ETV Bharat / state

সুপার স্পেশালিটিতে পরিকাঠামো সত্ত্বেও রোগীদের নার্সিংহোমে পাঠানোর অভিযোগ

উন্নত পরিকাঠামো সত্ত্বেও রোগীদের নার্সিংহোমে পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা । এক পুলিশকর্মী এই সমস্যা নিয়ে দিন কয়েক আগে সরব হন । সমস্যার কথা স্বীকার করেন হাসপাতলের সুপারও ।

বালুরঘাট সদর হাসপাতাল
author img

By

Published : May 7, 2019, 3:03 PM IST

বালুরঘাট, 7 মে : সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো সত্ত্বেও কিছু চিকিৎসক রোগীদের বেসরকারি নার্সিংহোম ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠাচ্ছেন। ফলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও বালুরঘাটে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আজ প্রশ্নের মুখে।

বালুরঘাটে কর্মরত পুলিশকর্মী অরুণ কুমার যাদবের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে তিনি শারীরিক সমস্যা নিয়ে রাত ১২টা নাগাদ হাসপাতালে যান । সেখানে কর্মরত চিকিৎসককে তাঁর সমস্যার কথা বলেন । চিকিৎসক ওই রোগীর হার্টবিট সহ অন্য বিষয়গুলি দেখতে থাকেন । চিকিৎসক জানান ECG করতে হবে । তবে, সেটা হাসপাতালে নয়, বাইরে থেকে লোক এনে করাতে হবে । চিকিৎসকের সেই কথায় রাজি হননি অরুণবাবু । এরপরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিন্ত গভীর রাত পর্যন্ত তার চিকিৎসা শুরু হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান । সেখানে দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় । এরপর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্দ অরুণবাবু বলেন, "কিছু চিকিৎসক বেসরকারি প্যাথোলজি সেন্টার ও নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগ রেখে কারবার করছেন । এটা বন্ধ হওয়া দরকার ।"

বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, "এই ধরণের কাজে দু-এক জন চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন । আমাদের কাছে এর আগেও এই খবর এসেছে । ওই চিকিৎসদের সতর্কও করা হয়েছে । বালুরঘাট হাসপাতালে সব ধরণের পরিকাঠামো রয়েছে । তাই রোগী ও তার পরিজনদের কাছে আমাদের আবেদন কারও কথায় কর্ণপাত করবেন না ।"

বালুরঘাট, 7 মে : সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো সত্ত্বেও কিছু চিকিৎসক রোগীদের বেসরকারি নার্সিংহোম ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠাচ্ছেন। ফলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও বালুরঘাটে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আজ প্রশ্নের মুখে।

বালুরঘাটে কর্মরত পুলিশকর্মী অরুণ কুমার যাদবের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে তিনি শারীরিক সমস্যা নিয়ে রাত ১২টা নাগাদ হাসপাতালে যান । সেখানে কর্মরত চিকিৎসককে তাঁর সমস্যার কথা বলেন । চিকিৎসক ওই রোগীর হার্টবিট সহ অন্য বিষয়গুলি দেখতে থাকেন । চিকিৎসক জানান ECG করতে হবে । তবে, সেটা হাসপাতালে নয়, বাইরে থেকে লোক এনে করাতে হবে । চিকিৎসকের সেই কথায় রাজি হননি অরুণবাবু । এরপরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিন্ত গভীর রাত পর্যন্ত তার চিকিৎসা শুরু হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান । সেখানে দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় । এরপর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্দ অরুণবাবু বলেন, "কিছু চিকিৎসক বেসরকারি প্যাথোলজি সেন্টার ও নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগ রেখে কারবার করছেন । এটা বন্ধ হওয়া দরকার ।"

বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, "এই ধরণের কাজে দু-এক জন চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন । আমাদের কাছে এর আগেও এই খবর এসেছে । ওই চিকিৎসদের সতর্কও করা হয়েছে । বালুরঘাট হাসপাতালে সব ধরণের পরিকাঠামো রয়েছে । তাই রোগী ও তার পরিজনদের কাছে আমাদের আবেদন কারও কথায় কর্ণপাত করবেন না ।"

নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ব্যারাকপুর জুড়ে দেবপ্রিয় সরকার, ব্যারাকপুর_07/05/2019 ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে মিটে গেলেও ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনও যথেষ্টই উত্তপ্ত ব্যারাকপুরের বিভিন্ন এলাকা। কোথাও তৃণমূলের ক্লাবে বোমাবাজি, গুলি চালানোর অভিযোগ, আবার কোথাও বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, কোথাও বা তৃণমূলে ভোট দেওয়ার অপরাধে মারধোর। সমস্ত ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। গতকাল ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে দুই একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই সমাপ্ত হয়েছে নির্বাচন। কিন্তু ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা ছাড়তেই রাত থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক দুষ্কৃতী তাণ্ডব।বীজপুর বিধানসভা এলাকার কাঁচরাপাড়া 22 নম্বর ওয়ার্ড এর একটি তৃণমূলের ক্লাবে একদল দুষ্কৃতী এসে চড়াও হয়ে যথেচ্ছভাবে বোমাবাজি করে। এছাড়াও ক্লাবের ভেতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কারণ গতকাল নির্বাচনে বিজপুর এর বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের স্বপক্ষে ভোট দিয়েছে সাধারণ মানুষ। সে কারণেই নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার হতাশা থেকেই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র জানান বিজেপির বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। তৃণমূল নিজেরা নিজেরাই গন্ডগোল পাকিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপির নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে নৈহাটি 6 নম্বর বিজয়নগর এলাকায় রেনুকা সাউ নামে এক বিজেপি কর্মী নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করায় রাত্রেবেলা তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। এক্ষেত্রেও বিজেপির করা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে জগদ্দল বিধানসভার আতপুরে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। এই সমস্ত ক্ষেত্রেই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে রীতিমতো নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত গোটা এলাকা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.