ETV Bharat / state

লাভ নেই, ঐতিহ্য বাঁচাতে প্রদীপ তৈরি বালুরঘাটের শিল্পীদের - clay lamps

ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে বালুরঘাটে তৈরি হচ্ছে মাটির প্রদীপ ।

মাটির প্রদীপ
author img

By

Published : Oct 22, 2019, 2:44 PM IST

বালুরঘাট, 22 অক্টোবর : যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবকিছু এখন ডিজিটাল । বর্তমানে ডিজিটাল আলোকসজ্জার কাছে হেরে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী মাটির প্রদীপ । প্রদীপ বানিয়ে আর সেরকম লাভ হয় না বললেই চলে । তবে, পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে আজও মাটির প্রদীপ তৈরি করেন বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর এলাকার কুমোররা । নতুন প্রজন্ম এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন । কিন্তু যতদিন বেঁচে আছেন মাটির প্রদীপই তৈরি করবেন বলে জানাচ্ছেন কুমোররা ।

দীপাবলি মানেই আলোর রোশনাই । একটা সময় ছিল যখন দীপাবলিতে মাটির প্রদীপই ব্যবহার করত সবাই । সে সময় প্রদীপের চাহিদা ছিল তুঙ্গে । কুমোররা তখন নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে প্রদীপ বানাতেন । কিন্তু সময় পালটেছে । সময় কমেছে মানুষের । বছর কয়েক আগে হঠাৎই বাজারে চায়না টুনি আসে ৷ তারপর থেকে বাজার মাটির প্রদীপের বাজার পড়ে যায় । যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে বর্তমান বাজার দখল করেছে এলইডি আলো । এখন নেহাতই নিয়ম পালনের জন্য অল্প কিছু মাটির প্রদীপ কেনে সাধারণ মানুষ । মাটির প্রদীপ বেচে লাভও হয় না সেভাবে । হাজার চেষ্টা করেও মৃতপ্রায় মাটির প্রদীপকে, এই শিল্পকে আর আগের জায়গায় ফেরানো সম্ভব হয়নি ।

lamp
মাটির প্রদীপ তৈরির চলছে প্রস্তুতি

তবে, চাহিদা কমলেও এখনও দীপাবলিতে বাড়তি প্রদীপ তৈরি করেন বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর এলাকার কুমোররা । দুর্গাপুজার পর থেকেই এবারও তারা মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন । মাটি থেকে সবকিছুই কেনা । একটা প্রদীপ তৈরি করে তাকে বাজারজাত করতেও একটা প্রদীপের জন্য খরচ পড়ে প্রায় 40 থেকে 50 পয়সা । যা একই দামে পাইকারি রেটে বিক্রি হয় । খুচরো হাতে বিক্রি করলে একটি প্রদীপ 75 পয়সা থেকে 1 টাকায় বিক্রি হয় । প্রদীপ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যায় না বললেই চলে । পুরোনো ঐতিহ্য আর এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজও তারা প্রদীপ বানিয়ে আসছেন । তবে তাদের পর নতুন প্রজন্ম এই পেশায় আর আসছে না । তাই তারা এখন লাভের আশায় নয় নিজের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন ।

lamp
আগে অনেক মাটির প্রদীপ বিক্রি হলেও এখন চাহিদা কমেছে, তাই উৎপাদনও কমেছে

এবিষয়ে কুমোর সুদেবচন্দ্র পাল জানান, আগের মতো আর প্রদীপের চাহিদা নেই । বাজারে ছেয়ে গেছে চায়নার নানা এলইডি লাইট । তাদের সঙ্গে মাটির তৈরি প্রদীপ টেক্কা নিতে পারছে না । আগে একজন 100 থেকে 200 টি করে মাটির প্রদীপ নিত । আর সেখানে এখন চার থেকে পাঁচটা বা খুব বেশি হলে দশটা করে নেয় । যতটুকু না দিলে নয় । তারা কালীপুজোর জন্য একটু বেশি করেই প্রদীপ তৈরি করেন । তাদের ছেলেরা এইসব করেন না । যতদিন পারবেন পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন ।

lamp
প্রদীপ বানাচ্ছেন সুদেব চন্দ্র পাল

এবিষয়ে প্রদীপ নিতে আসা অমিত সরকার জানান, এখন এলইডি লাইট দেখতে বেশি ভালো লাগে । তার উপর একবার কিনলে কয়েক বছর তা চলে যায় । ঝুট ঝামেলা তেমন নেই । তাই সকলেই মাটির প্রদীপ না কি এলইডি লাইট কিনছে ।

দেখুন ভিডিয়ো

বালুরঘাট, 22 অক্টোবর : যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবকিছু এখন ডিজিটাল । বর্তমানে ডিজিটাল আলোকসজ্জার কাছে হেরে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী মাটির প্রদীপ । প্রদীপ বানিয়ে আর সেরকম লাভ হয় না বললেই চলে । তবে, পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে আজও মাটির প্রদীপ তৈরি করেন বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর এলাকার কুমোররা । নতুন প্রজন্ম এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন । কিন্তু যতদিন বেঁচে আছেন মাটির প্রদীপই তৈরি করবেন বলে জানাচ্ছেন কুমোররা ।

দীপাবলি মানেই আলোর রোশনাই । একটা সময় ছিল যখন দীপাবলিতে মাটির প্রদীপই ব্যবহার করত সবাই । সে সময় প্রদীপের চাহিদা ছিল তুঙ্গে । কুমোররা তখন নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে প্রদীপ বানাতেন । কিন্তু সময় পালটেছে । সময় কমেছে মানুষের । বছর কয়েক আগে হঠাৎই বাজারে চায়না টুনি আসে ৷ তারপর থেকে বাজার মাটির প্রদীপের বাজার পড়ে যায় । যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে বর্তমান বাজার দখল করেছে এলইডি আলো । এখন নেহাতই নিয়ম পালনের জন্য অল্প কিছু মাটির প্রদীপ কেনে সাধারণ মানুষ । মাটির প্রদীপ বেচে লাভও হয় না সেভাবে । হাজার চেষ্টা করেও মৃতপ্রায় মাটির প্রদীপকে, এই শিল্পকে আর আগের জায়গায় ফেরানো সম্ভব হয়নি ।

lamp
মাটির প্রদীপ তৈরির চলছে প্রস্তুতি

তবে, চাহিদা কমলেও এখনও দীপাবলিতে বাড়তি প্রদীপ তৈরি করেন বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর এলাকার কুমোররা । দুর্গাপুজার পর থেকেই এবারও তারা মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন । মাটি থেকে সবকিছুই কেনা । একটা প্রদীপ তৈরি করে তাকে বাজারজাত করতেও একটা প্রদীপের জন্য খরচ পড়ে প্রায় 40 থেকে 50 পয়সা । যা একই দামে পাইকারি রেটে বিক্রি হয় । খুচরো হাতে বিক্রি করলে একটি প্রদীপ 75 পয়সা থেকে 1 টাকায় বিক্রি হয় । প্রদীপ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যায় না বললেই চলে । পুরোনো ঐতিহ্য আর এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজও তারা প্রদীপ বানিয়ে আসছেন । তবে তাদের পর নতুন প্রজন্ম এই পেশায় আর আসছে না । তাই তারা এখন লাভের আশায় নয় নিজের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন ।

lamp
আগে অনেক মাটির প্রদীপ বিক্রি হলেও এখন চাহিদা কমেছে, তাই উৎপাদনও কমেছে

এবিষয়ে কুমোর সুদেবচন্দ্র পাল জানান, আগের মতো আর প্রদীপের চাহিদা নেই । বাজারে ছেয়ে গেছে চায়নার নানা এলইডি লাইট । তাদের সঙ্গে মাটির তৈরি প্রদীপ টেক্কা নিতে পারছে না । আগে একজন 100 থেকে 200 টি করে মাটির প্রদীপ নিত । আর সেখানে এখন চার থেকে পাঁচটা বা খুব বেশি হলে দশটা করে নেয় । যতটুকু না দিলে নয় । তারা কালীপুজোর জন্য একটু বেশি করেই প্রদীপ তৈরি করেন । তাদের ছেলেরা এইসব করেন না । যতদিন পারবেন পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন ।

lamp
প্রদীপ বানাচ্ছেন সুদেব চন্দ্র পাল

এবিষয়ে প্রদীপ নিতে আসা অমিত সরকার জানান, এখন এলইডি লাইট দেখতে বেশি ভালো লাগে । তার উপর একবার কিনলে কয়েক বছর তা চলে যায় । ঝুট ঝামেলা তেমন নেই । তাই সকলেই মাটির প্রদীপ না কি এলইডি লাইট কিনছে ।

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:লাভের আশায় নয়, পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতেই আজও মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন বালুরঘাটের কুমোররা।।

বালুরঘাট, ১৯ সেপ্টেম্বর: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবকিছু এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। বর্তমান ডিজিটাল আলোকসজ্জার কাছে হেরে যেতে বসেছে ঐতিহ্যের মাটির প্রদীপ। প্রদীপ বানিয়ে আর সেরকম লাভ হয় না বললেই চলে। পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে আজও মাটির প্রদীপ তৈরি করে আসছেন বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর এলাকার কুমোররা। নতুন প্রজন্ম এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। যতদিন তারা বেঁচে আছেন মাটির তৈরি করবেন বলে কুমোররা জানিয়েছেন।

দীপাবলি মানেই আলোর রসনা। একটা সময় ছিল যখন দীপাবলিতে মাটির প্রদীপ ব্যবহৃত হত। মাটির প্রদীপে সর্ষের তেল দিয়ে বাড়ির উঠোন থেকে দেওয়াল জ্বালিয়ে দেয়া হত। সে সময় প্রদীপের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। কুমোররা নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে প্রদীপ বানাতেন। বছর কয়েক আগে হঠাৎই বাজারে ছেয়ে যায় চায়না টুনি বাল্পে। পরে তা বাজার দখল করে ফেলে। যুগের বিবর্তনের সঙ্গে বর্তমান বাজার দখল করেছে এলইডি আলো। মাটির প্রদীপ থেকে সাধারণ মানুষও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নেহাতই নিয়ম পালনের জন্যই এখন অল্প কিছু মাটির প্রদীপ কেনেন সাধারণ মানুষ। যেটা না নেওয়ার সমাননি। হাজার চেষ্টা করে মৃতপ্রায় মাটির প্রদীপ কি আর আগের জায়গায় ফেরানো সম্ভব হয়নি।

চাহিদা কমলেও এখনও দীপাবলিতে বাড়তি প্রদীপ তৈরি করেন বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর এলাকার কুমোররা। দুর্গা পূজার পর থেকেই এবারও তারা মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন। মাটি থেকে সবকিছুই কেনা। একটা প্রদীপ তৈরি করে বাজারজাতও করতে একটি প্রদীপ এর পিছনে খরচ পড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ পয়সা। যা একই দামে পাইকারি রেটে বিক্রি হয়। খুচরো হাতে বিক্রি করলে একটি প্রদীপ ৭৫ পয়সা থেকে ১ টাকায় বিক্রি হয়। প্রদীপ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যায় না বললেই চলে। পুরনো ঐতিহ্য আর এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজও তারা প্রদীপ বানিয়ে আসছেন। তবে তাদের পর নতুন প্রজন্ম এই পেশায় আর আসচ্ছে না। তাই তারা এখন লাভের আশায় নয় নিজের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন।

এবিষয়ে কুমোর সুদেব চন্দ্র পাল জানান, আগের মতো আর প্রদীপের চাহিদা নেই। বাজারে ছেয়ে গেছে চায়নার নানা এলইডি লাইট। তাদের সঙ্গে মাটির তৈরি প্রদীপ টেক্কা নিতে পারছে না। আগে একজন ১০০ থেকে ২০০ টি কি করে মাটির প্রদীপ নিত। আর সেখানে এখন চার থেকে পাঁচটা বা খুব বেশি হলে দশটা করে নেয়। যতটুকু না দিলেই নয়। তারা কালী পূজার জন্য একটু বেশি করেই প্রদীপ তৈরি করেন। তাদের ছেলেরা এইসব করেন না। যতদিন পারবেন পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।

এবিষয়ে প্রদীপ নিতে আসা অমিত সরকার জানান, এখন এলইডি লাইট দেখতে বেশি ভালো লাগে। তার উপর একবার কিনলে কয়েক বছর তা চলে যায়। ঝুট ঝামেলা তেমন নেই। তাই সকলেই মাটির প্রদীপ নাকি নে এলইডি লাইট কিনছে।

( ভিডিওর শেষের কাল টুকু বাদ দেবেন pls)


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.