ETV Bharat / state

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলেরই, দলনেতা নির্বাচনের পর জানালেন অর্পিতা - Prabir Roy

আইনি পথেই জেলা পরিষদের নতুন দলনেতা নির্বাচন করল তৃণমূল । 11 সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করলেন অর্পিতা ঘোষ।

দক্ষিণ দিনাজপুর
author img

By

Published : Jul 15, 2019, 11:20 PM IST

বালুরঘাট, 15 জুলাই : জেলা পরিষদের দলনেতা ও সভাধিপতি যোগ দিয়েছেন BJP-তে । তারপর প্রবীর রায়কে দলনেতা ঘোষণা করা হলেও পঞ্চায়েত আইনে তা বাতিল হয়ে যায় । এবার আইনি পথে জেলা পরিষদের দলনেতা নির্বাচন করা হল প্রবীর রায়কে । জেলা পরিষদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আজ বৈঠক করেন তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ ও বাচ্চু হাঁসদা । 11 জন সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । জেলা পরিষদ তৃণমূলের‌ই রয়েছে । জেলার উন্নয়নে যাতে প্রভাব না পড়ে তার জন্য সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে মোট 18 জন সদস্য সহ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল । গত 24 জুন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ ১০ জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে BJP-তে যোগ দেন । 11 জুলাই ওই 10 জনের মধ্যে 6 সদস্য ও দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে জেলা পরিষদের দখল নেয় BJP ।

এদিকে BJP-তে যাওয়া বাকি চার সদস্যের মধ্যে গৌরী মালি, ইরা রায় এবং পঞ্চানন বর্মণ গত 13 জুলাই তৃণমূলে ফেরেন । আগের 8 ও ঘরে ফেরা 3 জন মিলিয়ে মোট 11 জন সদস্যকে নিয়ে আজ জেলা পরিষদ অফিসে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা । তাঁরা জেলা পরিষদের এই 11 সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন । বৈঠকে ডাকা হলেও আসেননি জেলা পরিষদের সেক্রেটারি মানস হালদার ।

অর্পিতা ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের হাতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ রয়েছে । আজকের বৈঠকে নতুন করে দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে । সব সদস্য নিয়মিত জেলা পরিষদে এসে নিয়মকানুন রক্ষা করবেন । কেন না, থমকে যাওয়া কাজ ও আটকে থাকা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে । সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে কাজ হবে । সেক্ষেত্রে সভাধিপতি কোনও ফ্যাক্টর হবেন না।"

অন্যদিকে BJP নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, "সবাই জানে কী ভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকা সদস্যদের টেনে নিয়ে গেছে তৃণমূল । এত সহজে তৃণমূল জেলা পরিষদ পরিচালনা করতে পারবে না । আমরা আইনি সহায়তা নিয়েই এগোচ্ছি ।"

বালুরঘাট, 15 জুলাই : জেলা পরিষদের দলনেতা ও সভাধিপতি যোগ দিয়েছেন BJP-তে । তারপর প্রবীর রায়কে দলনেতা ঘোষণা করা হলেও পঞ্চায়েত আইনে তা বাতিল হয়ে যায় । এবার আইনি পথে জেলা পরিষদের দলনেতা নির্বাচন করা হল প্রবীর রায়কে । জেলা পরিষদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আজ বৈঠক করেন তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ ও বাচ্চু হাঁসদা । 11 জন সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । জেলা পরিষদ তৃণমূলের‌ই রয়েছে । জেলার উন্নয়নে যাতে প্রভাব না পড়ে তার জন্য সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে মোট 18 জন সদস্য সহ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল । গত 24 জুন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ ১০ জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে BJP-তে যোগ দেন । 11 জুলাই ওই 10 জনের মধ্যে 6 সদস্য ও দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে জেলা পরিষদের দখল নেয় BJP ।

এদিকে BJP-তে যাওয়া বাকি চার সদস্যের মধ্যে গৌরী মালি, ইরা রায় এবং পঞ্চানন বর্মণ গত 13 জুলাই তৃণমূলে ফেরেন । আগের 8 ও ঘরে ফেরা 3 জন মিলিয়ে মোট 11 জন সদস্যকে নিয়ে আজ জেলা পরিষদ অফিসে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা । তাঁরা জেলা পরিষদের এই 11 সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন । বৈঠকে ডাকা হলেও আসেননি জেলা পরিষদের সেক্রেটারি মানস হালদার ।

অর্পিতা ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের হাতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ রয়েছে । আজকের বৈঠকে নতুন করে দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে । সব সদস্য নিয়মিত জেলা পরিষদে এসে নিয়মকানুন রক্ষা করবেন । কেন না, থমকে যাওয়া কাজ ও আটকে থাকা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে । সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে কাজ হবে । সেক্ষেত্রে সভাধিপতি কোনও ফ্যাক্টর হবেন না।"

অন্যদিকে BJP নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, "সবাই জানে কী ভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকা সদস্যদের টেনে নিয়ে গেছে তৃণমূল । এত সহজে তৃণমূল জেলা পরিষদ পরিচালনা করতে পারবে না । আমরা আইনি সহায়তা নিয়েই এগোচ্ছি ।"

Intro:আইনি পথেই জেলা পরিষদের নতুন দলনেতা ঘোষণা করল তৃণমূল, ১১ সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করলেন অর্পিতা ঘোষ।।

বালুরঘাট, ১৫ জুলাই: জেলা পরিষদের দলনেতা ও সভাধিপতি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। দলের জেলা সভাপতি দ্বারা এর আগে প্রবীর রায়কে একবার দলনেতা ঘোষণা করলেও তা গ্রাহ্য হয়নি পঞ্চায়েত আইনে। তাই এবার আইনী পথেই গিয়েই এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা পরিষদের সদস্যদের দ্বারা তৃণমূলের দলনেতা নির্বাচন করা হল শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর রায়কেই। জেলা পরিষদের থমকে যাওয়া উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ১১ সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করলেন। জেলা পরিষদ তৃণমূলের‌ই রয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজকর্ম যাতে প্রভাব না পরে তার জন্যে সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে কাজের নির্দেশ দেওয়া দেব তিনি। এদিকে বিভিন্ন কাজের অভিযোগে জেলা পরিষদের সেক্রেটারি (সচিব) মানস হালদারকে ভৎসনা করেন অর্পিতা।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে মোট ১৮ জন সদস্যকে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল বোর্ড গড়েছিল। তবে গত ২৪ জুন ২০১৯ দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ ১০ জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফিরে এসে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১১ জুন ১০ জনের মধ্যে ৬ সদস্য এবং দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা পরিষদের দখল নেয় বিজেপি। বিজেপিতে যাওয়া অনুপস্থিত চার সদস্যর মধ্যে গৌরি মালি, ইরা রায় এবং পঞ্চানন বর্মণ গর শনিবার অর্থাৎ ১৩ জুলাই বালুরঘাট পুরসভার ক্ষনিকাতে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন। আগের ৮ ও ঘরে ফেরা ৩ জন মিলিয়ে মোট ১১ জন সদস্যকে নিয়ে সোমবার জেলা পরিষদে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। তারা জেলা পরিষদে এই সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন। তবে সেই বৈঠকে ডাকা হলেও আসেননি জেলা পরিষদের সেক্রেটারি মানস হালদার। পরে সেক্রেটারির ঘরে গিয়ে কথা বলেন অর্পিতা ঘোষ সহ অন্যান্যরা। তবে বাইরে এসে সেক্রেটারির ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানান, তৃণমূলের হাতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ রয়েছে। এদিনের বৈঠকে নতুন করে দল নেতা নির্বাচন করা হয়েছে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের দ্বারা। তাদের সব সদস্য নিয়মিত জেলা পরিষদে এসে নিয়মকানুন রক্ষা করবে। কেননা, থমকে যাওয়া কাজ ও আটকে থাকা টেণ্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে উন্নয়ন অব্যহত রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। যদিও সভাধিপতি বিজেপির হওয়ায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলের হওয়ায়, কাজের অসুবিধা হবে কিনা এই প্রশ্নে তিনি জানান, সংখ্যাগরিষ্টের মতামতের ভিত্তিতে কাজ হবে। সেক্ষেত্রে সভাধিপতি কোনো ফ্যাক্টর হবে না। এই ব্যাপারে প্রশাসনিক পর্যায়ে কথা বলে রাস্তা বের করা হবে বলে জানান অর্পিতা। পাশাপাশি জেলা পরিষদের বেশ কিছু রাস্তা নিয়ে অভিযোগ এসেছে। তা তিনি খতিয়ে দেখছেন।

অন্য দিকে বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, সবাই জানে কিভাবে ভয় দেখিয়ে তাদের সাথে থাকা সদস্যদের টেনে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তবে এত সহজ নয় জেলা পরিষদ পরিচালনা। আইনি বিষয় নিয়েই তারা এগোচ্ছেন।

জেলা পরিষদের এমন অবস্থায়, আদৌ জেলার উন্নয়নের কাজ হবে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.