ঢাকা/নয়াদিল্লি, 10 ফেব্রিয়ারি: গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে ৷ অস্থিরতার কারণে ওই দেশের অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকার ঘরে-বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস দেশের আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অপারেশন ডেভিল হান্ট:
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ পরিচালিত সরকারের পতনের মাস ছয়েক পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সে দেশের পরিস্থিতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়িতে ভাঙচুরের পর বর্তমানে গাজীপুরে তুমুল উত্তেজনা রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই শনিবার রাত থেকে ‘ডেভিল হান্ট’ নামের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
1300 জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে:
'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ এখন পর্যন্ত 1,308 জনকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গাজীপুরেই 40 জনকে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা সকলেই আওয়ামী লীগের সমর্থক। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ভাঙচুরের পর গোটা বাংলাদেশ জুড়েই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে হামলা, আগুন লাগানোর পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে। এর পরই, ঢাকার কাছে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাতেও অনেক ছাত্রনেতা-কর্মী আহত হন ৷
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে 25 জানুয়ারি 2025 পর্যন্ত পর্যন্ত 76টি ঘটনা ঘটেছে যেখানে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ এখন পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর হামলার 88টি মামলায় 70 জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশও 1,258টি এরকম ঘটনা নিশ্চিত করেছে।