গঙ্গারামপুর, 6 অক্টোবর : চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভেতরে দিদিমণিকে আটকে তালা বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা ৷ এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামদেবপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিগত কয়েকমাস ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি রিঙ্কি বিশ্বাস, বাচ্চাদের খাবারের জন্য প্রাপ্য চাল-ডাল-আলু থেকে 150 থেকে 200 গ্রাম কম দিচ্ছেন । পাশাপাশি যে ডাল দিচ্ছেন তা পোকা ভর্তি ৷ ফলে বাচ্চারা খেতে না পারায় সেই ডাল গোরু-ছাগলকে দিয়ে দিতে হচ্ছে ৷ কেবল বাচ্চারা নয়, প্রাপ্য জিনিস পাচ্ছেন না এলাকার গর্ভবতী মায়েরাও ৷
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও চাল-ডাল দিচ্ছিলেন দিদিমণি রিঙ্কি বিশ্বাস ৷ দু-একজনকে চালডাল দেওয়ার সময় একজন অভিভাবক বলেন ওজন করার সময় পাত্রের ওজন জিনিসের ওজন থেকে বাদ দিতে ৷ দিদিমণি বুঝতে না পারায় তাঁকে দেখিয়েও দেন ৷ তারপর থেকে সেই মতোই দিচ্ছিলেন দিদিমণি ৷ কিন্তু আগে যারা চাল নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা মেপে দেখেন পরিমাণে কম রয়েছে ৷ তখন তাঁরা ফের এসে দিদিমণিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভিতরে আটকে তালা বন্ধ করে বাইরে বিক্ষোভ দেখান ৷ খবর পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন ।
আরও পড়ুন : UNICEF-এর সাহায্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের বিকল্প পাঠের উদ্যোগ
চাল-ডাল-আলু কম যাওয়ার কথা মেনে নিলেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি জানান, দাঁড়িপাল্লায় ওজনে ভুল হওয়ার অভিযোগ উঠছিল বলে কম্পিউটার ওজন মাপার যন্ত্র কিনে নিয়ে আসি ৷ পাত্রের ওজন বাদ দিতে ভুলে যাওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে ।
বিক্ষুদ্ধ অভিভাবক সাইনুল বেগম জানান, এই দিদিমণি এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসার পর থেকেই গ্রামের প্রসূতি থেকে শুরু করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা জিনিসপত্র কম পাচ্ছে । অনেক সময় প্রসূতিরা কোনও কিছুই পায় না । মঙ্গলবার দিদিমণি চাল-ডাল দেওয়ার পর গ্রামের দোকানে ওজন করতে গিয়ে দেখি 200 থেকে 300 গ্রাম ওজন কম ৷ সঙ্গে সঙ্গে আমরা দিদিমণিকে ধরে তালাবন্ধ করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আটকে রাখি ৷ আমরা চাই দিদিমণি যেন সঠিক ওজন করে জিনিসপত্র দেয় ৷
আরও পড়ুন : Anganwadi : শিশুদের স্কুলমুখী করতে বাসের আদলে অঙ্গনওয়াড়ি