নরেন্দ্রপুর, 20 ফেব্রুয়ারি: সোমবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা ৷ ভোরবেলা স্ত্রী'কে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা যুবকের (Young man jumps into Ganges after calling his wife)। মৃতের নাম অরিজিৎ দে (26)। তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা । সোমবার বিকেল পর্যন্ত তাঁর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। কলকাতার হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । গঙ্গায় খোঁজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার আগে স্ত্রীকে অরিজিৎ ফোনে বলেছিলেন, "আমি তোমাকে ভালবাসতাম। আমি চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।" এরপরই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন যুবক।
জানা গিয়েছে, 12 বছর ধরে পাটুলির বাসিন্দা প্রিয়াম্পী দত্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অরিজিতের । দু'জনে একইসঙ্গে গড়িয়ার বরদাপ্রসাদ স্কুলে পড়তেন। সেই থেকেই দু'জনের সম্পর্ক। গত 17 জানুয়ারি বিয়ে হয় তাঁদের । মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অরিজিৎ । পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধে 7টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় অরিজিৎ । রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না-ফেরায় তাঁর খোঁজ শুরু হয়। বাড়ি থেকে মা ও স্ত্রী ফোন করলে বাড়ি আসছি বলে জানান তিনি । যদিও তারপরেও বাড়ি ফেরেননি অরিজিৎ। বাড়ি থেকে নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরইমধ্যে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, "ভালোবাসা মানে অরিজিৎ 100 শতাংশ ৷"
বন্ধুদের তরফে জানা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছিলেন অরিজিৎ । তবে অরিজিৎকে একটু হতাশাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুরা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর বাইক রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছে অরিজিৎ বলে জানা গিয়েছে । কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
অরিজিতের বন্ধু সৌম্য সেন বলেন, "রাত দেড়টা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিল অরিজিৎ । আমি বাইরে ছিলাম । কলকাতায় ফিরেছি । ওকে ফোন করে জানিয়েছিলাম । কাল বুঝেছিলাম ও ডিস্টার্বড রয়েছে । অরিজিৎ বলল, তোমরা বাড়ি চলে যাও । ভোর 5টার সময় এসেছিল আমার ফ্ল্যাটে অরিজিৎ । নিরাপত্তারক্ষীর কাছে ওর এক বন্ধুর বাইকের চাবি দিয়ে গিয়েছে ।"
আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়ার পর গুলিতে যুগলের মৃত্যু, অনার কিলিং নাকি আত্মহত্যা ?