বালুরঘাট, 15 জুলাই : জেলা পরিষদের দলনেতা ও সভাধিপতি যোগ দিয়েছেন BJP-তে । তারপর প্রবীর রায়কে দলনেতা ঘোষণা করা হলেও পঞ্চায়েত আইনে তা বাতিল হয়ে যায় । এবার আইনি পথে জেলা পরিষদের দলনেতা নির্বাচন করা হল প্রবীর রায়কে । জেলা পরিষদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আজ বৈঠক করেন তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ ও বাচ্চু হাঁসদা । 11 জন সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । জেলা পরিষদ তৃণমূলেরই রয়েছে । জেলার উন্নয়নে যাতে প্রভাব না পড়ে তার জন্য সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে মোট 18 জন সদস্য সহ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল । গত 24 জুন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ ১০ জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে BJP-তে যোগ দেন । 11 জুলাই ওই 10 জনের মধ্যে 6 সদস্য ও দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে জেলা পরিষদের দখল নেয় BJP ।
এদিকে BJP-তে যাওয়া বাকি চার সদস্যের মধ্যে গৌরী মালি, ইরা রায় এবং পঞ্চানন বর্মণ গত 13 জুলাই তৃণমূলে ফেরেন । আগের 8 ও ঘরে ফেরা 3 জন মিলিয়ে মোট 11 জন সদস্যকে নিয়ে আজ জেলা পরিষদ অফিসে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা । তাঁরা জেলা পরিষদের এই 11 সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন । বৈঠকে ডাকা হলেও আসেননি জেলা পরিষদের সেক্রেটারি মানস হালদার ।
অর্পিতা ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের হাতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ রয়েছে । আজকের বৈঠকে নতুন করে দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে । সব সদস্য নিয়মিত জেলা পরিষদে এসে নিয়মকানুন রক্ষা করবেন । কেন না, থমকে যাওয়া কাজ ও আটকে থাকা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে । সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে কাজ হবে । সেক্ষেত্রে সভাধিপতি কোনও ফ্যাক্টর হবেন না।"
অন্যদিকে BJP নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, "সবাই জানে কী ভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকা সদস্যদের টেনে নিয়ে গেছে তৃণমূল । এত সহজে তৃণমূল জেলা পরিষদ পরিচালনা করতে পারবে না । আমরা আইনি সহায়তা নিয়েই এগোচ্ছি ।"