

অন্য দিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, এই ধরণের কাজে যুক্ত রয়েছেন দু-এক জন চিকিৎসক। তার কাছেও এই খবর এসেছে এর আগে। তিনি ওই চিকিৎসদের সতর্ক করছেন। তবে বালুরঘাট হাসপাতালে সব ধরণের পরিকাঠামো রয়েছে। রোগী ও তার পরিজনরা যাতে কারও কথায় কর্ণপাত না করেন এই বার্তা তার।Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.