ETV Bharat / state

বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ধর্ষণের পর প্রেমিকার নলি কেটে খুন করেছিল মাহবুর

পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার বিকেলেই দু'জন ও পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে ।  ধৃতরা হল মাহবুর রহমান, পঙ্কজ বর্মণ ও আরও এক ব্যক্তি যে কিশোরীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়  ৷  গোয়ায় শ্রমিকের কাজ করত কুমারগঞ্জের এই তিন যুবক । কিছু দিন আগে তারা বাড়ি ফেরে । কিশোরীর সঙ্গে মাহবুরের সম্পর্ক ছিল । রবিবার তাঁকে ফুলবাড়ি আসতে বলেছিল মাহবুর ।

South dinajpur
গ্রেপ্তার 3
author img

By

Published : Jan 8, 2020, 6:52 AM IST

কুমারগঞ্জ, 8 জানুয়ারি: ভালো পাত্র পেলে মেয়ের বিয়ে দেবেন ভেবেছিলেন বাবা-মা । মঙ্গলবার মেয়েকে দেখতে আসার কথা ছিল পাত্রপক্ষের ৷ বিষয়টি 'প্রেমিক' মাহবুর রহমানকে জানিয়েছিল সেই কিশোরী ৷ তারপর মাহবুরের কথায় বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে ৷ রবিবার ফুলবাড়িতে চাদর কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় ৷ সঙ্গে নিয়েছিল প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ৷ ইচ্ছে ছিল মাহবুরকে বিয়ে সংসার পাতবে ৷ কল্পনাও করতে পারেনি যার কথায় ভরসা করে ঘর ছাড়ছে সে কতটা পাশবিক । সোমবার সকালে কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফারনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় সেই কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, গণধর্ষণ করার পর গলার নলি কেটে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিশোরীর দেহ । পুলিশের দাবি অপরাধে মূল ভূমিকা ছিল মাহবুরের ।


পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার বিকেলেই দু'জন ও পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে । ধৃতরা হল মাহবুর রহমান, পঙ্কজ বর্মণ ও আরও এক ব্যক্তি যে কিশোরীর দূর সম্পর্কের আত্মীয় ৷ গোয়ায় শ্রমিকের কাজ করত কুমারগঞ্জের এই তিন যুবক । কিছু দিন আগে তারা বাড়ি ফেরে । কিশোরীর সঙ্গে মাহবুরের সম্পর্ক ছিল । রবিবার তাঁকে ফুলবাড়ি আসতে বলেছিল মাহবুর ।

মাহবুরের কথা মতো কিশোরী রবিবার ফুলবাড়ি যায় । সেখান থেকে মাহবুর বাইকে চাপিয়ে তাকে বেলঘর নিয়ে যায় ৷ অন্য একটি বাইকে ছিল অপর দুই অভিযুক্ত । অভিযুক্তরা যেহেতু সকলেই কিশোরীর পূর্ব পরিচিত তাই তার কোনও সন্দেহ হয়নি । সারাদিন ঘোরার পর রাতে মদ্যপান করে মাহবুর ও তার সঙ্গীরা । তারপরে মাহবুর ও পঙ্কজ প্রথমে ধর্ষণ করে কিশোরীকে । প্রবল ঠান্ডা ও নির্যাতনের জেরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই কিশোরী । অজ্ঞান অবস্থায় তখন তাকে ধর্ষণ করে তার সেই দূর সম্পর্কের আত্মীয় । এরপর চাকু দিয়ে কিশোরীর নলি কেটে তাকে খুন করে মাহবুর । দেহ যাতে শনাক্ত না করা যায় সেজন্য পেট্রোল ঢেলে কিশোরীর দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় আটক 2, তৃতীয়জনের খোঁজে পুলিশ

মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে 10 দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, "এখনও তদন্ত চলছে । অভিযুক্ত তিনজনকেই আরও জেরা করা হবে ।"

কুমারগঞ্জ, 8 জানুয়ারি: ভালো পাত্র পেলে মেয়ের বিয়ে দেবেন ভেবেছিলেন বাবা-মা । মঙ্গলবার মেয়েকে দেখতে আসার কথা ছিল পাত্রপক্ষের ৷ বিষয়টি 'প্রেমিক' মাহবুর রহমানকে জানিয়েছিল সেই কিশোরী ৷ তারপর মাহবুরের কথায় বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে ৷ রবিবার ফুলবাড়িতে চাদর কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় ৷ সঙ্গে নিয়েছিল প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ৷ ইচ্ছে ছিল মাহবুরকে বিয়ে সংসার পাতবে ৷ কল্পনাও করতে পারেনি যার কথায় ভরসা করে ঘর ছাড়ছে সে কতটা পাশবিক । সোমবার সকালে কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফারনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় সেই কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, গণধর্ষণ করার পর গলার নলি কেটে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিশোরীর দেহ । পুলিশের দাবি অপরাধে মূল ভূমিকা ছিল মাহবুরের ।


পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার বিকেলেই দু'জন ও পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে । ধৃতরা হল মাহবুর রহমান, পঙ্কজ বর্মণ ও আরও এক ব্যক্তি যে কিশোরীর দূর সম্পর্কের আত্মীয় ৷ গোয়ায় শ্রমিকের কাজ করত কুমারগঞ্জের এই তিন যুবক । কিছু দিন আগে তারা বাড়ি ফেরে । কিশোরীর সঙ্গে মাহবুরের সম্পর্ক ছিল । রবিবার তাঁকে ফুলবাড়ি আসতে বলেছিল মাহবুর ।

মাহবুরের কথা মতো কিশোরী রবিবার ফুলবাড়ি যায় । সেখান থেকে মাহবুর বাইকে চাপিয়ে তাকে বেলঘর নিয়ে যায় ৷ অন্য একটি বাইকে ছিল অপর দুই অভিযুক্ত । অভিযুক্তরা যেহেতু সকলেই কিশোরীর পূর্ব পরিচিত তাই তার কোনও সন্দেহ হয়নি । সারাদিন ঘোরার পর রাতে মদ্যপান করে মাহবুর ও তার সঙ্গীরা । তারপরে মাহবুর ও পঙ্কজ প্রথমে ধর্ষণ করে কিশোরীকে । প্রবল ঠান্ডা ও নির্যাতনের জেরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই কিশোরী । অজ্ঞান অবস্থায় তখন তাকে ধর্ষণ করে তার সেই দূর সম্পর্কের আত্মীয় । এরপর চাকু দিয়ে কিশোরীর নলি কেটে তাকে খুন করে মাহবুর । দেহ যাতে শনাক্ত না করা যায় সেজন্য পেট্রোল ঢেলে কিশোরীর দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় আটক 2, তৃতীয়জনের খোঁজে পুলিশ

মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে 10 দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, "এখনও তদন্ত চলছে । অভিযুক্ত তিনজনকেই আরও জেরা করা হবে ।"

Intro:প্রেমিকের সরল কথায় বাড়ি ছাড়ায় হল কাল, পরদিন কুমারগঞ্জে উদ্ধার হল যুবতির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ।।

কুমারগঞ্জ, ৮ জানুয়ারী: মঙ্গলবার ছেলে পক্ষ দেখতে আসার কথা ছিল দীপ্তি বর্মণকে(পরিবর্তিত নাম)। বিষয়টি তার প্রেমিক জানতে পারে। তাই তার আগে রবিবার প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয় দীপ্তি। শুধু বের হওয়া নয় সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব নথি নিয়ে বেরিয়েছিল। ফুলবাড়িতে চাদর কিনতে যাচ্ছে, বাড়িতে এই মিথ্যে কথা বলেই বের হয় দীপ্তি। স্বপ্ন ছিল প্রেমিককে বিয়ে করে সংসার করার। তবে তা আর হয়নি। সোমবার সকালে কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘর এলাকা থেকে দীপ্তির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

জানা গেছে, ধৃত তিন যুবক মাহবুর রহমান, পঙ্কজ বর্মণও গৌতম বর্মণ পড়াশুনা অনেক দিন আগেই বাদ দিয়েছে। তারা একসঙ্গে গোয়াতে শ্রমিকের কাজ করত। কিছু দিন আগেই তারা বাড়ি ফিরে আসে। মাহাবুর ও মৃতার বাড়ি একই পাড়াতেই। গৌতম মৃতার দূর সম্পর্কের আত্মীয়(মামা)। মৃত দীপ্তির সঙ্গে মাহাবুরের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। যাতে সহযোগিতা করেছিল গৌতম। তবে তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল চলছিল। শনিবার দিনই দীপ্তির মোবাইল ভেঙে দিয়েছিল মাহবুর। তবে রবিবার বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী আসতে বলেছিল মাহবুরই। দীপ্তিও সরল বিশ্বাসেই মাহবুরের সঙ্গে দেখা করতে আসে। মাহবুবের বাইকেই বেলঘর এলাকার দিকে রওনা হয়েছিল দীপ্তি। এরপর পঙ্কজ ও গৌতমকে আলাদা বাইকে ঘটনাস্থলে আসে। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের উপর কোন রকম সন্দেহ হয়নি তার। তিন বন্ধুর সাথে বাইক নিয়ে সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পরে রাতে মদ্যপান করে। তার পরে মহাবুর ও পঙ্কজ দু'জন মিলে ধর্ষণ করে দীপ্তিকে। অভিযোগ, বেলঘর এলাকায় ওই নির্জন মাঠের মধ্যে গিয়ে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রি নটা পর্যন্ত মাহবুর ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে ওই যুবতীকে। প্রবল ঠান্ডা এবং পাশবিক নির্যাতনের ফলে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই যুবতী। অজ্ঞান অবস্থায় যুবতীকে গৌতম ধর্ষণ করে। এর পরে মহাবুর অজ্ঞান অবস্থায় দীপ্তিকে দেখে মৃত বলে ভেবে নেয়। এরপরেই বাড়ি থেকে চাকু নিয়ে এসে যুবতীকে নলি কেটে খুন করে। ও পরে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রেমিক মাহাবুরের জালে পড়ে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে ওই যুবতীকে। ধৃত যুবকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এমনই তথ্য পেয়েছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আগামী ১৬ তারিখ ফের তাদের আদালতে তোলা হবে।

এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, আজ ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বালুরঘাট জেলা আদালতের আইনজীবী জয়ন্ত মজুমদার জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। Body:Kumarganj Conclusion:Kumarganj
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.