কলকাতা, 18 নভেম্বর: এন্টালি থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে পরিত্যক্ত অ্যাসিড কারখানার একাংশ ভেঙে চাপা পড়ে প্রাণ গেল দু'জনের। দুজনই নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে হাজির হন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় 54 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সবিতা রানি দাস।
রাত সাড়ে 10টা থেকে পৌনে 11টা নাগাদ আচমকাই বিপত্তি ঘটে ৷ এন্টালি থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত একটি অ্যাসিড কারখানার ভিতর জরাজীর্ণ মেজেনাইন ফ্লোর আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে থাকা দুই নিরাপত্তারক্ষী চাপা পড়ে যান। বিকট আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। থানা কাছে হওয়ায় দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়। কলকাতা কর্পোরেশন তরফে ডেমোলিশন স্কোয়াড লোকজন এসে ভেঙে পড়া অংশ সরিয়ে চাপা পড়ে চাওয়া দু'জনকে উদ্ধার করে। রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসক তাঁদের মৃত বল ঘোষণা করেন ৷
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হন। তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় কাউন্সিলর সবিতা রানি দাসের থেকে জানেন কারখানার সম্পর্কে। মেয়র জানান, পরিত্যক্ত অ্যাসিড কারখানা ছিল। ভিতরে একটা জীর্ণ অংশ ভেঙে পড়ায় নিচে চাপা পড়ে দু'জন মারা গিয়েছে ৷
স্থানীয় কাউন্সিলর সবিতা রানি দাস জানান, মারা যায়নি ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত্যু নিতে পুলিশের তরফে কোনও অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। এই দুই নিরাপত্তারক্ষীর নাম ও পরিচয় জানার কাজ করছে এন্টালি থানার পুলিশ। যোগাযোগের চেষ্টা করছেন পরিবার সদস্যদের সঙ্গে। পাশাপশি ওই কারখানার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।