কলকাতা, 18 নভেম্বর: কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় নয়া তথ্য সামনে আনল পুলিশ ৷ কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টায় ধৃত আফরোজ খান ওরফে গুলজারের সঙ্গে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের যোগ থাকলেও থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের ৷ এর আগেও তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল ৷ ফলে তাকে জেরা করে অন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন লালবাজার শাখার গোয়েন্দারা ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, এর আগে গুলজার দুবাইতে গিয়ে এক বছর ধরে কাজ করে ৷ সেখানেও তার পরিচিতি রয়েছে । দুবাইয়ে চাকরি করে উপার্জিত টাকা জমিয়ে ইএম বাইপাসের আনন্দপুরে জমি কিনেছিল সে । গুলজারের অভিযোগ, সেই জমি জোর করে দখল করে নেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা । সেই নিয়ে সুশান্ত ঘোষ ও তার মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল ৷
সেই সূত্র ধরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে সে বলে অভিযোগ গুলজারের বিরুদ্ধে ৷ গুলজার তদন্তকারীদের জানিয়েছে, এর আগেও সে একাধিকবার বিহার ও ঝাড়খণ্ডের একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছিল । কারা সেই ব্যবসায়ী, তা জানার জন্য দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ।
গত শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় কসবায় নিজের বাড়ির সামনে ফুটপাথে বসে ছিলেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ ৷ তখন বাইকে করে এক দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি চালানোর চেষ্টা করে ৷ কিন্তু বন্দুকের ট্রিগার লক হয়ে যাওয়ায় গুলি চলেনি ৷ প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত ৷
সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে টার্গেট করে গুলি চালানো হয় ৷ দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে এসে গুলি চালায় ৷ সেই সময় গুলি না চললেও সেখানে থাকা কয়েকজন ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন ৷ পুলিশ জানতে পারে সুশান্ত ঘোষকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই মাস্টার মাইন্ডের খোঁজে তল্লাশি চলছিল ৷ এদিন বর্ধমানের গলসি থেকে আটক করা হয় সুশান্ত খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত গুলজারকে ৷